28-08-2021, 06:03 PM
পুতুল খেলা
সাবিনার নানা বাড়িটা খুব সুন্দর। একসময় জমিদার বাড়ি ছিল। মধুপুর গ্রামটা যেন কারো তুলিতে আঁকা। এই হেমন্তে আসন্ন শীতের একটা লজ্জায় গ্রামটা যেন আরেকটু রাঙা হয়েছে। সকালের গুমোট কুয়াশাটা এসে চুমু খেয়ে বলে, ঘুমিয়ে থাক। বিকেলে সন্ধ্যা হয়ে যায় দ্রুত, কারও বন্ধনে ঊষ্ণতা পাবার অজুহাত করে দিতে।
কিন্তু সাবিনার তেমন মানুষ কেউ নেই। ক'দিন ধরে একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু সে শুনেছে ফেসবুকের ছেলেরা নাকি ভাল হয়না। এজন্য সে একটু কনফিউশনে আছে। তবে এই ছেলেটাকে তেমন মনে হচ্ছেনা, ভাল বলেই মনে হয়।
হেমন্তের কলেজ ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছে সাবিনা। এখানে সঙ্গী বলতে তার মামাতো বোন ইতি। সেও তার সমবয়সী, ৩/৪ মাসের বড় হবে। দু'জনে খুব গলায় গলায় ভাব।ছোটবেলা থেকেই। পারতপক্ষে সাবিনা যেকোন ছুটিতেই মামাবাড়িতে আসার লোভটা না সামলিয়ে পারেনা। কেবলমাত্র ইতির জন্য। কত্তো কথা যে হয় ওদের মধ্যে!ছোটবেলায় হত পুতুল খেলা নিয়ে, এখন হয় পুকুর ঘাটে বসে। জমিদারের নাতনি দু'জনেই। কেউ উত্তক্ত্য করার সাহস পায়না, বরং সবাই আদর করে। পুরো গ্রামের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে তাদের দু'জনের অবাধ বিচরন। ইতি কিন্তু মোতেই গ্রাম্য মেয়েদের মত নয়। বরং অনেক স্মার্ট, যেটা সাধারনত গ্রামে দেখা যায়না।
এখন আর পুতুল খেলার বয়স নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই পুকুরের শান বাধানো ঘাটে বসে পড়ে গল্প করার জন্য। দুজনে একটা চাদর জড়িয়ে জড়াজড়ি করে বসে। কেউ হয়তো চাঁদ দেখতে দেখতে বা পুকুরের পানিতে ছোট ছোট ঢেউ দেখে আনমনা হয়ে আরেকজনের কাঁধে মাথা রাখে। বালিশ হয়ে যাওয়া মেয়েটি তখন আদর করে অন্য মেয়েটির চুলে বিলি কেটে দেয়। তেমনি আজ মাথা রেখেছে সাবিনা ইতির কোলের উপর। গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে, অনেকক্ষন কথা হচ্ছেনা তাদের মধ্যে।
- কিরে সাবিনা, এবারে তোর মধ্যে কেমন যেন গন্ধ পাচ্ছি। এত চুপচাপ কেন?
- কই নাতো। নাহ্...
- না, আমি টের পাচ্ছি ঠিকই। কি হয়েছে, আপুকে বল।
সাবিনার নানা বাড়িটা খুব সুন্দর। একসময় জমিদার বাড়ি ছিল। মধুপুর গ্রামটা যেন কারো তুলিতে আঁকা। এই হেমন্তে আসন্ন শীতের একটা লজ্জায় গ্রামটা যেন আরেকটু রাঙা হয়েছে। সকালের গুমোট কুয়াশাটা এসে চুমু খেয়ে বলে, ঘুমিয়ে থাক। বিকেলে সন্ধ্যা হয়ে যায় দ্রুত, কারও বন্ধনে ঊষ্ণতা পাবার অজুহাত করে দিতে।
কিন্তু সাবিনার তেমন মানুষ কেউ নেই। ক'দিন ধরে একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু সে শুনেছে ফেসবুকের ছেলেরা নাকি ভাল হয়না। এজন্য সে একটু কনফিউশনে আছে। তবে এই ছেলেটাকে তেমন মনে হচ্ছেনা, ভাল বলেই মনে হয়।
হেমন্তের কলেজ ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছে সাবিনা। এখানে সঙ্গী বলতে তার মামাতো বোন ইতি। সেও তার সমবয়সী, ৩/৪ মাসের বড় হবে। দু'জনে খুব গলায় গলায় ভাব।ছোটবেলা থেকেই। পারতপক্ষে সাবিনা যেকোন ছুটিতেই মামাবাড়িতে আসার লোভটা না সামলিয়ে পারেনা। কেবলমাত্র ইতির জন্য। কত্তো কথা যে হয় ওদের মধ্যে!ছোটবেলায় হত পুতুল খেলা নিয়ে, এখন হয় পুকুর ঘাটে বসে। জমিদারের নাতনি দু'জনেই। কেউ উত্তক্ত্য করার সাহস পায়না, বরং সবাই আদর করে। পুরো গ্রামের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে তাদের দু'জনের অবাধ বিচরন। ইতি কিন্তু মোতেই গ্রাম্য মেয়েদের মত নয়। বরং অনেক স্মার্ট, যেটা সাধারনত গ্রামে দেখা যায়না।
এখন আর পুতুল খেলার বয়স নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই পুকুরের শান বাধানো ঘাটে বসে পড়ে গল্প করার জন্য। দুজনে একটা চাদর জড়িয়ে জড়াজড়ি করে বসে। কেউ হয়তো চাঁদ দেখতে দেখতে বা পুকুরের পানিতে ছোট ছোট ঢেউ দেখে আনমনা হয়ে আরেকজনের কাঁধে মাথা রাখে। বালিশ হয়ে যাওয়া মেয়েটি তখন আদর করে অন্য মেয়েটির চুলে বিলি কেটে দেয়। তেমনি আজ মাথা রেখেছে সাবিনা ইতির কোলের উপর। গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে, অনেকক্ষন কথা হচ্ছেনা তাদের মধ্যে।
- কিরে সাবিনা, এবারে তোর মধ্যে কেমন যেন গন্ধ পাচ্ছি। এত চুপচাপ কেন?
- কই নাতো। নাহ্...
- না, আমি টের পাচ্ছি ঠিকই। কি হয়েছে, আপুকে বল।