20-08-2021, 04:44 PM
সান্তনা কে দেখেই মরা দিয়ে বসতে বলে , আর সান্তনা কে আফসোস জানাতে থাকে ঘটনার ৷
"কাকাবাবু এই বারে আমাদের পয়সা তুমি দিয়ে দাও ! আমার সওয়ামির অসুখ , সে হাসপাতালে তার চিকিত্সা করতে হবে , তুমি পয়সা না দিলে পথে বসতে হবে কাকাবাবু !" অনুরোধ ঝরে পরলেও ভিতরে মন কে শক্ত করে নেয় সান্তনা ৷ পয়সা না পেলে এই বুড়ো কেই কোপাবে সে রাম দা দিয়ে ৷ দেবেন হালদার হুকয় লম্বা টান দিয়ে বলে" জহর কে তো সকালেই বললাম যে এক মাসে আমি তাকে ২ লাখ টাকা দিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু কথা থেকে যে কি হয়ে গেল ! বাছা এখুনি তো আমার কাছে এত টাকা হবে না কাল সকালে না হয় আয় মা দেখি হাজার পঞ্চাশ টাকা যদি তোকে দিতে পারি ৷ " দেবেনএর কথায় মন ভরে যায় সান্তনার ৷ তাহলে দেবেন হালদার এ কাজ করে নি? টাকা যদি দিতে হত তাহলে জহর কে মেরে তার কি লাভ ! সে অঙ্কে কাঁচা তার সে সব ধারনায় আসে না ৷ " ঠিক আছে কাকাবাবু এখন তাই দাও পরে বাকি টাকা দিও " বলে ঘোমটা টেনে হাটতে থাকে গায়ের আল ধরে নিজের বাড়ির দিকে ৷ পথে ছায়া কে দেখতে পায় ৷ মন হালকা হয় তার ৷ পাক্কা দেড় মাস হাসপাতাল চক্কর কাটতে হবে সান্তনা কে ৷ পরের দিন দেবেন সকালে এসে ৫০০০০ টাকা দিয়ে যায় সান্তনার কাছে ৷ গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে "বাছা আমার যা ছিল দিয়েছি , এখন তো আর কিছু হবে না তুই বরণ সনাতন এর কাছে আরেকবার যা , দেখ গায়ের ঠিকাদার দের বলে কয়ে কিছু পয়সার বন্দোবস্ত হয় কিনা !" টাকা সাবধানে বড় ভাইয়ের হাথে দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় সান্তনা ৷ এই টাকা হাসপাতালে দিলে ডাক্তার রা ভালো করে চিকিত্সা করবে ৷
সনাতন বাড়িতে ছিল না ৷ আসবে সেই দুপুর বেলা ৷ তারা তারই ঘরের কাজ সেরে নিয়ে গরু বাছুর সামলে তৈরী হয়ে নেয় সান্তনা ৷ ছায়া আগেই এসে দালানে বসে আছে ৷ তার ভীষণ মন খারাপ ৷ তাকে সাথে নিয়েই বেরিয়ে পরে সনাতন ঘোষালের বাড়ি ৷ কাছারী থেকে ফিরে হাথ পা ধুয়ে খেতে বসেছে মাত্র সনাতন ৷ গ্রামের এই তল্লাটে সনাতনের বাড়িতেই পাকা দালান , মজেক করা বনেদী ঘর ৷ তার অনেক প্রতিপত্তি , অনেক পয়সা ৷ সান্তনা ছায়া কে নিয়ে বাইরের বসার ঘরে বসে অপেখ্যা করতে থাকে ৷ আধা ঘন্টা পর সনাতন এসে আরাম কেদারায় বসে হুঁকো তে টান দিতে দিতে বলে " বল মা , টাকা পেলি?" সান্তনা মাথায় ঘোমটা আরেকটু টেনে বলে "কাকা ঠাকুর কিছু দেছেন দেবেন কাকা , বলেছেন বাকি টাকা মাস কাবার হলে দেবেন ৷ " সোনাতল মাথা নেড়ে হম হম করে ৷ সান্তনা উদ্বেগে বলে ওঠে " চিকিতসের বাকি টাকা আমায় যোগাড় করে দাও না কাকা ঠাকুর , মাস কাবারিতে টাকা পেলি আমি শোধ করে দেব !"
সনাতন খানিক চিন্তা করে বলে " আমি সুনিচি ২ লাখ টাকা , কিন্তু এত টাকা কে দেবে বল দিকি ! তাহলে তো আমার সুদখোর মহাজন দের দ্বারে যেতি হয় !" অত সুদ কি দিতি পারবি মা ?"
