19-08-2021, 01:58 PM
‘বলো কি! বাড়িতে বসে শুধু ফোনে কথা বলে ১৫-২০ হাজার! কীসের ব্যবসাপত্র এদের? ভাল করে খোঁজ নিতে হবে। এটা থাক। অতনুর সঙ্গে কথা বলে নেব।‘
‘তবে একটা দুদিনের ট্রেনিং নিতে হবে। তারজন্য ৫০০ টাকা লাগবে।‘
‘ওহো তাই বলো! একটা ক্যাচ আছে। দেখবে হয়তো কোনও কাজই পাবে না, কিন্তু এদের পকেটে ৫০০ টাকা চলে যাবে। ফ্রড না তো?‘
‘দেখো চেষ্টা করতে তো অসুবিধা কিছু নেই! গিয়ে দেখি না ট্রেনিংটাতে!’
‘কবে যেতে হবে?’
‘এই শনিবার একটা ব্যাচের ট্রেনিং আছে। যদি কালকের মধ্যে ওদের অফিসে জানাই তাহলে সেদিনই হয়ে যাবে।‘
‘ঠিক আছে,’ বলল প্রশান্ত।
ফোনটা হাতে নিয়ে অতনুর নম্বর টিপল প্রশান্ত।
গোটা ব্যাপারটা বলল। ওর বউ কিছু জানায় নি ওকে এখনও অবধি। কিন্তু প্রশান্তর মত আছে জেনে অতনুও না করল না। তবে বিকেলে এসে ওরা দুজনে একবার ওই অফিসটায় যাবে ঠিক করল।
ছোট অফিস, কিন্তু বেশ সাজানো গোছানো। দমদমের একটা মধ্যবিত্ত পাড়ায় অফিসটা। কথাবার্তা হল এক মহিলা আর এক কম বয়সী ছেলের সঙ্গে।
কোম্পানীটা ওই ছেলেটিরই। বেশ চলতাপুরিয়া ছেলে। দুজনকেই বোঝালো যে টেলি কলারের কাজটা কি, কারা ওদের ক্লায়েন্ট – এসব। বেশ কিছু কন্ট্র্যাক্টও দেখালো। যেসব ক্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর নাম দেখালো, একটাও পরিচিত নাম নয়, বা বড় কোম্পানিও নয়।
‘স্যার বড় কোম্পানি হলে কি আর আমাদের মতো ছোট কোম্পানিকে দিয়ে কাজ করাবে? তারা তো সেক্টর ফাইভে বি পি ও-গুলোতে চলে যাবে। আমরা খুব কম রেটে কাজ ধরতে পারি কারণ কোনও এস্টাব্লিশমেন্ট খরচ নেই তো! শুধু কল পিছু কমিশন। আপনাদের স্ত্রীদের তো কোনও ভয় নেই – বাড়িতেই তো থাকবেন। শুধু ফোনে ফোনেই কাজ,’ বলল ছেলেটি।
অপছন্দ হওয়ার মতো কোনও কারণ পেল না প্রশান্ত বা অতনু।
ও নিজে যেহেতু আই টি-র ছেলে, তাই ও জানে যে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো, যারা বি পি ও এফর্ড করতে পারে না, তার এরকম ছোট ছোট কোম্পানিকে দিয়ে কাজ করায়।
ফেরার সময়ে ওরা দুজনেই বলাবলি করছিল যে ট্রেনিংয়ের দুদিন আর তারপরে অফিসে কোনও দরকারে যেতে হলে শিউলি আর মনিকা মেট্রোয় করেই একটা স্টেশন চলে এসে একটা অটোতে এখানে চলে আসতে পারবে।
বাড়ি পৌঁছিয়ে মনিকাকে বলল সব।
শিউলিও সব শুনল অতনুর কাছে।
পরের দিন ওদের বরেরা যখন কাজকর্মের খোঁজে বেরিয়ে গেল, তখন মনিকাই ওই অফিসে ফোন করে দুজনের নাম লিখিয়ে দিল শনিবারের ট্রেনিংয়ের জন্য।
সন্ধের দিকে যখন ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরল প্রশান্ত আর অতনু, তাদের দুজনকেই কিছুটা সময় দিয়ে মনিকা আর শিউলি প্রথমে জেনে নিল যে কোনও খবর পাওয়া গেল কী না, আর তারপরে একসময়ে জানিয়ে রাখল যে শনিবারের ট্রেনিংয়ের জন্য ওরা লিস্টে নাম তুলে দিয়েছে।
‘তবে একটা দুদিনের ট্রেনিং নিতে হবে। তারজন্য ৫০০ টাকা লাগবে।‘
‘ওহো তাই বলো! একটা ক্যাচ আছে। দেখবে হয়তো কোনও কাজই পাবে না, কিন্তু এদের পকেটে ৫০০ টাকা চলে যাবে। ফ্রড না তো?‘
‘দেখো চেষ্টা করতে তো অসুবিধা কিছু নেই! গিয়ে দেখি না ট্রেনিংটাতে!’
