19-08-2021, 01:57 PM
একটা ছোট ঘরে ছেলে কলেজ থেকে ফিরে খেয়ে দেয়ে ঘুমচ্ছে – পর্দাটা সরিয়ে দেখে নিল প্রশান্ত।
তারপর নিজেদের শোয়ার ঘরে গিয়ে বাথরুমে ঢুকল একবার। বেশ কিছুক্ষণ শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা হল, তারপরে শর্টস পড়ে বাইরে এল।
‘এবার বলো তো! কী ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছ তুমি?’ রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে বউকে জিগ্যেস করল প্রশান্ত।
বর আর নিজের জন্য চায়ের জল বসিয়েছিল মনিকা।
‘উফ তর সয় না তোমার আর! যাও তো গিয়ে বসো সোফায়, চা নিয়ে এসে সব বলছি।‘
মিনিট পাঁচেক পরে দুকাপ চা আর বিস্কুট নিয়ে পাশে এসে বসল মনিকা।
কয়েক চুমুক দেওয়া হয়ে গেল চায়ের কাপে, তাও মনিকা কিছু বলছে না।
তারপর এক নিশ্বাসে মনিকা বলল, ‘তুমি তো কাজকর্ম খুঁজবেই, সঙ্গে আমাকেও কিছু করার পারমিশন দিতে হবে তোমাকে।‘
একটু চা কাপ থেকে চলকে প্রশান্তর হাঁটুতে পড়ল।
‘কাজ মানে? তুমি কী কাজ করবে?’
‘কেন আমি তো গ্র্যাজুয়েট। মাস্টার্সটাও শেষ করতাম যদি না বিয়ে হয়ে যেত! কোনও কাজ পাব না?’
‘সংসার, ছেলের দেখভাল?’
‘সেসব তো পড়ে। আগে বলো তুমি পারমিশান দেবে!’
‘তুমি কি কোনও স্পেসিফিক কাজের খবর পেয়েছ?’
পাশের তাক থেকে একটা ছোট মতো কী কাগজ বার করল – ছাপানো হ্যান্ডবিলের মতো। কাগজটা মনিকা এগিয়ে দিল প্রশান্তর দিকে।
এরকম হ্যান্ডবিল মাঝে মাঝেই খবরের কাগজের মধ্যে থাকে রিটায়ার্ড মানুষ, গৃহবধূ – সকলেই ঘরে বসে আয় করুন – এরকম লেখা থাকে হ্যান্ডবিলের হেডিংয়ে।
সবগুলোই নোংরার ঝুড়িতে চলে যায়। সেরকমই একটা হ্যান্ডবিল মনিকা এগিয়ে দিতে অবাকই হল প্রশান্ত!
‘এটা কি?’
‘ঘরে বসে কাজ করতে হবে, যে কেউই করতে পারে। রিটায়ার্ড লোক, হাউসওয়াইফ – সবাই। এটা শিউলি আমাকে কাল দিয়েছে। অতনুও তো বাড়িতে বলেছে যে লক আউট হতে পারে। শিউলিদের কাগজের সঙ্গে দিয়েছিল এটা। গৃহবধূরাও বাড়িতে বসে রোজগার করতে পারে, এটা দেখেই ওর মাথাতে এসেছিল যে আমি আর ও ট্রাই করি না কেন! কাল এসে দিয়ে গেছে কাগজটা। অতনুকে এখনও বলে নি,’ মনিকা থামল সবটা গড়গড় করে বলে।
দুটো ফোন নম্বর দেওয়া আছে কাগজটায়।
এই অবস্থায় শুধুই জমানো টাকায় না খেয়ে যদি বাড়িতে বসে কিছু রোজগার করতে পারে মনিকা, বা শিউলি, তাহলে ওর বা অতনুর আপত্তি করার তো কোনও কারণ ও খুঁজে পেল না।
‘হুম। দেখা যেতেই পারে। ফোন করেছিলে না কি এই নম্বরে?’ জিগ্যেস করল প্রশান্ত।
এত সহজে যে পারমিশান পাওয়া যাবে, সেটা মনিকা ভাবে নি।
‘করেছিলাম। ওই টেলি কলারের কাজ। ওরা একটা সিম দেবে, হ্যান্ডসেট আমাদের। ঠিক মতো কাজ করতে পারলে তো বলছে মাসে হাজা ১৫-২০ও রোজগার হতে পারে!’