সাত পাঁচ না ভেবে সান্তনা মাথা নেড়ে বলে " হ্যান হেন খুব পারব !" এই উপাখ্যানের এখান থেকেই শুরু ৷
"কাকাবাবু এই বারে আমাদের পয়সা তুমি দিয়ে দাও ! আমার সওয়ামির অসুখ , সে হাসপাতালে তার চিকিত্সা করতে হবে , তুমি পয়সা না দিলে পথে বসতে হবে কাকাবাবু !" অনুরোধ ঝরে পরলেও ভিতরে মন কে শক্ত করে নেয় সান্তনা ৷ পয়সা না পেলে এই বুড়ো কেই কোপাবে সে রাম দা দিয়ে ৷ দেবেন হালদার হুকয় লম্বা টান দিয়ে বলে" জহর কে তো সকালেই বললাম যে এক মাসে আমি তাকে ২ লাখ টাকা দিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু কথা থেকে যে কি হয়ে গেল ! বাছা এখুনি তো আমার কাছে এত টাকা হবে না কাল সকালে না হয় আয় মা দেখি হাজার পঞ্চাশ টাকা যদি তোকে দিতে পারি ৷ " দেবেনএর কথায় মন ভরে যায় সান্তনার ৷ তাহলে দেবেন হালদার এ কাজ করে নি? টাকা যদি দিতে হত তাহলে জহর কে মেরে তার কি লাভ ! সে অঙ্কে কাঁচা তার সে সব ধারনায় আসে না ৷ " ঠিক আছে কাকাবাবু এখন তাই দাও পরে বাকি টাকা দিও " বলে ঘোমটা টেনে হাটতে থাকে গায়ের আল ধরে নিজের বাড়ির দিকে ৷ পথে ছায়া কে দেখতে পায় ৷ মন হালকা হয় তার ৷ পাক্কা দেড় মাস হাসপাতাল চক্কর কাটতে হবে সান্তনা কে ৷ পরের দিন দেবেন সকালে এসে ৫০০০০ টাকা দিয়ে যায় সান্তনার কাছে ৷ গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে "বাছা আমার যা ছিল দিয়েছি , এখন তো আর কিছু হবে না তুই বরণ সনাতন এর কাছে আরেকবার যা , দেখ গায়ের ঠিকাদার দের বলে কয়ে কিছু পয়সার বন্দোবস্ত হয় কিনা !" টাকা সাবধানে বড় ভাইয়ের হাথে দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় সান্তনা ৷ এই টাকা হাসপাতালে দিলে ডাক্তার রা ভালো করে চিকিত্সা করবে ৷
সনাতন বাড়িতে ছিল না ৷ আসবে সেই দুপুর বেলা ৷ তারা তারই ঘরের কাজ সেরে নিয়ে গরু বাছুর সামলে তৈরী হয়ে নেয় সান্তনা ৷ ছায়া আগেই এসে দালানে বসে আছে ৷ তার ভীষণ মন খারাপ ৷ তাকে সাথে নিয়েই বেরিয়ে পরে সনাতন ঘোষালের বাড়ি ৷ কাছারী থেকে ফিরে হাথ পা ধুয়ে খেতে বসেছে মাত্র সনাতন ৷ গ্রামের এই তল্লাটে সনাতনের বাড়িতেই পাকা দালান , মজেক করা বনেদী ঘর ৷ তার অনেক প্রতিপত্তি , অনেক পয়সা ৷ সান্তনা ছায়া কে নিয়ে বাইরের বসার ঘরে বসে অপেখ্যা করতে থাকে ৷ আধা ঘন্টা পর সনাতন এসে আরাম কেদারায় বসে হুঁকো তে টান দিতে দিতে বলে " বল মা , টাকা পেলি?" সান্তনা মাথায় ঘোমটা আরেকটু টেনে বলে "কাকা ঠাকুর কিছু দেছেন দেবেন কাকা , বলেছেন বাকি টাকা মাস কাবার হলে দেবেন ৷ " সোনাতল মাথা নেড়ে হম হম করে ৷ সান্তনা উদ্বেগে বলে ওঠে " চিকিতসের বাকি টাকা আমায় যোগাড় করে দাও না কাকা ঠাকুর , মাস কাবারিতে টাকা পেলি আমি শোধ করে দেব !"
সনাতন খানিক চিন্তা করে বলে " আমি সুনিচি ২ লাখ টাকা , কিন্তু এত টাকা কে দেবে বল দিকি ! তাহলে তো আমার সুদখোর মহাজন দের দ্বারে যেতি হয় !" অত সুদ কি দিতি পারবি মা ?"
সাত পাঁচ না ভেবে সান্তনা মাথা নেড়ে বলে " হ্যান হেন খুব পারব !" এই উপাখ্যানের এখান থেকেই শুরু ৷