28-08-2021, 05:31 PM
কামনার দংশন
খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ছিল আমার প্রতিদিনের অভ্যাস । যখন আমার ঘুম ভাঙলো তখন সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পরছিলো চারিদিকে । বিছানায় শুয়ে শুয়েই জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে প্রাকৃতিক শোভা দেখতে থাকলাম । দিল্লি থেকে বদলি হয়ে কলকাতায় এসেই আমায় একটা বড় সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছিল । একটা সস্তায় ঘর ভাড়া পাওয়া যাচ্ছিলো না । সস্তায় ঘর পাওয়া আর চাল থেকে খুদ বাছা দুটোই প্রায় সমান । অফিসের এক কলিগের বাসায় দুদিন কাটিয়ে তারই কথামতো কলকাতার বাইরে একটু খোঁজা খুঁজি করতেই সালকিয়ায় খুব সস্তাতেই এই ঘরখানা ভাড়া পাওয়া গিয়েছিলো । বাড়িওয়ালা জগদীশবাবু এতো কম টাকায় ঘর ভাড়া দেওয়ার আসল কারনটা প্রথমেই আমায় খুলে বলে দিয়েছিলেন । প্রায় মাস খানেক আগেও এই ঘরে সুনন্দা নামে এক বিধবা মহিলা থাকতেন । সুনন্দার কথা মতো ওনার স্বামী ওনার জন্য ভালোই টাকাকড়ি রেখে গিয়েছিলেন । কিন্তু হঠাৎই একদিন উনি বিষ খেয়ে সুইসাইড করেন । সুইসাইড করার কারনটা এখনও পরিস্কার নয় । এই ঘটনার পর আর কোন ভাড়াটেই এই ঘর ভাড়া নেয়নি । জগদীশবাবুর কথায় আমি প্রথমে একটু চমকেই উঠেছিলাম । কিন্তু অনেক ভেবে চিন্তে ওনাকে নাও করতে পারলাম না । অনেক কষ্টে একটা ঘর পাওয়া গিয়েছে আর সেটা আমি এই একটা কারনে হাতছাড়া করতে চাইলাম না । এরপর দিন পনেরো কেটে গেছে । আমার কিন্তু কোন রকম অসুবিধাই হয়নি । অফিসের কাজ বাদ দিয়েও উপরি কাজের জন্য কামানিটা বেশ ভালোই হচ্ছিল । প্রতিদিন হোটেলের রিচ খাবার খেতে আর ভালো লাগছিল না । তাই দু বেলার রান্নাবান্না আর ঘর সাফ সাফাইয়ের জন্য জগদীশবাবুকে একটা কাজের লোকের কথা বলে রেখেছিলাম । আজ অফিস থেকে এসে এ ব্যাপারে জগদীশবাবুকে তাগাদা দিতে হবে । শুয়ে শুয়ে পুরান কথা আর না ভেবে বিছানা থেকে উঠে পরলাম । বাথরুমে গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে এসে প্রতিদিনকার মতো বারবেলটা নিয়ে প্র্যাকটিস করতে লাগলাম । শরীর স্বাস্থ্য আমার এমনিতেই ভালো তার ওপর প্রতিদিন ব্যায়াম করায় শরীরের প্রতিটা ভাঁজ যেন বেশি করে ফুটে থাকতো । বারবেলটা নিয়ে প্রায় একঘন্টা কোস্তাকুস্তি করে আমি হাঁফিয়ে উঠেছিলাম । কিছুক্ষন জিরিয়ে নিয়ে স্নান করার জন্য বাথরুমের দিকে এগোতেই দরজায় টোকা পরলো । দরজা খুলতেই দেখি সামনে বাড়িওয়ালা জগদীশবাবু দাড়িয়ে আছেন । ওনার পেছনে একজন মহিলাকে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম ।
খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ছিল আমার প্রতিদিনের অভ্যাস । যখন আমার ঘুম ভাঙলো তখন সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পরছিলো চারিদিকে । বিছানায় শুয়ে শুয়েই জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে প্রাকৃতিক শোভা দেখতে থাকলাম । দিল্লি থেকে বদলি হয়ে কলকাতায় এসেই আমায় একটা বড় সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছিল । একটা সস্তায় ঘর ভাড়া পাওয়া যাচ্ছিলো না । সস্তায় ঘর পাওয়া আর চাল থেকে খুদ বাছা দুটোই প্রায় সমান । অফিসের এক কলিগের বাসায় দুদিন কাটিয়ে তারই কথামতো কলকাতার বাইরে একটু খোঁজা খুঁজি করতেই সালকিয়ায় খুব সস্তাতেই এই ঘরখানা ভাড়া পাওয়া গিয়েছিলো । বাড়িওয়ালা জগদীশবাবু এতো কম টাকায় ঘর ভাড়া দেওয়ার আসল কারনটা প্রথমেই আমায় খুলে বলে দিয়েছিলেন । প্রায় মাস খানেক আগেও এই ঘরে সুনন্দা নামে এক বিধবা মহিলা থাকতেন । সুনন্দার কথা মতো ওনার স্বামী ওনার জন্য ভালোই টাকাকড়ি রেখে গিয়েছিলেন । কিন্তু হঠাৎই একদিন উনি বিষ খেয়ে সুইসাইড করেন । সুইসাইড করার কারনটা এখনও পরিস্কার নয় । এই ঘটনার পর আর কোন ভাড়াটেই এই ঘর ভাড়া নেয়নি । জগদীশবাবুর কথায় আমি প্রথমে একটু চমকেই উঠেছিলাম । কিন্তু অনেক ভেবে চিন্তে ওনাকে নাও করতে পারলাম না । অনেক কষ্টে একটা ঘর পাওয়া গিয়েছে আর সেটা আমি এই একটা কারনে হাতছাড়া করতে চাইলাম না । এরপর দিন পনেরো কেটে গেছে । আমার কিন্তু কোন রকম অসুবিধাই হয়নি । অফিসের কাজ বাদ দিয়েও উপরি কাজের জন্য কামানিটা বেশ ভালোই হচ্ছিল । প্রতিদিন হোটেলের রিচ খাবার খেতে আর ভালো লাগছিল না । তাই দু বেলার রান্নাবান্না আর ঘর সাফ সাফাইয়ের জন্য জগদীশবাবুকে একটা কাজের লোকের কথা বলে রেখেছিলাম । আজ অফিস থেকে এসে এ ব্যাপারে জগদীশবাবুকে তাগাদা দিতে হবে । শুয়ে শুয়ে পুরান কথা আর না ভেবে বিছানা থেকে উঠে পরলাম । বাথরুমে গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে এসে প্রতিদিনকার মতো বারবেলটা নিয়ে প্র্যাকটিস করতে লাগলাম । শরীর স্বাস্থ্য আমার এমনিতেই ভালো তার ওপর প্রতিদিন ব্যায়াম করায় শরীরের প্রতিটা ভাঁজ যেন বেশি করে ফুটে থাকতো । বারবেলটা নিয়ে প্রায় একঘন্টা কোস্তাকুস্তি করে আমি হাঁফিয়ে উঠেছিলাম । কিছুক্ষন জিরিয়ে নিয়ে স্নান করার জন্য বাথরুমের দিকে এগোতেই দরজায় টোকা পরলো । দরজা খুলতেই দেখি সামনে বাড়িওয়ালা জগদীশবাবু দাড়িয়ে আছেন । ওনার পেছনে একজন মহিলাকে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম ।