19-08-2021, 01:59 PM
পরের দুটো দিনও এভাবেই কেটে গেল। প্রশান্ত কয়েকটা জায়গা থেকে আশ্বাস পেয়েছে, সি ভি জমা দিয়েছে। কিন্তু সামনের মাসের আগে কোনও অশিওরেন্স কেউ দিতে পারছে না।
অতনুর এক বন্ধু তার আই টি ব্যবসার কাজে সঙ্গী হওয়ার প্রোপোজাল দিয়েছে। অতনু বোধহয় তাতেই রাজী হয়ে যাবে। বন্ধুটার বেশ কয়েকটা ব্যবসা – তাই আই টি তে ঠিকমতো মন দিতে পারছে না। কাজ জানা একজন কাউকে খুঁজছিলই যে। অতনুকে কিছুটা কম টাকায় পেয়ে গিয়ে তার লাভই হল।
শনিবার সকাল সকালই দুই বউ আর প্রশান্তর ছেলেকে নিয়ে পাঁচজন হাজির হল দমদমের ওই অফিসে।
জনা পনেরো মহিলা জড়ো হয়েছেন দেখা গেল। বেশ কয়েকজন হাউসওয়াইফ। বাকিরা কম বয়সী মেয়ে – বোধহয় কলেজে পড়ে বা পড়াশোনা শেষ করে বেকার বাড়িতে বসে আছে।
ট্রেনিং বিকেলে শেষ হবে। তাই এখানে অপেক্ষা করার মানে হয় না। প্রশান্ত ছেলে আর অতনুকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রো ধরতে এগিয়ে গেল। মনিকাকে বলে গেল, কোনও অসুবিধা হলেই যেন ফোন করে।
এই প্রথম মনিকা আর শিউলি কাজে বেরিয়েছে – দুজনেই বেশ টেনশানে আছে।
তবে এমন নয় যে বাড়ি থেকে দুজনের কেউ বেরয়ই না! কেনাকাটা, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া – এসব একা একা করতে দুজনেই বেশ স্বচ্ছন্দ্য। তবে চাকরী এই প্রথম।
প্রথম দিনের ট্রেনিংয়ের সময়ে ওদের ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হল কয়েকটা বিষয় – কলারদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, কী কী ধরণের কল আসতে পারে, আবার নিজেদের থেকে কল করতে হবে প্রোডাক্ট পুশ করার জন্য যখন, তখন কী কী বলতে হবে – এসব।
পরের দিন প্র্যাক্টিকাল করে করে সবাইকে অভ্যেস করানো হল। রবিবার বিকেলের দিকে কয়েকটি অল্প বয়সী মেয়েকে আলাদা করে কী যেন ট্রেনিং দিতে নিয়ে গেল মালিক ছেলেটি।
রবিবার ট্রেনিংয়ের শেষে কয়েক পাতা জেরক্স করা নোটস আর একটা করে মোবাইলের সিম কার্ড দিয়ে দেওয়া হল সবাইকে। সঙ্গে দেওয়া হল প্রায় দশ পাতার একটা নাম, ফোন নম্বরের লিস্ট। প্রায় ৫০০ ফোন নম্বর।
পরের দিন থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
মনিকা আর শিউলি দুজনেই বেশ উত্তেজিত।
একা একা কাজটা করতে পারবে কী না শিউলি সে ব্যাপারে খুব শিওর ছিল না, তাই ঠিক করল অতনু আর প্রশান্ত বেরিয়ে গেলে শিউলি মনিকার কাছে চলে আসবে।
প্রথম কদিন দিনে প্রায় ৫০ টা করে ফোন করে একটা কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির চেষ্টা করল ওরা। যারা আগ্রহ দেখাল, তাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে। সেগুলো আবার ফোন করে দিনের শেষে অফিসে জানিয়ে দিয়ে তবে ওদের ছুটি।
এক সপ্তাহের কাজের শেষে পেমেন্ট দেবে। তাই পরের শনিবার বেলার দিকে শিউলি আর মনিকা দুজনেই গিয়েছিল অফিসে টাকা আনতে।
সেখানে আরও কিছু মেয়ে আর গৃহবধূও টাকা নিতে এসেছিল। ওদের সঙ্গেই কাজ শুরু করেছিল মনিকা আর শিউলি, কিন্তু ওরা যেখানে প্রায় ৭, সাড়ে ৭ হাজার টাকা পেল, এরা দুজন সেখানে মাত্র আড়াই হাজার!
দুজনেরই চোখে পড়েছিল ব্যাপারটা। শেষে একজন বছর তিরিশেক বয়সের মহিলাকে জিগ্যেসই করল, ‘আচ্ছা দিদি, আপনারা তো অনেক পেমেন্ট পেলেন! আমরা মাত্র আড়াই!’
