23-08-2021, 12:37 PM
চারিদিকে হই হই শব্দ। পাগলের মতন চিৎকার করে চলেছে পুরো গ্যালারী। রিঙের এক ধারে দাঁড়িয়ে আছে সে। ছোট্ট একটা লাল রঙের শর্টস। খালি পা। হাতে হাফ গ্লাভস। যত সময় এগিয়ে আসছে ততই যেন উত্তেজনার পারদ টা চড়ে বসছে মাথায়। উতলা হচ্ছে মন টা হাড়ের সাথে হাড়ের ঠোকাঠুকির আওয়াজের জন্য। রক্তের কনা গুলো যেন ভেঙ্গে নতুন উৎসাহে দ্বিগুন হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে শরীর ময়। মাথা টা নিচু করে শরীর টা কে লাফিয়ে, ঘাড় টা এদিক ওদিক করে নিয়ে নিজের হাত পা আর পিঠের পেশী গুলো কে খেলিয়ে নিচ্ছে ও। কিছু পরেই অপনেনট চলে আসবে সামনে। তারপরেই শুরু হবে সেই বহু প্রতীক্ষিত লড়াই। নিজেকে স্থির করে মনযোগী করল ও। চোখ টা বুজল ধিরে ধিরে। গ্যালারীর আওয়াজ টা যেন কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে কি, নাকি মনে হচ্ছে দূর থেকে আসছে এবারে। কিছুক্ষনের মধ্যেই যেন সব নিস্তব্ধ। চোখটা খুলেই সামনে দেখতে পেল শিনা ওকে তুলছে ঘুম থেকে। উফফ স্বপ্ন ছিল।কবে যে মুক্তি পাবে এই স্বপ্ন থেকে কে জানে। কি করেই বা পাবে। এই স্বপ্ন টাই তো জিষ্ণু কে ঘুমোতে দেয় না। ঘুমলে জাগিয়ে দেয় নৃশংসের মতন। উঠে বসল জিষ্ণু।
শিনা দেখছে যে জিষ্ণু বেশ কিছুদিন ধরেই অন্যমনস্ক। কেন বুঝতে পারছে না। ও জানে যে স্বপ্ন জিষ্ণু দেখে সেটা পূর্ণ করার সামর্থ্যে কুলচ্ছে না বলেই জিষ্ণু একটু উদাসীন এখন শিনার ব্যাপারে। শিনা সেটা বোঝে আর তাই ওর বুকের ভিতরে একটা চাপ বেড়েই চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। জিষ্ণুর মুখে ওর মায়ের মৃত্যুর কাহিনী শোনার পর থেকে ওই বুড়ো মানুষটার ওপরেও মায়া কেমন যেন বেড়ে গেছে। মানতে পারছে না একটা ভুল নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়া জিষ্ণুর দাদার। শিবা ওর দাদার নাম। সেটা জিষ্ণু ই বলেছে। জিষ্ণুর চোখে দাদার জন্য অপিরিসিম ভালবাসা ও দেখেছে। দেখেছে সেই বিশাল অভিমান, যেটা পুষে রেখেছে নিজের ভিতরেই। বের করে না মনে ভিতর থেকে কোনদিন ই। আর বাবার সামনে তো নয় ই। আর সত্যি ই তো বুড়ো মানুষ টাও তো কষ্টই পাচ্ছে। না জানি সে কত কষ্টে আছে যে এক সেকেন্ডের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছিলো। কত ভালই না বাসত তার মা কে। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে শিনা ভেবেই চলেছে এই পরিবারের মান অভিমানের ব্যাপার গুলো। কত সহজেই ভেঙ্গে যায় এত দিনের পুরনো একটা বিশ্বাস একটা সম্পর্ক। কিন্তু সত্যি কি ভাঙ্গে? কি জানি। মনে তো হয় অন্তঃসলিলা হয়ে বয়ে চলে অনন্তকাল, যতদিন না একে অপরের বুকে মাথা রেখে কেঁদে সব গ্লানি বের হয়ে যাচ্ছে। শিনার খুব ইচ্ছা জিষ্ণুর দাদার সাথে দেখা করার। জিজ্ঞাসা করার খুব ইচ্ছে, যে একদিন ও কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর ভাই কে? একদিন ও কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর বাবাকে। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কি করে? ও একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, ছেলেকে ধীরে শুইয়ে দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো। অফিসের সময় হয়ে আসছে। বেরতে হবে ওকে। বাইরে ব্যাল্কনি তে দাঁড়িয়ে জিষ্ণুর বারমুডা টা শুকিয়ে গেছিলো, তুলে নিয়ে ফের ঢুকতে যাবে ঠিক সেই সময়ে রাস্তায় ওদের বাড়ীর দিকে চেয়ে থাকা ছেলেটা কে আবার দেখল। এবারে যেন সরে গেল শিনা দেখেই একটা লাইট পোস্টের আড়ালে। জিষ্ণু কে কথা টা বলবে বলবে করে ও ভুলেই গেছিলো। কিন্তু আজকে বলতেই হবে। একটা অজানা ভয়ে শিনা কেমন গুম হয়ে গেল। কেমন যেন একটা দম ধরা ভয়। নাআহ আর না এবারে বলতেই হবে দাদা কে। ওর মাসতুত দাদা, কলকাতা পুলিশের বেশ বড় কর্তা। জিষ্ণু কে বিয়ে করলেও দাদা বাড়িতে প্রায় ই আসে। আর সম্পর্ক ও ভালই আছে দাদার সাথে। আজকেই বলবে ফোন করে...
