24-08-2021, 10:09 AM
মুস্তাফা আর হাস্নু অনেক বুঝিয়েও কোনও ফল হয় নি জিনিয়া কে। জিনিয়া কেঁদেই চলেছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। কষ্ট ও এই জন্য পায় নি যে শিবা ওকে বলেনি যে জিষ্ণু ওর ভাই। ওর কষ্ট এই ভেবে হচ্ছে যে শিবা হয়ত ভাবছে এখন জিনিয়া কে না বাঁচালেই হত। শিবার পরিবারে দুর্ঘটনা তো নেমে আসত না। হাস্নু বুঝেছে যতক্ষণ না শিবা কথা বলবে জিনিয়ার সাথে ততক্ষন জিনিয়া শান্ত হবে না। আর জিনিয়া শান্ত হতেও চায় না। আসলে মাচ্যুরিটি জিনিস টা নিজের মনের সাথেই খাপ খাওয়াতে পারে না। জিনিয়া স্বাভাবিক জীবন এবং তার পারিপার্শ্বিকের সাথে যথেষ্ট পরিচয় রাখে। হয়ত ঠাণ্ডা মাথায় শিবার চরিত্র এর কথা চিন্তা করলেই বুঝতে পারত যে ও যেটা ভাবছে সেটা খুব ই ভুল, কিন্তু মেয়েদের মনে একবার এই সহানুভুতির ভুত চেপে গেলে বের করা খুব মুশকিল। সেখানে কোনও যুক্তি কোনও মাচ্যুরিটি কাজে আসে না। শুধু সেই মানুষটাকেই মন টা খোঁজে যে পারবে এই ভুত টা মাথা থেকে নামাতে। জিনিয়ার ইচ্ছে করছে এখন ছুটে মহেশের কাছে চলে যেতে আর বলতে, শিবার ভাই এর বউ কে নয় আমাকে নাও। আমার জন্যেই তো তুমি এত কিছু করছ। শিবা বাইরে বসে আছে থম মেরে। হয়ত ও এটাই ভাবছে, যে জিনিয়ার বদলে ওর ভাই এর বউ কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবে। জিনিয়া যেন আর ভাবতে পারল না। দলা হয়ে যে কান্না টা বুকের মধ্যে চেপে বসে আছে সেটা কে চেপে রেখে সিদ্ধান্তই নিল যে সে নিজের বদলেই ছাড়িয়ে আনবে শিনা কে। যে শিবা টাকে এত সুন্দর একটা জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছে তার পরিবারের জন্য এতটুকু করতে পারবে না? নিশ্চয়ই পারবে। পারতে থাকে হবেই। এ জগতের শিবার এই ঋণ টা এই ভাবেই শোধ করে দিয়ে যাবে। কিন্তু পাপি? ছেড়ে থাকবে কি করে ওকে জিনি? নাহ শিবা নিজেই সেটা ভাবে না তো জিনি ভেবে কি করবে? কষ্ট হলেও এটাই সত্য যে শিবা জিনি কে ভালবাসে না। কম সে কম নিজের পরিবারের মধ্যে তো রাখেই না। ও ঠিক করে নিল ওকে কি করতে হবে।