তারপর নিজেদের শোয়ার ঘরে গিয়ে বাথরুমে ঢুকল একবার। বেশ কিছুক্ষণ শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা হল, তারপরে শর্টস পড়ে বাইরে এল।
‘এবার বলো তো! কী ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছ তুমি?’ রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে বউকে জিগ্যেস করল প্রশান্ত।
বর আর নিজের জন্য চায়ের জল বসিয়েছিল মনিকা।
‘উফ তর সয় না তোমার আর! যাও তো গিয়ে বসো সোফায়, চা নিয়ে এসে সব বলছি।‘
মিনিট পাঁচেক পরে দুকাপ চা আর বিস্কুট নিয়ে পাশে এসে বসল মনিকা।
কয়েক চুমুক দেওয়া হয়ে গেল চায়ের কাপে, তাও মনিকা কিছু বলছে না।
তারপর এক নিশ্বাসে মনিকা বলল, ‘তুমি তো কাজকর্ম খুঁজবেই, সঙ্গে আমাকেও কিছু করার পারমিশন দিতে হবে তোমাকে।‘
একটু চা কাপ থেকে চলকে প্রশান্তর হাঁটুতে পড়ল।
‘কাজ মানে? তুমি কী কাজ করবে?’
‘কেন আমি তো গ্র্যাজুয়েট। মাস্টার্সটাও শেষ করতাম যদি না বিয়ে হয়ে যেত! কোনও কাজ পাব না?’
‘সংসার, ছেলের দেখভাল?’
‘সেসব তো পড়ে। আগে বলো তুমি পারমিশান দেবে!’
‘তুমি কি কোনও স্পেসিফিক কাজের খবর পেয়েছ?’
পাশের তাক থেকে একটা ছোট মতো কী কাগজ বার করল – ছাপানো হ্যান্ডবিলের মতো। কাগজটা মনিকা এগিয়ে দিল প্রশান্তর দিকে।
এরকম হ্যান্ডবিল মাঝে মাঝেই খবরের কাগজের মধ্যে থাকে রিটায়ার্ড মানুষ, গৃহবধূ – সকলেই ঘরে বসে আয় করুন – এরকম লেখা থাকে হ্যান্ডবিলের হেডিংয়ে।
সবগুলোই নোংরার ঝুড়িতে চলে যায়। সেরকমই একটা হ্যান্ডবিল মনিকা এগিয়ে দিতে অবাকই হল প্রশান্ত!
‘এটা কি?’
‘ঘরে বসে কাজ করতে হবে, যে কেউই করতে পারে। রিটায়ার্ড লোক, হাউসওয়াইফ – সবাই। এটা শিউলি আমাকে কাল দিয়েছে। অতনুও তো বাড়িতে বলেছে যে লক আউট হতে পারে। শিউলিদের কাগজের সঙ্গে দিয়েছিল এটা। গৃহবধূরাও বাড়িতে বসে রোজগার করতে পারে, এটা দেখেই ওর মাথাতে এসেছিল যে আমি আর ও ট্রাই করি না কেন! কাল এসে দিয়ে গেছে কাগজটা। অতনুকে এখনও বলে নি,’ মনিকা থামল সবটা গড়গড় করে বলে।
দুটো ফোন নম্বর দেওয়া আছে কাগজটায়।
এই অবস্থায় শুধুই জমানো টাকায় না খেয়ে যদি বাড়িতে বসে কিছু রোজগার করতে পারে মনিকা, বা শিউলি, তাহলে ওর বা অতনুর আপত্তি করার তো কোনও কারণ ও খুঁজে পেল না।
‘হুম। দেখা যেতেই পারে। ফোন করেছিলে না কি এই নম্বরে?’ জিগ্যেস করল প্রশান্ত।
এত সহজে যে পারমিশান পাওয়া যাবে, সেটা মনিকা ভাবে নি।
‘করেছিলাম। ওই টেলি কলারের কাজ। ওরা একটা সিম দেবে, হ্যান্ডসেট আমাদের। ঠিক মতো কাজ করতে পারলে তো বলছে মাসে হাজা ১৫-২০ও রোজগার হতে পারে!’


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)