শিনা দেখছে যে জিষ্ণু বেশ কিছুদিন ধরেই অন্যমনস্ক। কেন বুঝতে পারছে না। ও জানে যে স্বপ্ন জিষ্ণু দেখে সেটা পূর্ণ করার সামর্থ্যে কুলচ্ছে না বলেই জিষ্ণু একটু উদাসীন এখন শিনার ব্যাপারে। শিনা সেটা বোঝে আর তাই ওর বুকের ভিতরে একটা চাপ বেড়েই চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। জিষ্ণুর মুখে ওর মায়ের মৃত্যুর কাহিনী শোনার পর থেকে ওই বুড়ো মানুষটার ওপরেও মায়া কেমন যেন বেড়ে গেছে। মানতে পারছে না একটা ভুল নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়া জিষ্ণুর দাদার। শিবা ওর দাদার নাম। সেটা জিষ্ণু ই বলেছে। জিষ্ণুর চোখে দাদার জন্য অপিরিসিম ভালবাসা ও দেখেছে। দেখেছে সেই বিশাল অভিমান, যেটা পুষে রেখেছে নিজের ভিতরেই। বের করে না মনে ভিতর থেকে কোনদিন ই। আর বাবার সামনে তো নয় ই। আর সত্যি ই তো বুড়ো মানুষ টাও তো কষ্টই পাচ্ছে। না জানি সে কত কষ্টে আছে যে এক সেকেন্ডের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছিলো। কত ভালই না বাসত তার মা কে। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে শিনা ভেবেই চলেছে এই পরিবারের মান অভিমানের ব্যাপার গুলো। কত সহজেই ভেঙ্গে যায় এত দিনের পুরনো একটা বিশ্বাস একটা সম্পর্ক। কিন্তু সত্যি কি ভাঙ্গে? কি জানি। মনে তো হয় অন্তঃসলিলা হয়ে বয়ে চলে অনন্তকাল, যতদিন না একে অপরের বুকে মাথা রেখে কেঁদে সব গ্লানি বের হয়ে যাচ্ছে। শিনার খুব ইচ্ছা জিষ্ণুর দাদার সাথে দেখা করার। জিজ্ঞাসা করার খুব ইচ্ছে, যে একদিন ও কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর ভাই কে? একদিন ও কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর বাবাকে। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কি করে? ও একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, ছেলেকে ধীরে শুইয়ে দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো। অফিসের সময় হয়ে আসছে। বেরতে হবে ওকে। বাইরে ব্যাল্কনি তে দাঁড়িয়ে জিষ্ণুর বারমুডা টা শুকিয়ে গেছিলো, তুলে নিয়ে ফের ঢুকতে যাবে ঠিক সেই সময়ে রাস্তায় ওদের বাড়ীর দিকে চেয়ে থাকা ছেলেটা কে আবার দেখল। এবারে যেন সরে গেল শিনা দেখেই একটা লাইট পোস্টের আড়ালে। জিষ্ণু কে কথা টা বলবে বলবে করে ও ভুলেই গেছিলো। কিন্তু আজকে বলতেই হবে। একটা অজানা ভয়ে শিনা কেমন গুম হয়ে গেল। কেমন যেন একটা দম ধরা ভয়। নাআহ আর না এবারে বলতেই হবে দাদা কে। ওর মাসতুত দাদা, কলকাতা পুলিশের বেশ বড় কর্তা। জিষ্ণু কে বিয়ে করলেও দাদা বাড়িতে প্রায় ই আসে। আর সম্পর্ক ও ভালই আছে দাদার সাথে। আজকেই বলবে ফোন করে...