23-08-2021, 09:12 PM
(This post was last modified: 10-09-2021, 11:33 AM by becpa. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
যেদিন অবনীর বাবা মা এলো - বাঙালি মার্কা ভাবে প্রথমেই দরজা খোলার পর খোকা খোকা বলে অবনীর মা অবনীকে জড়িয়ে ধরলে।
দরজা অবশ্য অবনী খুলেছিলো। ২৪ বছর এর ছেলেকে জড়িয়ে যে হামি খাওয়া যায় - সেটা বাঙালি ছাড়া কেউ করে উঠবে না - বিশাল পেছন থেকে সেটা দেখে
একটু স্মিতহাসি ছেড়ে দিলো , যেটা অবনীর নজর এড়ালো না।
অবনীর জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিশাল এর কাছে খেলো না হওয়া ।
বিশাল এর হাসি দেখেই অবনীর মনে হলো - মনে মনে বলছে - "কি চুতিয়াপা হচ্ছে - মানেই হয় না" একদম বিশাল স্টাইল এ।
অবশ্যই এই সার্কাস নিয়ে পরে বিশাল ওর সাথে মজা করবে, করবেই ।
অবনীর বাবা - কান্তি ঘোষ - ছোট্ট খাটো মানুষ - একটু রাশভারী - যেমন হয়ে থাকে - জীবনের প্রায় কোন উন্নতি করতে না পারা সাধারণ ছাপোষা বাবাদের মতনই - সেই বস্তাপচা ডিসাইন এর ব্যাগেজ নিয়ে - যেটা ভদ্রলোক মোট ফেলার মতন রাখলেন ফ্লোর এর উপরে ।
কান্তি বাবু কিন্তু এইতালে বিশাল এর সাথে করমর্দন সেরে ফেললেন - "তুমি বিশাল - তোমার অনেক গপ্পো শুনেছি।"
"নিশ্চই, খুব বাজে কিছু শোনেন নি আশাকরি" বলে বিশাল ।
অবনীর মা - বনানী বলে ওঠেন - "কতদিন বাদে খোকাকে দেখছি।"
প্রচুর পরিমানে কোলাকুলি শেষে - অবনী অফিসিয়ালি বিশাল কে ইন্ট্রোডিউস করে -
"মা, বাবা - এই হলো বিশাল - আমার প্রায় সবকিছুর গুরু - আর গুরু এই হল আবার বাবা কান্তি ঘোষ আর বনানী ঘোষ আমার মা."
বিশাল নিজের জিম শর্ট এন্ড স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত অবস্থাতে প্রতিনমস্কার করে.
ঘোষ ফ্যামিলি ছোট্টোখাট্টো। বাবা , ছেলে কেউ ই ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির বেশি না - আর মা মেরে কেটে ৫ ফুট হবে.
তার পাশে বিশাল এর সত্যি বিশাল হাইট - ৬ ফুট পাক্কা - বেশি ও হতে পারে।
সেই বিশাল উচ্চতা থেকে বিশাল চুপ চাপ ফ্যামিলি রিইউনিয়ন দেখে চলছে আর মাঝে মাঝে ফিক ফিক করে হাসছে - যেতে অবনীর একদম ই চোখ এড়ায়নি ।
গোয়ার প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম সামলাতে বনানীর পরনে ছিল সুতির সালোয়ার আর কামিজ। চপ্পল এর বেশি আশা করা ভুল ।
বনানী ফর্সা - boys কাট চুল প্রায় - কিন্তু ছোট্টোখাট্টো।
সামনে পেছন থেকে দেখলে - shape আছে বলা যায় - কোমর তো বটেই - বুকটাও মোটামুটি উঁচু - কিন্তু মতের উপর রোগা - কিছুতেই মোটা বলা যাবে না ।
দিনরাতের বাড়ির কাজ সামলানোর পরিনামএ ফিগার ঠিক ই ধরে রেখেছে ।
কান্তিবাবুর পরনে টি শার্ট আর হাফ প্যান্ট - গোয়ার গো ড্রেস, এবং অতি সাধারণ চপ্পল । অবনীর থেকেও রোগা - এবং কালো এবং বয়স অনুপাতে টাক পড়া শুরু হয়েছে ।
বিশাল ভালো করে দুজনকে নমস্কার করে ফেলে - গুড বয় হয়ে । যদিও অবনীর দিকে তাকিয়ে একটু ফিক করে হাসতে ভোলে না ।
ভালো করে দেখলে অবনী আর কান্তির মধ্যে রীতিমতন মিল পাওয়া যায় - যদি বনানী আর অবনীর মিল পাওয়া খুব কষ্টের।
বিশাল এর এ হেনো judgmental দৃষ্টির সামনে - অবনী দেখে সেই বস্তাপচা ব্যাগ যা কান্তি এনেছে ।
"এগুলো কি? আমি কত করে বলেছি একটু বেটার জিনিস কিনতে - এর কি মানে হয়? সেই মান্ধাতা আমলের ব্যাগ!"
