28-08-2021, 05:47 PM
রাত্রি যখন গভীর হয়
অনেক দিন পর মামার বাড়ি থেকে ফোন এল দাদুর শরীরটা ঠিক যাচ্ছে না তাই মামার বাড়ি যেতে হবে দাদুকে দেখতে । প্রায় তিন বছর পর মামার বাড়ি যাচ্ছি তাই মনের ভেতর খুসির জোয়ার আবার দাদুর শরীর খারাপ বলে মনটাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে । হাওড়া থেকে যখন ঝিকিড়া গামি বাসটা ছাড়লো তখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পরেছে । একেই শীতকাল তার ওপর খাওয়া দাওয়া করে ঘড় থেকে বেরোতেই আমার দেরি হয়ে গিয়ে ছিল । তারাহুরোয় গরম পোষাক কিছুই নেওয়া হয়ে ওঠেনি । হাওড়া থেকে ঝিকিড়া প্রায় ঘন্টা তিনের রাস্তা । এই একটা সুবিধা যে বাসটা লাক্সারী বাস, আমি জানালার কাঁচ টেনে বন্ধ করে নিজেকে বেশ গুছিয়ে নিয়ে বসলাম । জ্যামের মধ্যে দিয়ে বাসটা খুব ধীরগতিতে এগিয়ে যেতে লাগল আর পেসেন্জার তুলতে লাগলো । বাসটায় তেমন ভিড় হয়নি তাই আমি বাসের পেছনের দিকের সিটে বসে ছিলাম আমার পাশের সিট ফাকাই পড়ে ছিলো । বাসের ঝাকুনিতে হালকা ঘুম ঘুম এসে যাচ্ছিলো তাই কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম । কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্যাম কাটিয়ে বাস হাইরোডে এসে পরলো । গান শুনতে শুনতে কখন যে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম যানি না । হঠাৎ বাসের এক প্রবল ঝাকুনিতে ঘুমটা ভেঙে গেলো । মুখ তুলে একবার চারপাশটা দেখে নিলাম বাস প্রায় ভরে গেছে, এবার আমার পাশের সিটে চোখ পরলো দেখি এক সুন্দরী তরুনি বসে বয়স আর কত হবে জোর একুশ কি বাইশ বছর । তরুনিকে দেখতে খুব সুন্দর টানা টানা চোখ লম্বা নাক গায়ের রঙ বেশ ফর্ষা দোহরা চেহারা আর স্মার্ট মনে হল । তরুনিকে দেখেই আমার বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো । এমন সময়ে কনট্রাকটার আমাদের দিকে এগিয়ে এলো ভাড়া নেওয়ার জন্য । আমি একটা কুড়ি টাকার নোট তার দিকে এগিয়ে বললাম একটা ঝিকিড়া । ঝিকিড়ার নাম শুনে তরুনি চমকে আমার দিকে তাকালো । এই প্রথম তার সাথে আমার চোখাচুখি হল । তার চাহুনিতেই আমার মনের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিলো ।
আমি সুযোগ খুজতে লাগলাম কি ভাবে ওর সাথে আলাপ করা যায় । আমাকে অবাক করে দিয়ে ওই তরুনিও ঝিকিড়ার টিকিট কাটলো । আমার কাছে একটা সুযোগ এসে গেল ওর সাথে কথা বলার ।
আমি - আচ্ছা আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলি আপনাকে ।
তরুনি - (বাকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে) হ্যা বলুন কি কথা ।
আমি - আচ্ছা আপনি কালিপদ ঘোষ এর বাড়িটা চেনেন ?
তরুনি - (কিছুক্ষন ভেবে) হ্যা চিনি কেন বলতে পারেন ।
আমি - আমি ওনাদের বাড়ি যেতে চাই । আমি এখানে নতুন তো তাই কিছু চিনি না আপনি যদি একটু ওনাদের বাড়িটা একটু দেখিয়ে দিতেন তাহলে খুব ভালো হতো আর কি ।
তরুনি - এ আর এমন কি কথা অবশ্বই দেখিয়ে দোব আপনাকে আগে স্টপেজ তো আসতে দিন ।
আমি - হ্যা হ্যা অবশ্বই কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো আপনাকে ।
তরুনি - থাক আর ধন্যবাদ দিতে হবে না ।
এই বলে তরুনি মৃদূ হেসে মাথা নিচু করে নিলো । আমি আর তাকে আর ডিসটার্ভ না করে কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম আর মাঝে মাঝে আড় চোখে ওকে দেখতে লাগলাম । গান শুনতে শুনতে ঝিকিড়া স্টপেজ এসে গেল সবাই একে একে নেমে যেতে লাগলো । বাস আর যাবে না আমি জানতাম তাও না জানার ভান করে আমি তরুনির উদ্দেশ্য বললাম - বাস এখানে থেমে গেলো কেনো বলুন তো ?
