23-08-2021, 12:48 PM
ডাক্তার পর্ব
"হাবুল!! উঠেছিস? নটা বেজে গেছে তো"
দরজার খট খট আওয়াজ আর মার ডাকাডাকি তে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো। টেবিল এর ওপরে রাখা অ্যালার্ম ঘড়িটা দেখলাম, হ্যাঁ সত্যি সোয়া নটা বাজে।
আজ শনিবার, নন্তু বলেছিল স্টেশন এর পাশে নতুন যে জবর দখল কলোনি হয়েছে তাদের মেয়ে বউ রা কল পাড়ে এমনি এমনি চান করে। লুকিয়ে লুকিয়ে নাকি ওদের বুক পেট দেখা যেতে পারে। নিদেন পক্ষে ভেজা গা তো দেখা যাবে। আমি তড়াক করে উঠে বাইরের ঘরে বেড়িয়ে এলাম।
"টেবিল এ এক টাকা রেখেছি, ডাক্তার কাকুর কাছ থেকে বাবার ওষুধ নিয়ে আসিস আজকে। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে", মা রান্নাঘর থেকেই বলল।
"থাক, হাবুল তোকে যেতে হবে না। তুই তোর পাড়া বেরনোর কাজ ফেলে এসবের মধ্যে আসিস না। স্বপ্না তুমিই গিয়ে নিয়ে এসো", বাবা বারান্দায় বসে রেডিও নিয়ে খুট খাট করতে করতে বলল। আমি যেন মার দীর্ঘ নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলাম। আমি তো বেশ ভাল করেই জানি কেন বাবা খালী মা কে এদের কাছে ঠেলে দিতে চাইছে।
"দোকান খুলবে না আজকে?", আঙ্গুল দিয়ে দাঁত ঘসতে ঘসতে বাবা কে জিগাসা করলাম।
"ধুর লেবু লজেন্স ছাড়া কিস্যু বিক্রি হয়না, বেকার পণ্ডশ্রম", বাবা মুখ ভেংচে উত্তর দিল।
আমি মনে মনে ভাব্লাম, এইরকম মানসিকতা থাকলে সবাই কে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে খুব শীগগির, যদি না মা চাকরী টা পায়। আর তারজন্যে কিছু ভালো লোক কে যদি একটু খুশী করতে হয় তাতে মার এতো আপত্তির কি আছে। শ্যামল কাকু তো কি ভালো লোক। আমাকে বলছে সামনের বছর ডিসট্রিক্ট এর হয়ে খেলার সুযোগ করে দেবে। ডাক্তার কাকু, মনিরুল চাচা এরা সবাই তো আমাদেরকে ভালোবাসে, মা কে নাহয় একটু বেশীই বাসে, ক্ষতি কি। বাবা ভুল কিছু বলেনি, কিন্তু তারজন্যে গায়ে হাত তোলার কোন মানে হয় না। আমি চোঁচোঁ দৌড় লাগালাম নন্তু দের বাড়ির দিকে।
"সব্বাই বলছে পুজর পড়েই যুদ্ধ লাগবে", নন্তু পিছনে ক্যারিয়ার এর দিক থেকে বলল, "রেডিও তে আজকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আছে নাকি, বাবা গেলো তদের বাড়িতে বসে শুনবে"।
"হাবুল!! উঠেছিস? নটা বেজে গেছে তো"
দরজার খট খট আওয়াজ আর মার ডাকাডাকি তে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো। টেবিল এর ওপরে রাখা অ্যালার্ম ঘড়িটা দেখলাম, হ্যাঁ সত্যি সোয়া নটা বাজে।
আজ শনিবার, নন্তু বলেছিল স্টেশন এর পাশে নতুন যে জবর দখল কলোনি হয়েছে তাদের মেয়ে বউ রা কল পাড়ে এমনি এমনি চান করে। লুকিয়ে লুকিয়ে নাকি ওদের বুক পেট দেখা যেতে পারে। নিদেন পক্ষে ভেজা গা তো দেখা যাবে। আমি তড়াক করে উঠে বাইরের ঘরে বেড়িয়ে এলাম।
"টেবিল এ এক টাকা রেখেছি, ডাক্তার কাকুর কাছ থেকে বাবার ওষুধ নিয়ে আসিস আজকে। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে", মা রান্নাঘর থেকেই বলল।
"থাক, হাবুল তোকে যেতে হবে না। তুই তোর পাড়া বেরনোর কাজ ফেলে এসবের মধ্যে আসিস না। স্বপ্না তুমিই গিয়ে নিয়ে এসো", বাবা বারান্দায় বসে রেডিও নিয়ে খুট খাট করতে করতে বলল। আমি যেন মার দীর্ঘ নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলাম। আমি তো বেশ ভাল করেই জানি কেন বাবা খালী মা কে এদের কাছে ঠেলে দিতে চাইছে।
"দোকান খুলবে না আজকে?", আঙ্গুল দিয়ে দাঁত ঘসতে ঘসতে বাবা কে জিগাসা করলাম।
"ধুর লেবু লজেন্স ছাড়া কিস্যু বিক্রি হয়না, বেকার পণ্ডশ্রম", বাবা মুখ ভেংচে উত্তর দিল।
আমি মনে মনে ভাব্লাম, এইরকম মানসিকতা থাকলে সবাই কে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে খুব শীগগির, যদি না মা চাকরী টা পায়। আর তারজন্যে কিছু ভালো লোক কে যদি একটু খুশী করতে হয় তাতে মার এতো আপত্তির কি আছে। শ্যামল কাকু তো কি ভালো লোক। আমাকে বলছে সামনের বছর ডিসট্রিক্ট এর হয়ে খেলার সুযোগ করে দেবে। ডাক্তার কাকু, মনিরুল চাচা এরা সবাই তো আমাদেরকে ভালোবাসে, মা কে নাহয় একটু বেশীই বাসে, ক্ষতি কি। বাবা ভুল কিছু বলেনি, কিন্তু তারজন্যে গায়ে হাত তোলার কোন মানে হয় না। আমি চোঁচোঁ দৌড় লাগালাম নন্তু দের বাড়ির দিকে।
"সব্বাই বলছে পুজর পড়েই যুদ্ধ লাগবে", নন্তু পিছনে ক্যারিয়ার এর দিক থেকে বলল, "রেডিও তে আজকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আছে নাকি, বাবা গেলো তদের বাড়িতে বসে শুনবে"।