ওই মহিলা মনিকাকে চোখের ইশারায় পাশের দিকে ডাকলেন।
অতনুর এক বন্ধু তার আই টি ব্যবসার কাজে সঙ্গী হওয়ার প্রোপোজাল দিয়েছে। অতনু বোধহয় তাতেই রাজী হয়ে যাবে। বন্ধুটার বেশ কয়েকটা ব্যবসা – তাই আই টি তে ঠিকমতো মন দিতে পারছে না। কাজ জানা একজন কাউকে খুঁজছিলই যে। অতনুকে কিছুটা কম টাকায় পেয়ে গিয়ে তার লাভই হল।
শনিবার সকাল সকালই দুই বউ আর প্রশান্তর ছেলেকে নিয়ে পাঁচজন হাজির হল দমদমের ওই অফিসে।
জনা পনেরো মহিলা জড়ো হয়েছেন দেখা গেল। বেশ কয়েকজন হাউসওয়াইফ। বাকিরা কম বয়সী মেয়ে – বোধহয় কলেজে পড়ে বা পড়াশোনা শেষ করে বেকার বাড়িতে বসে আছে।
ট্রেনিং বিকেলে শেষ হবে। তাই এখানে অপেক্ষা করার মানে হয় না। প্রশান্ত ছেলে আর অতনুকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রো ধরতে এগিয়ে গেল। মনিকাকে বলে গেল, কোনও অসুবিধা হলেই যেন ফোন করে।
এই প্রথম মনিকা আর শিউলি কাজে বেরিয়েছে – দুজনেই বেশ টেনশানে আছে।
তবে এমন নয় যে বাড়ি থেকে দুজনের কেউ বেরয়ই না! কেনাকাটা, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া – এসব একা একা করতে দুজনেই বেশ স্বচ্ছন্দ্য। তবে চাকরী এই প্রথম।
প্রথম দিনের ট্রেনিংয়ের সময়ে ওদের ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হল কয়েকটা বিষয় – কলারদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, কী কী ধরণের কল আসতে পারে, আবার নিজেদের থেকে কল করতে হবে প্রোডাক্ট পুশ করার জন্য যখন, তখন কী কী বলতে হবে – এসব।
পরের দিন প্র্যাক্টিকাল করে করে সবাইকে অভ্যেস করানো হল। রবিবার বিকেলের দিকে কয়েকটি অল্প বয়সী মেয়েকে আলাদা করে কী যেন ট্রেনিং দিতে নিয়ে গেল মালিক ছেলেটি।
রবিবার ট্রেনিংয়ের শেষে কয়েক পাতা জেরক্স করা নোটস আর একটা করে মোবাইলের সিম কার্ড দিয়ে দেওয়া হল সবাইকে। সঙ্গে দেওয়া হল প্রায় দশ পাতার একটা নাম, ফোন নম্বরের লিস্ট। প্রায় ৫০০ ফোন নম্বর।
পরের দিন থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
মনিকা আর শিউলি দুজনেই বেশ উত্তেজিত।
একা একা কাজটা করতে পারবে কী না শিউলি সে ব্যাপারে খুব শিওর ছিল না, তাই ঠিক করল অতনু আর প্রশান্ত বেরিয়ে গেলে শিউলি মনিকার কাছে চলে আসবে।
প্রথম কদিন দিনে প্রায় ৫০ টা করে ফোন করে একটা কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির চেষ্টা করল ওরা। যারা আগ্রহ দেখাল, তাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে। সেগুলো আবার ফোন করে দিনের শেষে অফিসে জানিয়ে দিয়ে তবে ওদের ছুটি।
এক সপ্তাহের কাজের শেষে পেমেন্ট দেবে। তাই পরের শনিবার বেলার দিকে শিউলি আর মনিকা দুজনেই গিয়েছিল অফিসে টাকা আনতে।
সেখানে আরও কিছু মেয়ে আর গৃহবধূও টাকা নিতে এসেছিল। ওদের সঙ্গেই কাজ শুরু করেছিল মনিকা আর শিউলি, কিন্তু ওরা যেখানে প্রায় ৭, সাড়ে ৭ হাজার টাকা পেল, এরা দুজন সেখানে মাত্র আড়াই হাজার!
দুজনেরই চোখে পড়েছিল ব্যাপারটা। শেষে একজন বছর তিরিশেক বয়সের মহিলাকে জিগ্যেসই করল, ‘আচ্ছা দিদি, আপনারা তো অনেক পেমেন্ট পেলেন! আমরা মাত্র আড়াই!’
ওই মহিলা মনিকাকে চোখের ইশারায় পাশের দিকে ডাকলেন।