19-08-2021, 02:03 PM
পরের মাসের গোড়ায় প্রশান্ত একটা চাকরি পেয়েই গেল। আগেরটার থেকে সামান্য কম বেতন, তবে এই নতুন ফ্যাক্ট্রি ব্যারাকপুরের দিকে। লিলুয়ার থেকে তো কাছে।
আর অতনু ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্ধুর আই টি ব্যবসা নিয়ে।
প্রশান্ত আর অতনু তখনও জানত না যে ওদের বউরা ঠিক কীভাবে নিজেদের রোজগার করছে। মাসের শেষে মনিকা আর শিউলি হিসাব করে দেখল যে ওই মাসে রোজগার প্রায় তিরিশ হাজার!
আজকাল নিজেদের জন্য কিছু টাকা ওরা দুজনেই খরচ করে। মাঝারি দরের রেস্টুরেন্টে খেতে যায় সবাই মিলে।
একটা টানা তিন চার দিনের ছুটিতে দীঘা ঘুরে এল প্রশান্ত-মনিকা-ওদের ছেলে - শিউলি-অতনু – সবাই মিলে।
অনেক বছর পরে ঘুরতে আসা।
ঘুরতে যাওয়ার কথাটা যখন প্রথম প্রশান্তকে জানিয়েছিল মনিকা, তখন অবাক হয়ে বউকে জিগ্যেস করেছিল ও, ‘মানে? ঘুরতে যাবে মানে? তোমাকে সারাদিন ধরে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের রোজগারটা একটু ঠিকঠাক হবে বলে, আর সেই টাকা এভাবে ওড়াবে?’
তবে শেষমেশ মনিকার জেদের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছিল প্রশান্তকে।
অতনুকেও প্রশান্তই রাজি করিয়েছিল।
অফিসে জানিয়ে মোবাইল থেকে সিমকার্ডটা খুলে রেখে এসেছে ওরা দুজনেই।
একঘেয়ে অভিনয়ের থেকে কয়েকটা দিনের ছুটি।
মনিকা আর শিউলি ওই কদিন নিজেদের বরেদের প্রাণ ভরে আদর করেছিল, আদর খেয়েছিল।
তারপর আবার সেই একই জীবন। টাকা আসছে হাতে অনেক, ওরা বরেদের না জানিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমাচ্ছে।
মাস তিনেক পরে অলোক একদিন অফিসে ডেকে পাঠাল ওদের।
‘আসুন আসুন ম্যাডাম। আপনাদের তো দারুণ বিলিং হয়েছে দেখলাম। এত ভাল পার্ফর্ম্যান্স!’
‘কিছু লোক এত বাজে গালাগালি দেয়, সহ্য করা মুশ্কিল হয়ে যায়।‘
‘হে হে ওটুকু তো করতেই হবে ম্যাডাম। তাও তো আপনাদের কাছে বেছে বেছে কলারদের পাঠাই, একটু সোবার। অনেক কলার আছে এত পার্ভার্ট, যে আমাদের কাছে মেয়েরা কমপ্লেন করেছে। তাদের ব্লক করে দিয়েছি আমরা। কী কী যে বলে দুস্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না ম্যাডাম।‘
‘তা যে জন্য আপনাদের আসতে বলা ম্যাডাম। আপনারা তো জেনেই গেছেন স্পেশাল কল মানে কী। তা আমরা ভিডিয়ো চ্যাটিং শুরু করছি। আপনাদের মুখ ঢেকে শরীর দেখাতে কী আপত্তি আছে? বাকিটা ফোনে যা যা করেন, সেগুলোই করতে হবে, তবে এবার হ্যাঁ আপনাদের চেহারা দেখাতে হবে। পেমেন্ট অনেক বেশী ম্যাডাম। আধঘন্টা সেশনে ৫ হাজার নিই আমরা। রোজ যদি নাও করেন, সপ্তাহে তিন চার দিন দিনে একবার করে করলেই ভাবুন মাসের শেষে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা,’ মুখ হাঁ করে থাকা মনিকা আর শিউলিকে কথাগুলো হজম করার সময় দিল অলোক।
‘এখুনি বলতে হবে না, ভেবে আমাকে জানালেই হবে ম্যাডাম।‘
‘ভাবার কিছু নেই অলোকবাবু। আমরা বলেই দিচ্ছি। ওটা পারব না আমরা। যেটা করছি, সেটাই ঠিক আছে।‘
আর অতনু ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্ধুর আই টি ব্যবসা নিয়ে।
প্রশান্ত আর অতনু তখনও জানত না যে ওদের বউরা ঠিক কীভাবে নিজেদের রোজগার করছে। মাসের শেষে মনিকা আর শিউলি হিসাব করে দেখল যে ওই মাসে রোজগার প্রায় তিরিশ হাজার!
আজকাল নিজেদের জন্য কিছু টাকা ওরা দুজনেই খরচ করে। মাঝারি দরের রেস্টুরেন্টে খেতে যায় সবাই মিলে।
একটা টানা তিন চার দিনের ছুটিতে দীঘা ঘুরে এল প্রশান্ত-মনিকা-ওদের ছেলে - শিউলি-অতনু – সবাই মিলে।
অনেক বছর পরে ঘুরতে আসা।
ঘুরতে যাওয়ার কথাটা যখন প্রথম প্রশান্তকে জানিয়েছিল মনিকা, তখন অবাক হয়ে বউকে জিগ্যেস করেছিল ও, ‘মানে? ঘুরতে যাবে মানে? তোমাকে সারাদিন ধরে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের রোজগারটা একটু ঠিকঠাক হবে বলে, আর সেই টাকা এভাবে ওড়াবে?’
তবে শেষমেশ মনিকার জেদের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছিল প্রশান্তকে।
অতনুকেও প্রশান্তই রাজি করিয়েছিল।
অফিসে জানিয়ে মোবাইল থেকে সিমকার্ডটা খুলে রেখে এসেছে ওরা দুজনেই।
একঘেয়ে অভিনয়ের থেকে কয়েকটা দিনের ছুটি।
মনিকা আর শিউলি ওই কদিন নিজেদের বরেদের প্রাণ ভরে আদর করেছিল, আদর খেয়েছিল।
তারপর আবার সেই একই জীবন। টাকা আসছে হাতে অনেক, ওরা বরেদের না জানিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমাচ্ছে।
মাস তিনেক পরে অলোক একদিন অফিসে ডেকে পাঠাল ওদের।
‘আসুন আসুন ম্যাডাম। আপনাদের তো দারুণ বিলিং হয়েছে দেখলাম। এত ভাল পার্ফর্ম্যান্স!’
‘কিছু লোক এত বাজে গালাগালি দেয়, সহ্য করা মুশ্কিল হয়ে যায়।‘
‘হে হে ওটুকু তো করতেই হবে ম্যাডাম। তাও তো আপনাদের কাছে বেছে বেছে কলারদের পাঠাই, একটু সোবার। অনেক কলার আছে এত পার্ভার্ট, যে আমাদের কাছে মেয়েরা কমপ্লেন করেছে। তাদের ব্লক করে দিয়েছি আমরা। কী কী যে বলে দুস্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না ম্যাডাম।‘
‘তা যে জন্য আপনাদের আসতে বলা ম্যাডাম। আপনারা তো জেনেই গেছেন স্পেশাল কল মানে কী। তা আমরা ভিডিয়ো চ্যাটিং শুরু করছি। আপনাদের মুখ ঢেকে শরীর দেখাতে কী আপত্তি আছে? বাকিটা ফোনে যা যা করেন, সেগুলোই করতে হবে, তবে এবার হ্যাঁ আপনাদের চেহারা দেখাতে হবে। পেমেন্ট অনেক বেশী ম্যাডাম। আধঘন্টা সেশনে ৫ হাজার নিই আমরা। রোজ যদি নাও করেন, সপ্তাহে তিন চার দিন দিনে একবার করে করলেই ভাবুন মাসের শেষে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা,’ মুখ হাঁ করে থাকা মনিকা আর শিউলিকে কথাগুলো হজম করার সময় দিল অলোক।
‘এখুনি বলতে হবে না, ভেবে আমাকে জানালেই হবে ম্যাডাম।‘
‘ভাবার কিছু নেই অলোকবাবু। আমরা বলেই দিচ্ছি। ওটা পারব না আমরা। যেটা করছি, সেটাই ঠিক আছে।‘