24-08-2021, 10:08 AM
মিষ্টি দুটো ডিশে নিয়ে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে পুরো ব্যাপার টাই বলল ওর দাদাকে। বৌদি ও ছিল পাশেই শিনার। রসগোল্লা দুটো খেয়ে ডিশ টা রাখতে যেতেই বৌদি হাত থেকে ডিশ টা নিয়ে জলের গ্লাস টা শিনার হাতে দিয়ে ডিশ টা রাখতে রান্না ঘরে গেল। সেই সময়ে মুখ খুলল তিমির। তিমির শিনার দাদার নাম। বলল “ মহেশের সাথে না গেলেই পারত জিষ্ণু। এখন মহেশ ছেড়ে কথা বলবে না জিষ্ণু কে।কারন যতদূর আমি জানি জিষ্ণু কে একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল মহেশ। প্রথমে সে দায়িত্ব পুলিশের কাছেই এসেছিল। কিন্তু আমরা হাল ছেড়ে দিতে ওই দায়িত্ব জিষ্ণুর ওপরে দেয় ও স্পন্সর করার লোভ দেখিয়ে। জিষ্ণু সেই দায়িত্ব নিয়েছিল, কিন্তু করতে পারে নি ”। দাদার কথাটা শুনে শিনা একটু ঘাবড়েই গেল যেন। পুলিশ হয়েও দাদার এই রকম কথা ঠিক মানতে পারছে না শিনা। বা মানতে চাইছে না। ওর শেষ ভরসাই ছিল দাদা। ওদিকে তিমির বলল আবার “ দ্যাখ উপায় দুটো, এক তোরা এখানে চলে আয়, আমার বাড়িতে তুই নিরাপদ, মহেশ যত বড় গুণ্ডাই হোক না কেন পুলিশের বাড়িতে এসে কিছু করবে না, আর দ্বিতীয় তোরা আমাদের গ্রামের বাড়ি তে চলে যা , ওখানেই আত্ম গোপন করে থাক কিছুদিন”। শিনা মাথা নিচু করে চুপ করে রইল। ভাবতেই পারছে না। ওর ধারনায় ছিল না যে মহেশ বলে লোকটা এতটাই ভয়ংকর। শিনার বুক টা যেন কেঁপে কেঁপে উঠছে জিষ্ণুর কথা ভেবে। ইসসস কত টা নীচে নেমে গেছিলো ছেলেটা নিজের স্বপ্ন টা কে সাকার করবে বলে। চুপ করে রইল শিনা। জিষ্ণুর ওপরে রাগ হবার থেকে বেশি মায়া ই হচ্ছিল শিনার।তিমির শিনা কে আশ্বস্ত করে বলল “ দ্যাখ এখন মহেশ পুজার কাজে ব্যস্ত থাকবে মাস খানেক, সেই অবসরে তোরা যদি সরে পড়তে পারিস”।