বনানী যোগ দেয় ছেলের সাথে - "আমি তো সেই কোথায় বললাম - নতুন দরকার - তোর বাবা তো শোনেই না ।" মুখ ঝামটা দিয়ে ওঠে ।
বনানী সাপোর্ট বাড়ানোর জন্যে বিশাল এর দিকে তাকায় - বিশাল এর মুখে একটা স্মিত হাসি দেখতে পায় - বোধকরি যার মানে - "ঠিক কথা !" ।
আলতু ফালতু কথাবার্তার পর কান্তি আর বনানীর জন্যে ঘর ঠিক হয় - বিশাল এর ঠিক পাশের ঘর - পাশ দিয়ে সমুদ্র - জানলা দিয়ে দেখা যায় ।
ব্যাচেলর ছেলেপিলের দল কি আর সাজাবে - স্পার্টান অবস্থা ঘরের - তবে বিরাট বড় একটা খাট বিছনা - আলনা, আর ক্লোসেট ।
বনানী খুশি মনে আনপ্যাক করতে লেগে যায় - সাথে কান্তি ।
পরের সমস্যা কিচেন আর রান্না । বাইরে থেকে চিকেন বিরিয়ানি আনা হয়েছে - সেটা স্রেফ গরম করলেই হবে -
সুতরাং সেটা মাইক্রোওয়েভ এ বসিয়ে দিয়েছে অবনী - তখন বিশাল কিচেন এ ঢোকে ।
"বাপ্ মা অল ওকে ?" বলে বিশাল ।
বলতে বলতে ফ্রিজ থেকে একটা Heineken এর বোতল বের করে । বিশাল সব সময়ে প্রস্তুত - মাল নিয়ে ।
অবনী বলে ওঠে - "হ্যান ভাই - দূর থেকে এসেছে তো - বিরক্ত হয়ে আছে একটু , কে না হয় বল?"
"হুম । তোর মা তোর বাবাকে দেখাচ্ছিল বাড়ির বস কে । ইন্টারেষ্টিং । তোর বাবা নিতান্তই গোবেচারা - wimp বলা যায় ।
স্রেফ ভারিক্কি মেরে থাকে - কিন্তু বাড়িতে সব তোর মা ই ডিসিশন মেকার কি বলিস?"
"না wimp কেন হবে? বিয়ের পর সব বর বৌ এর আঁচল এর তলায় থাকে। বিয়ে কর টের পাবি।" অবনী বলে ওঠে ।
"না রে আবাল - নইলে কি বিয়ে টেকে না নাকি ? এ রকম আবাল হবার থেকে বিয়ে না করে ভালো " বিশাল জবাব দেয় ।
সত্যি কথা বলতে কি বিশাল ভুল কিছু বলে নি - অবনী ভাবতে থাকে ।
বাড়িতে যা ডিসিশন নেবার হয় - সব বনানী , সমস্ত কিছু বনানী ।
এইটা সত্যি যে বনানী নিতান্তই মিষ্টি এবং সাদা সিধে কিন্তু আজ ইস্তক কখনো মার সাথে বাবাকে কোনো ঝগড়াতে জিততে দেখে নি অবনী ।
বিশাল টুক করে হাওয়া হয়ে যায় সিন থেকে - আর অবনীর খেয়াল হয় কি মাইক্রোওয়েভ তা শব্দ করছে । বিরিয়ানি রেডি !
