19-08-2021, 01:56 PM
আশেপাশে পুরণো লোকরাও কয়েকজন আছে – নতুনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
একটু পরেই ইউনিয়নের দাদারা চলে এসেছিল গেটে – গরম গরম বক্তৃতা দিয়ে চা খেয়ে ম্যানেজমেন্টকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে গিয়েছিল।
তারাই পাঠিয়ে দিয়েছিল ডেকরেটার্সের লোকজন – প্যান্ডেল খাটিয়ে, চাদর বিছিয়ে গেটে অবস্থান করতে হবে। এসেছিল মাইকও।
দুপুরের দিকে ভীড়টা আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। প্রশান্ত আর অতনু – দুজনেই বেলগাছিয়ায় যাবে। একই সঙ্গে স্টেশনের দিকে হাটা দিয়েছিল ওরা।
কীভাবে সংসার চলবে, অন্য কোথাও কাজকর্মের কোনও খোঁজ আছে কী না, এসবই নীচু গলায় আলোচনা করতে করতে আসছিল ওরা।
প্রশান্তর তো তাও বিয়ের দশ বছর হয়েছে, সামান্য কিছু জমানো টাকা, এল আই সি, ফিক্সড ডিপোজিট আছে! কিন্তু অতনু যা জমিয়েছিল, তার একটা বড় টাকা গেছে চিট ফান্ডে, আর অনেকটা টাকা গেছে গত বছর বিয়ের খরচে। হাতে প্রায় কিছুই নেই অতনুর।
‘তুমি তো তাও কিছু জমিয়েছ প্রশান্ত দা। আমার অবস্থাটা ভাব! চিট ফান্ডের হারামিগুলো অত টাকা মেরে দিল আর বিয়ের সময়ে খরচ হয়ে গেল! কী করে যে চালাব জানি না! ভাবতেই পারছি না কিছু! উফ,’ কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বলল অতনু।
ওকে ছোট ভাইয়ের মতোই দেখে প্রশান্ত। দুই ফ্যামিলিতে সামাজিক মেলামেশাও আছে। মনিকাকে বৌদি বলে ডেকে খুব মান্য করে অতনুর বউ শিউলি। মফস্বলের মেয়ে, খুব শান্ত শিষ্ট।
‘তোদের আই টি ফিল্ডে তো তাও কাজকর্ম পাওয়া যায় রে ভাই। কিন্তু আমি কী করব কে জানে!’ বলল প্রশান্ত।
‘চলো দেখা যাক কী হয় দাদা। কিছু তো একটা করতেই হবে,’ বলতে বলতেই ওরা স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিল।
মনিকাকে আগেই মোবাইলে জানিয়েছিল খবরটা প্রশান্ত। তাই ওদের দুকামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটে অসময়ে বেল বাজার পরে দরজা খুলে বরকে দেখে অবাক হয় নি মনিকা।
আর কয়েকদিন ধরেই যে লক আউট নিয়ে ফ্যাক্টরিতে আলোচনা চলছে, সেটা প্রশান্ত মনিকাকে জানিয়ে রেখেছিল। দুজনের মধ্যে জমানো টাকা পয়সা নিয়ে বেশ কয়েকবার কথাও হয়েছে।
জুতো খুলে কাঁধের ব্যাগটা রেখে বেতের সোফায় ধীরে ধীরে বসেছিল প্রশান্ত। তারমধ্যেই একগ্লাস জল নিয়ে এসেছিল মনিকা।
বরের হাতে জলের গ্লাসটা দিতে দিতে মনিকা বলল, ‘বেশী ভেব না। ঠিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে।‘
‘কী করে ব্যবস্থা হবে, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।‘
‘তুমি চেঞ্জ করে নাও। তারপর কথা বলব। আমি কয়েকটা ব্যাপারে খোঁজখবর করেছি। সব বলছি।‘
‘কী ব্যাপারে খোঁজখবর করেছ?’
‘আরে তুমি চেঞ্জ কর আগে। সব বলছি। তোমাকে বলব না তো কাকে বলব!’
জলটা খেয়ে খালি গ্লাসটা টেবিলে রেখে উঠে দাঁড়াল প্রশান্ত। শোয়ার ঘরের দিকে যেতে যেতে বলল, ‘কেস টা কী বল তো?’
