23-08-2021, 12:39 PM
শিবা যখন নামল দমদমে আর পিছনে জিনিয়া পাপি কে কোলে নিয়ে তখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল প্রায়। বাইরের লবি তে পাপি আর জিনিয়া কে দাঁড় করিয়ে সুটকেস টা নিয়ে বেড়িয়ে এসেই দেখল মুস্তাফা দা দাঁড়িয়ে আছে। ওরা একটা ইনোভা তে চড়ে ছুটতে শুরু করল।
- মুস্তাফা দা কি হয়েছে একটু বলবে? জিনি থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করে ফেলল মুস্তাফা কে। “আমাকে শিবা কিছু বলছে না” । মুস্তাফা শিবার দিকে তাকিয়ে দেখল শিবা থম মেরে গেছে। ঠিক সেই রকম যেদিন ও মিলির মৃতদেহ টা পুড়িয়ে এসেছিল বাড়িতে। সেদিন ও গাড়িতে করে ফেরার সময়ে থম মেরে গেছিলো এমনি ভাবেই। মুস্তাফা একবার শিবা কে দেখে নিয়ে জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
- তোকে না পেয়ে মহেশ জিষ্ণু র বউ কে তুলে নিয়ে যাবার প্ল্যান করেছে নিজের ডেরায়...
- সে কি? জিনিয়া প্রায় আঁতকে উঠল। যদিও ও জানত যে জিষ্ণু ই জিনিয়া কে মহেশের কাছে পৌঁছনর দায়িত্বে ছিল। কিন্তু পারে নি। একটা মেয়ে যার সর্বনাশ করতে চলেছে মহেশ, জিনিয়া নিজে মেয়ে হয়ে সেটা কি করে মেনে নেয়। জিনিয়া কেমন যেন অস্থির হয়ে গেল। কিন্তু এই টা শুনে শিবা চলে এলো কেন সেটাই বুঝতে পারছে না জিনিয়া। নাকি এটা আসল কারন নয়। ঘটনা টা মানতে পারছে না জিনি। একটা মেয়েকে এই সভ্য সমাজে কেউ কামুক তুলে নিয়ে যাবে এটা কে মানা যায় না কিন্তু যে লোকটা জিনিয়া কে তুলে যেতে চেয়েছিল, তার বউ কে মহেশ তুলে নিয়ে যাবে শুনে শিবা এত দূর থেকে নিজের মেয়েকে আর জিনিয়া কে নিয়ে চলে এলো কেন। শিবা তখন ও বাইরের দিকে তাকিয়ে। ও ম্যাম এর মনের মধ্যে চলা এই প্রশ্ন টা পরে নিয়েছে ততক্ষনে ম্যাম কে না দেখেই। ঠিক তেমনি ভাবেই বাইরের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থেকে জবাব দিল- “জিষ্ণু আমার ভাই”।
চমকে উঠেছিল জিনিয়া শিবার কথা টা শুনে। মানে শিবা জানত আগে থেকেই। জিষ্ণু বলে ছেলেটা শিবার ভাই সেই কথা টা জিনিয়া জানতই না! সেই জন্য জিনিয়া আর পাপি কে নিয়ে চলে গেছিলো দূরে। নিজে কেমন ভেঙ্গে পড়ল জিনিয়া। বার বার মনে হতে থাকল যে জিনিয়ার জন্যেই আজকে শিবার পরিবারে এই বিপদ। নিজেকে ক্ষমা করবে কি ভাবে? ঘরের মধ্যে চুপ মেরে ছিল জিনিয়া। হাস্নু ওকে অনেক বার বুঝিয়েছে। ফল হয় নি।
শিনা অফিস থেকে বেড়িয়ে এলো। বাইরে ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ্দুর। পূজা এসে গেল কিন্তু রোদের তেজ এখন কমল না। দেখল দাদা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার উল্টো দিকেই। ও সোজা এসে দাদার গাড়িতে চেপে পড়ল। কিন্তু যেন দেখল আবার সেই ছেলেটাকে এক ঝলক গাড়ি তে ওঠার আগে। ছেলেটা কে বুঝতে দিল না। চেপে পড়ল গাড়িতে। সোজা দাদার সাথে চলে এলো মাসীর বাড়ি।
- মুস্তাফা দা কি হয়েছে একটু বলবে? জিনি থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করে ফেলল মুস্তাফা কে। “আমাকে শিবা কিছু বলছে না” । মুস্তাফা শিবার দিকে তাকিয়ে দেখল শিবা থম মেরে গেছে। ঠিক সেই রকম যেদিন ও মিলির মৃতদেহ টা পুড়িয়ে এসেছিল বাড়িতে। সেদিন ও গাড়িতে করে ফেরার সময়ে থম মেরে গেছিলো এমনি ভাবেই। মুস্তাফা একবার শিবা কে দেখে নিয়ে জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
- তোকে না পেয়ে মহেশ জিষ্ণু র বউ কে তুলে নিয়ে যাবার প্ল্যান করেছে নিজের ডেরায়...