অবনী নিজেই ডাইনিং টেবিলএ খাবার সাজিয়ে রাখে - আর বাবা মা কে ডাকতে যায় ।
আদ্ধেক খোলা দরজা - গুজ গুজ করে শব্দ আসছে - মা আর বাবা এখনো বাকবিতন্ডা করে চলেছে ।
অবনী ধীরে ধীরে দরজা knock করে ।
দরজা অবশ্য অবনী খুলেছিলো। ২৪ বছর এর ছেলেকে জড়িয়ে যে হামি খাওয়া যায় - সেটা বাঙালি ছাড়া কেউ করে উঠবে না - বিশাল পেছন থেকে সেটা দেখে
একটু স্মিতহাসি ছেড়ে দিলো , যেটা অবনীর নজর এড়ালো না।
অবনীর জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিশাল এর কাছে খেলো না হওয়া ।
বিশাল এর হাসি দেখেই অবনীর মনে হলো - মনে মনে বলছে - "কি চুতিয়াপা হচ্ছে - মানেই হয় না" একদম বিশাল স্টাইল এ।
অবশ্যই এই সার্কাস নিয়ে পরে বিশাল ওর সাথে মজা করবে, করবেই ।
অবনীর বাবা - কান্তি ঘোষ - ছোট্ট খাটো মানুষ - একটু রাশভারী - যেমন হয়ে থাকে - জীবনের প্রায় কোন উন্নতি করতে না পারা সাধারণ ছাপোষা বাবাদের মতনই - সেই বস্তাপচা ডিসাইন এর ব্যাগেজ নিয়ে - যেটা ভদ্রলোক মোট ফেলার মতন রাখলেন ফ্লোর এর উপরে ।
কান্তি বাবু কিন্তু এইতালে বিশাল এর সাথে করমর্দন সেরে ফেললেন - "তুমি বিশাল - তোমার অনেক গপ্পো শুনেছি।"
"নিশ্চই, খুব বাজে কিছু শোনেন নি আশাকরি" বলে বিশাল ।
অবনীর মা - বনানী বলে ওঠেন - "কতদিন বাদে খোকাকে দেখছি।"
প্রচুর পরিমানে কোলাকুলি শেষে - অবনী অফিসিয়ালি বিশাল কে ইন্ট্রোডিউস করে -
"মা, বাবা - এই হলো বিশাল - আমার প্রায় সবকিছুর গুরু - আর গুরু এই হল আবার বাবা কান্তি ঘোষ আর বনানী ঘোষ আমার মা."
বিশাল নিজের জিম শর্ট এন্ড স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত অবস্থাতে প্রতিনমস্কার করে.
ঘোষ ফ্যামিলি ছোট্টোখাট্টো। বাবা , ছেলে কেউ ই ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির বেশি না - আর মা মেরে কেটে ৫ ফুট হবে.
তার পাশে বিশাল এর সত্যি বিশাল হাইট - ৬ ফুট পাক্কা - বেশি ও হতে পারে।
সেই বিশাল উচ্চতা থেকে বিশাল চুপ চাপ ফ্যামিলি রিইউনিয়ন দেখে চলছে আর মাঝে মাঝে ফিক ফিক করে হাসছে - যেতে অবনীর একদম ই চোখ এড়ায়নি ।
গোয়ার প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম সামলাতে বনানীর পরনে ছিল সুতির সালোয়ার আর কামিজ। চপ্পল এর বেশি আশা করা ভুল ।
বনানী ফর্সা - boys কাট চুল প্রায় - কিন্তু ছোট্টোখাট্টো।
সামনে পেছন থেকে দেখলে - shape আছে বলা যায় - কোমর তো বটেই - বুকটাও মোটামুটি উঁচু - কিন্তু মতের উপর রোগা - কিছুতেই মোটা বলা যাবে না ।
দিনরাতের বাড়ির কাজ সামলানোর পরিনামএ ফিগার ঠিক ই ধরে রেখেছে ।
কান্তিবাবুর পরনে টি শার্ট আর হাফ প্যান্ট - গোয়ার গো ড্রেস, এবং অতি সাধারণ চপ্পল । অবনীর থেকেও রোগা - এবং কালো এবং বয়স অনুপাতে টাক পড়া শুরু হয়েছে ।
বিশাল ভালো করে দুজনকে নমস্কার করে ফেলে - গুড বয় হয়ে । যদিও অবনীর দিকে তাকিয়ে একটু ফিক করে হাসতে ভোলে না ।
ভালো করে দেখলে অবনী আর কান্তির মধ্যে রীতিমতন মিল পাওয়া যায় - যদি বনানী আর অবনীর মিল পাওয়া খুব কষ্টের।
বিশাল এর এ হেনো judgmental দৃষ্টির সামনে - অবনী দেখে সেই বস্তাপচা ব্যাগ যা কান্তি এনেছে ।
"এগুলো কি? আমি কত করে বলেছি একটু বেটার জিনিস কিনতে - এর কি মানে হয়? সেই মান্ধাতা আমলের ব্যাগ!"