‘কবে যেতে হবে?’
‘এই শনিবার একটা ব্যাচের ট্রেনিং আছে। যদি কালকের মধ্যে ওদের অফিসে জানাই তাহলে সেদিনই হয়ে যাবে।‘
‘ঠিক আছে,’ বলল প্রশান্ত।
ফোনটা হাতে নিয়ে অতনুর নম্বর টিপল প্রশান্ত।
গোটা ব্যাপারটা বলল। ওর বউ কিছু জানায় নি ওকে এখনও অবধি। কিন্তু প্রশান্তর মত আছে জেনে অতনুও না করল না। তবে বিকেলে এসে ওরা দুজনে একবার ওই অফিসটায় যাবে ঠিক করল।
ছোট অফিস, কিন্তু বেশ সাজানো গোছানো। দমদমের একটা মধ্যবিত্ত পাড়ায় অফিসটা। কথাবার্তা হল এক মহিলা আর এক কম বয়সী ছেলের সঙ্গে।
কোম্পানীটা ওই ছেলেটিরই। বেশ চলতাপুরিয়া ছেলে। দুজনকেই বোঝালো যে টেলি কলারের কাজটা কি, কারা ওদের ক্লায়েন্ট – এসব। বেশ কিছু কন্ট্র্যাক্টও দেখালো। যেসব ক্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর নাম দেখালো, একটাও পরিচিত নাম নয়, বা বড় কোম্পানিও নয়।
‘স্যার বড় কোম্পানি হলে কি আর আমাদের মতো ছোট কোম্পানিকে দিয়ে কাজ করাবে? তারা তো সেক্টর ফাইভে বি পি ও-গুলোতে চলে যাবে। আমরা খুব কম রেটে কাজ ধরতে পারি কারণ কোনও এস্টাব্লিশমেন্ট খরচ নেই তো! শুধু কল পিছু কমিশন। আপনাদের স্ত্রীদের তো কোনও ভয় নেই – বাড়িতেই তো থাকবেন। শুধু ফোনে ফোনেই কাজ,’ বলল ছেলেটি।
অপছন্দ হওয়ার মতো কোনও কারণ পেল না প্রশান্ত বা অতনু।
ও নিজে যেহেতু আই টি-র ছেলে, তাই ও জানে যে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো, যারা বি পি ও এফর্ড করতে পারে না, তার এরকম ছোট ছোট কোম্পানিকে দিয়ে কাজ করায়।
ফেরার সময়ে ওরা দুজনেই বলাবলি করছিল যে ট্রেনিংয়ের দুদিন আর তারপরে অফিসে কোনও দরকারে যেতে হলে শিউলি আর মনিকা মেট্রোয় করেই একটা স্টেশন চলে এসে একটা অটোতে এখানে চলে আসতে পারবে।
বাড়ি পৌঁছিয়ে মনিকাকে বলল সব।
শিউলিও সব শুনল অতনুর কাছে।
পরের দিন ওদের বরেরা যখন কাজকর্মের খোঁজে বেরিয়ে গেল, তখন মনিকাই ওই অফিসে ফোন করে দুজনের নাম লিখিয়ে দিল শনিবারের ট্রেনিংয়ের জন্য।
সন্ধের দিকে যখন ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরল প্রশান্ত আর অতনু, তাদের দুজনকেই কিছুটা সময় দিয়ে মনিকা আর শিউলি প্রথমে জেনে নিল যে কোনও খবর পাওয়া গেল কী না, আর তারপরে একসময়ে জানিয়ে রাখল যে শনিবারের ট্রেনিংয়ের জন্য ওরা লিস্টে নাম তুলে দিয়েছে।