18-08-2021, 04:43 PM
ঠিক সেই সময়ে জিষ্ণু খেলতে খেলতে গাছে ঘুড়ি আটকে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে একটা ভারি ধারাল ভোজালি নিয়ে বেড়িয়ে এলো সামনের লন এ যে গাছ গুলো ডালপালা ছড়িয়ে আছে সেই গুলো কে কাটবে। ছেলেটা কে দেখে ভাবল “ মুখ টা কেমন গোপেশের মতন লাগছে না ছেলেটার” ? উফফফফফ কেন যে মদ খেয়েছিলাম সেদিন। মাথা ঠুকতেন মতিবাবু রিতিমতন এই কথা টা ভেবে। ঘরে ঢুকেই সোজা চলে গেল ভিতরে। গোপেশের সাথে সৌজন্য বিনিময় করার মতন ভদ্রতা ও দেখানোর প্রয়োজন মনে করে নি। নীলিমা ওই ভাবে ঘরে ঢুকে যেতে কিছু একটা আঁচ করে ঘরে ঢুকতেই লাগলো তুমুল ঝগড়া দুজনায়। ভিতরে ঝগড়া আর জিনিসপত্র ছোঁড়ার আওয়াজ পেয়ে গোপেশ একপেশে হয়ে চম্পট দিয়েছিল মুহূর্তেই। জিষ্ণু হাতে ভোজালি টা নিয়ে ঢুকে এলো ঘরে। দেখল মা আর বাবা মিলে প্রায় যুদ্ধ করছে। কারন মতি তখন বলে দিয়েছে নীলিমা কে সেই কথাটা যেটা বলে একশর মধ্যে একশ দশ জন মা, ছেলের বাবাকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করবে না। নীলিমা ও করে নি। মতি জেই মুহূর্তে জিষ্ণুর ব্যাপারে গোপেশ কে নিয়ে কথা টা বলেছিল নীলিমা সজোরে একটা থাপ্পড় মেরেছিল মতি কে। সারা জীবন ভালবাসার মানুষের সাথে কাটিয়ে, সেই মানুষ টার দু দুটো অংশ কে নিজের মধ্যে বড় করে শত কষ্ট সহ্য করে এই অপবাদ যেকোনো মেয়েকেই মা চণ্ডীর রূপ নিতে বাধ্য করবে। কিন্তু মতির মধ্যেও তখন আগুন জ্বলে গেছে প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর হাতে থাপ্পড় টা খেয়ে। দুজনায় জোরাজোরি করতে করতে মতিবাবু নীলিমা কে ধরে এমন একটা ধাক্কা দিলেন যে নীলিমা প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে ঘুরতে এসে জিষ্ণুর ওপরে পড়ল। নীলিমা জিষ্ণু কে নিয়ে ঘরের ভিতরে কিন্তু দরজার সামনে দড়াম করে পড়ে গেল। পড়েই রইল মা ব্যাটা তে ওখানেই। মতিবাবু দেখলেন আসতে আসতে রক্ত বেড়িয়ে আসছে যেখানে জিষ্ণু আর নীলিমা র বুক দুটো মিশে গেছে। জিষ্ণু মায়ের তলায় পড়ে রয়েছে আর নীলিমা ওপরে। মতির নেশা ছুটে গেল লাল রক্ত দেখে। নীলিমা উপুর করে দেখলেন জিষ্ণুর হাতের ভোজালি টা সোজা ঢুকে গেছে নীলিমার পেট আর বুকের ঠিক মাঝখানটায়।নীলিমা কে সোজা করে দিতেই মৃত নীলিমা পড়ে রইল মেঝেতে। জিষ্ণুর হাতে বড় ভোজালি টা। জিষ্ণুর জামা টা রক্তে মাখামাখি হয়ে গেছে। থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে মাথায় এটাই এসেছিল মতিবাবুর যে নিজেকেই নিতে হবে এই দায়। ছুরি টা জিষ্ণুর হাত থেকে নিতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠল মতি। আর সাথে সাথেই শিবা ঢুকল ঘরে.........