‘ধুর বাবা। বলব। চেঞ্জ করে এসো আগে।‘
একটু পরেই ইউনিয়নের দাদারা চলে এসেছিল গেটে – গরম গরম বক্তৃতা দিয়ে চা খেয়ে ম্যানেজমেন্টকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে গিয়েছিল।
তারাই পাঠিয়ে দিয়েছিল ডেকরেটার্সের লোকজন – প্যান্ডেল খাটিয়ে, চাদর বিছিয়ে গেটে অবস্থান করতে হবে। এসেছিল মাইকও।
দুপুরের দিকে ভীড়টা আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। প্রশান্ত আর অতনু – দুজনেই বেলগাছিয়ায় যাবে। একই সঙ্গে স্টেশনের দিকে হাটা দিয়েছিল ওরা।
কীভাবে সংসার চলবে, অন্য কোথাও কাজকর্মের কোনও খোঁজ আছে কী না, এসবই নীচু গলায় আলোচনা করতে করতে আসছিল ওরা।
প্রশান্তর তো তাও বিয়ের দশ বছর হয়েছে, সামান্য কিছু জমানো টাকা, এল আই সি, ফিক্সড ডিপোজিট আছে! কিন্তু অতনু যা জমিয়েছিল, তার একটা বড় টাকা গেছে চিট ফান্ডে, আর অনেকটা টাকা গেছে গত বছর বিয়ের খরচে। হাতে প্রায় কিছুই নেই অতনুর।
‘তুমি তো তাও কিছু জমিয়েছ প্রশান্ত দা। আমার অবস্থাটা ভাব! চিট ফান্ডের হারামিগুলো অত টাকা মেরে দিল আর বিয়ের সময়ে খরচ হয়ে গেল! কী করে যে চালাব জানি না! ভাবতেই পারছি না কিছু! উফ,’ কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বলল অতনু।
ওকে ছোট ভাইয়ের মতোই দেখে প্রশান্ত। দুই ফ্যামিলিতে সামাজিক মেলামেশাও আছে। মনিকাকে বৌদি বলে ডেকে খুব মান্য করে অতনুর বউ শিউলি। মফস্বলের মেয়ে, খুব শান্ত শিষ্ট।
‘তোদের আই টি ফিল্ডে তো তাও কাজকর্ম পাওয়া যায় রে ভাই। কিন্তু আমি কী করব কে জানে!’ বলল প্রশান্ত।
‘চলো দেখা যাক কী হয় দাদা। কিছু তো একটা করতেই হবে,’ বলতে বলতেই ওরা স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিল।
মনিকাকে আগেই মোবাইলে জানিয়েছিল খবরটা প্রশান্ত। তাই ওদের দুকামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটে অসময়ে বেল বাজার পরে দরজা খুলে বরকে দেখে অবাক হয় নি মনিকা।
আর কয়েকদিন ধরেই যে লক আউট নিয়ে ফ্যাক্টরিতে আলোচনা চলছে, সেটা প্রশান্ত মনিকাকে জানিয়ে রেখেছিল। দুজনের মধ্যে জমানো টাকা পয়সা নিয়ে বেশ কয়েকবার কথাও হয়েছে।
জুতো খুলে কাঁধের ব্যাগটা রেখে বেতের সোফায় ধীরে ধীরে বসেছিল প্রশান্ত। তারমধ্যেই একগ্লাস জল নিয়ে এসেছিল মনিকা।
বরের হাতে জলের গ্লাসটা দিতে দিতে মনিকা বলল, ‘বেশী ভেব না। ঠিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে।‘
‘কী করে ব্যবস্থা হবে, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।‘
‘তুমি চেঞ্জ করে নাও। তারপর কথা বলব। আমি কয়েকটা ব্যাপারে খোঁজখবর করেছি। সব বলছি।‘
‘কী ব্যাপারে খোঁজখবর করেছ?’
‘আরে তুমি চেঞ্জ কর আগে। সব বলছি। তোমাকে বলব না তো কাকে বলব!’
জলটা খেয়ে খালি গ্লাসটা টেবিলে রেখে উঠে দাঁড়াল প্রশান্ত। শোয়ার ঘরের দিকে যেতে যেতে বলল, ‘কেস টা কী বল তো?’
‘ধুর বাবা। বলব। চেঞ্জ করে এসো আগে।‘