ঝিকিড়া এসে গেছে বুঝতে পারছেন না আমার সাথে চলে আসুন কাকার বাড়িটা দেখিয়ে দিই এই বলে তরুনি বাস থেকে নেমে সামনের দিকে এগিয়ে চললেন ।
অনেক দিন পর মামার বাড়ি থেকে ফোন এল দাদুর শরীরটা ঠিক যাচ্ছে না তাই মামার বাড়ি যেতে হবে দাদুকে দেখতে । প্রায় তিন বছর পর মামার বাড়ি যাচ্ছি তাই মনের ভেতর খুসির জোয়ার আবার দাদুর শরীর খারাপ বলে মনটাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে । হাওড়া থেকে যখন ঝিকিড়া গামি বাসটা ছাড়লো তখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পরেছে । একেই শীতকাল তার ওপর খাওয়া দাওয়া করে ঘড় থেকে বেরোতেই আমার দেরি হয়ে গিয়ে ছিল । তারাহুরোয় গরম পোষাক কিছুই নেওয়া হয়ে ওঠেনি । হাওড়া থেকে ঝিকিড়া প্রায় ঘন্টা তিনের রাস্তা । এই একটা সুবিধা যে বাসটা লাক্সারী বাস, আমি জানালার কাঁচ টেনে বন্ধ করে নিজেকে বেশ গুছিয়ে নিয়ে বসলাম । জ্যামের মধ্যে দিয়ে বাসটা খুব ধীরগতিতে এগিয়ে যেতে লাগল আর পেসেন্জার তুলতে লাগলো । বাসটায় তেমন ভিড় হয়নি তাই আমি বাসের পেছনের দিকের সিটে বসে ছিলাম আমার পাশের সিট ফাকাই পড়ে ছিলো । বাসের ঝাকুনিতে হালকা ঘুম ঘুম এসে যাচ্ছিলো তাই কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম । কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্যাম কাটিয়ে বাস হাইরোডে এসে পরলো । গান শুনতে শুনতে কখন যে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম যানি না । হঠাৎ বাসের এক প্রবল ঝাকুনিতে ঘুমটা ভেঙে গেলো । মুখ তুলে একবার চারপাশটা দেখে নিলাম বাস প্রায় ভরে গেছে, এবার আমার পাশের সিটে চোখ পরলো দেখি এক সুন্দরী তরুনি বসে বয়স আর কত হবে জোর একুশ কি বাইশ বছর । তরুনিকে দেখতে খুব সুন্দর টানা টানা চোখ লম্বা নাক গায়ের রঙ বেশ ফর্ষা দোহরা চেহারা আর স্মার্ট মনে হল । তরুনিকে দেখেই আমার বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো । এমন সময়ে কনট্রাকটার আমাদের দিকে এগিয়ে এলো ভাড়া নেওয়ার জন্য । আমি একটা কুড়ি টাকার নোট তার দিকে এগিয়ে বললাম একটা ঝিকিড়া । ঝিকিড়ার নাম শুনে তরুনি চমকে আমার দিকে তাকালো । এই প্রথম তার সাথে আমার চোখাচুখি হল । তার চাহুনিতেই আমার মনের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিলো ।
আমি সুযোগ খুজতে লাগলাম কি ভাবে ওর সাথে আলাপ করা যায় । আমাকে অবাক করে দিয়ে ওই তরুনিও ঝিকিড়ার টিকিট কাটলো । আমার কাছে একটা সুযোগ এসে গেল ওর সাথে কথা বলার ।
আমি - আচ্ছা আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলি আপনাকে ।
তরুনি - (বাকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে) হ্যা বলুন কি কথা ।
আমি - আচ্ছা আপনি কালিপদ ঘোষ এর বাড়িটা চেনেন ?
তরুনি - (কিছুক্ষন ভেবে) হ্যা চিনি কেন বলতে পারেন ।
আমি - আমি ওনাদের বাড়ি যেতে চাই । আমি এখানে নতুন তো তাই কিছু চিনি না আপনি যদি একটু ওনাদের বাড়িটা একটু দেখিয়ে দিতেন তাহলে খুব ভালো হতো আর কি ।
তরুনি - এ আর এমন কি কথা অবশ্বই দেখিয়ে দোব আপনাকে আগে স্টপেজ তো আসতে দিন ।
আমি - হ্যা হ্যা অবশ্বই কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো আপনাকে ।
তরুনি - থাক আর ধন্যবাদ দিতে হবে না ।
এই বলে তরুনি মৃদূ হেসে মাথা নিচু করে নিলো । আমি আর তাকে আর ডিসটার্ভ না করে কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম আর মাঝে মাঝে আড় চোখে ওকে দেখতে লাগলাম । গান শুনতে শুনতে ঝিকিড়া স্টপেজ এসে গেল সবাই একে একে নেমে যেতে লাগলো । বাস আর যাবে না আমি জানতাম তাও না জানার ভান করে আমি তরুনির উদ্দেশ্য বললাম - বাস এখানে থেমে গেলো কেনো বলুন তো ?
ঝিকিড়া এসে গেছে বুঝতে পারছেন না আমার সাথে চলে আসুন কাকার বাড়িটা দেখিয়ে দিই এই বলে তরুনি বাস থেকে নেমে সামনের দিকে এগিয়ে চললেন ।