- সে কি? জিনিয়া প্রায় আঁতকে উঠল। যদিও ও জানত যে জিষ্ণু ই জিনিয়া কে মহেশের কাছে পৌঁছনর দায়িত্বে ছিল। কিন্তু পারে নি। একটা মেয়ে যার সর্বনাশ করতে চলেছে মহেশ, জিনিয়া নিজে মেয়ে হয়ে সেটা কি করে মেনে নেয়। জিনিয়া কেমন যেন অস্থির হয়ে গেল। কিন্তু এই টা শুনে শিবা চলে এলো কেন সেটাই বুঝতে পারছে না জিনিয়া। নাকি এটা আসল কারন নয়। ঘটনা টা মানতে পারছে না জিনি। একটা মেয়েকে এই সভ্য সমাজে কেউ কামুক তুলে নিয়ে যাবে এটা কে মানা যায় না কিন্তু যে লোকটা জিনিয়া কে তুলে যেতে চেয়েছিল, তার বউ কে মহেশ তুলে নিয়ে যাবে শুনে শিবা এত দূর থেকে নিজের মেয়েকে আর জিনিয়া কে নিয়ে চলে এলো কেন। শিবা তখন ও বাইরের দিকে তাকিয়ে। ও ম্যাম এর মনের মধ্যে চলা এই প্রশ্ন টা পরে নিয়েছে ততক্ষনে ম্যাম কে না দেখেই। ঠিক তেমনি ভাবেই বাইরের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থেকে জবাব দিল- “জিষ্ণু আমার ভাই”।
চমকে উঠেছিল জিনিয়া শিবার কথা টা শুনে। মানে শিবা জানত আগে থেকেই। জিষ্ণু বলে ছেলেটা শিবার ভাই সেই কথা টা জিনিয়া জানতই না! সেই জন্য জিনিয়া আর পাপি কে নিয়ে চলে গেছিলো দূরে। নিজে কেমন ভেঙ্গে পড়ল জিনিয়া। বার বার মনে হতে থাকল যে জিনিয়ার জন্যেই আজকে শিবার পরিবারে এই বিপদ। নিজেকে ক্ষমা করবে কি ভাবে? ঘরের মধ্যে চুপ মেরে ছিল জিনিয়া। হাস্নু ওকে অনেক বার বুঝিয়েছে। ফল হয় নি।
শিনা অফিস থেকে বেড়িয়ে এলো। বাইরে ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ্দুর। পূজা এসে গেল কিন্তু রোদের তেজ এখন কমল না। দেখল দাদা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার উল্টো দিকেই। ও সোজা এসে দাদার গাড়িতে চেপে পড়ল। কিন্তু যেন দেখল আবার সেই ছেলেটাকে এক ঝলক গাড়ি তে ওঠার আগে। ছেলেটা কে বুঝতে দিল না। চেপে পড়ল গাড়িতে। সোজা দাদার সাথে চলে এলো মাসীর বাড়ি।