বনানী যোগ দেয় ছেলের সাথে - "আমি তো সেই কোথায় বললাম - নতুন দরকার - তোর বাবা তো শোনেই না ।" মুখ ঝামটা দিয়ে ওঠে ।
বনানী সাপোর্ট বাড়ানোর জন্যে বিশাল এর দিকে তাকায় - বিশাল এর মুখে একটা স্মিত হাসি দেখতে পায় - বোধকরি যার মানে - "ঠিক কথা !" ।
আলতু ফালতু কথাবার্তার পর কান্তি আর বনানীর জন্যে ঘর ঠিক হয় - বিশাল এর ঠিক পাশের ঘর - পাশ দিয়ে সমুদ্র - জানলা দিয়ে দেখা যায় ।
ব্যাচেলর ছেলেপিলের দল কি আর সাজাবে - স্পার্টান অবস্থা ঘরের - তবে বিরাট বড় একটা খাট বিছনা - আলনা, আর ক্লোসেট ।
বনানী খুশি মনে আনপ্যাক করতে লেগে যায় - সাথে কান্তি ।
পরের সমস্যা কিচেন আর রান্না । বাইরে থেকে চিকেন বিরিয়ানি আনা হয়েছে - সেটা স্রেফ গরম করলেই হবে -
সুতরাং সেটা মাইক্রোওয়েভ এ বসিয়ে দিয়েছে অবনী - তখন বিশাল কিচেন এ ঢোকে ।
"বাপ্ মা অল ওকে ?" বলে বিশাল ।
বলতে বলতে ফ্রিজ থেকে একটা Heineken এর বোতল বের করে । বিশাল সব সময়ে প্রস্তুত - মাল নিয়ে ।
অবনী বলে ওঠে - "হ্যান ভাই - দূর থেকে এসেছে তো - বিরক্ত হয়ে আছে একটু , কে না হয় বল?"
"হুম । তোর মা তোর বাবাকে দেখাচ্ছিল বাড়ির বস কে । ইন্টারেষ্টিং । তোর বাবা নিতান্তই গোবেচারা - wimp বলা যায় ।
স্রেফ ভারিক্কি মেরে থাকে - কিন্তু বাড়িতে সব তোর মা ই ডিসিশন মেকার কি বলিস?"
"না wimp কেন হবে? বিয়ের পর সব বর বৌ এর আঁচল এর তলায় থাকে। বিয়ে কর টের পাবি।" অবনী বলে ওঠে ।
"না রে আবাল - নইলে কি বিয়ে টেকে না নাকি ? এ রকম আবাল হবার থেকে বিয়ে না করে ভালো " বিশাল জবাব দেয় ।
সত্যি কথা বলতে কি বিশাল ভুল কিছু বলে নি - অবনী ভাবতে থাকে ।
বাড়িতে যা ডিসিশন নেবার হয় - সব বনানী , সমস্ত কিছু বনানী ।
এইটা সত্যি যে বনানী নিতান্তই মিষ্টি এবং সাদা সিধে কিন্তু আজ ইস্তক কখনো মার সাথে বাবাকে কোনো ঝগড়াতে জিততে দেখে নি অবনী ।
বিশাল টুক করে হাওয়া হয়ে যায় সিন থেকে - আর অবনীর খেয়াল হয় কি মাইক্রোওয়েভ তা শব্দ করছে । বিরিয়ানি রেডি !
অবনী নিজেই ডাইনিং টেবিলএ খাবার সাজিয়ে রাখে - আর বাবা মা কে ডাকতে যায় ।
আদ্ধেক খোলা দরজা - গুজ গুজ করে শব্দ আসছে - মা আর বাবা এখনো বাকবিতন্ডা করে চলেছে ।
অবনী ধীরে ধীরে দরজা knock করে ।