18-08-2021, 02:19 PM
রজত বলল, নিশ্চয়ই ভাববি। একশোবার ভাববি। ভাবনাচিন্তা না করে ভূতে কাজ করে, মানুষ করে না। মানুষের কাজ হল, যাহা করিবে তাহা ভাবিয়া করিও।
ভূতের উল্লেখে সুধার বোধ হয় আমার কথা মনে পড়ল। সুধা আমার ফটোর দিকে তাকিয়ে বলল, রজতদা তুমি ভূতে বিশ্বাস কর?
রজত আবার সেই হাড়কাঁপানো হাসি হেসে বলল, ভূত? ভূত তো মনে। ভূতে বিশ্বাস করতে হলে তোর রজতদাকে আর বাঁচতে হত না। কত মিলিটারি অ্যাকশন করেছি, কত মানুষ মেরেছি। তারা যদি সব মরে ভূত হয়ে তেড়েফুঁড়ে আসত, তাহলে কি আর বাঁচতাম। কবেই অক্কা পেতাম।
সুধা চোখ বড় বড় করল। তুমি ভূতে বিশ্বাস কর না! কিন্তু আমি তোমাকে ভূত দেখাতে পারি। আমার হাতেই একটা পোষা ভূত আছে। তাকে আমি যা বলি, তাই সে করে। ডাকব, দেখবে?
রজত ইজিচেয়ারে নিজেকে আরো ছড়িয়ে বসল। তারপর হাসি গলায় বলল, কিরে, ছিকলিটিকলি বেঁধে রেখেছিস, না আবার বাঁদরের মত খাবলে কামড়ে দেবে? তারপর দরাজ গলায় হেসে বলল, যা ডাক। দেখি একবার তোর ভূতবাবুকে...
রাগে আমার গা কষকষ করছিল। আমি ভাবছিলাম, একবার উচিৎ শিক্ষা দিই। বিশেষ কিছু করতে হবে না। শুধু টাইটা ধরে যদি দু'দিকে সমান টান দিই, তাহলে এখুনি আধহাত জিব বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু আবার মনে হল, সুধার ভাবগতিক দেখে সুবিধের মনে হচ্ছে না। এখনো কোনদিকে ঢলবে ঠিক করতে পারেনি সুধা। ঠিক এ সময়ে সুধার কথামত রজতের সামনে বের হয়ে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করলে, ফল ভাল না হয়ে মন্দও হতে পারে। তাছাড়া আমার কি মান-অভিমান নেই! মাত্র ক'দিন আগে, ভাল করতে গিয়ে কি নাজেহালই না হয়েছি। সুধা গয়ায় পিণ্ডি দেবে বলেছে! কী দরকার আমার পাঁচ ঝামেলায় থাকার। আমি ভূত, ভূতের মত থাকব। তুমি মানুষ, মানুষের মত। ভূতে-মানুষে তো আর পিরিত হয় না!
সুধা আদুরে গলায় ডাকল, এই শুনছ, তুমি একবার আসবে?
আমি অতি কষ্টে মুখ গোঁজ করে রইলাম।
সুধা আবার বলল, হাসো না একবার। তারপর আবার বলল, আচ্ছা, হাসতে ইচ্ছে না হয়, আমাদের কৌচটাকে একটু টেনে সরিয়ে দাও। তাহলে বুঝব তুমি এসেছ।
ভূতের উল্লেখে সুধার বোধ হয় আমার কথা মনে পড়ল। সুধা আমার ফটোর দিকে তাকিয়ে বলল, রজতদা তুমি ভূতে বিশ্বাস কর?
রজত আবার সেই হাড়কাঁপানো হাসি হেসে বলল, ভূত? ভূত তো মনে। ভূতে বিশ্বাস করতে হলে তোর রজতদাকে আর বাঁচতে হত না। কত মিলিটারি অ্যাকশন করেছি, কত মানুষ মেরেছি। তারা যদি সব মরে ভূত হয়ে তেড়েফুঁড়ে আসত, তাহলে কি আর বাঁচতাম। কবেই অক্কা পেতাম।
সুধা চোখ বড় বড় করল। তুমি ভূতে বিশ্বাস কর না! কিন্তু আমি তোমাকে ভূত দেখাতে পারি। আমার হাতেই একটা পোষা ভূত আছে। তাকে আমি যা বলি, তাই সে করে। ডাকব, দেখবে?
রজত ইজিচেয়ারে নিজেকে আরো ছড়িয়ে বসল। তারপর হাসি গলায় বলল, কিরে, ছিকলিটিকলি বেঁধে রেখেছিস, না আবার বাঁদরের মত খাবলে কামড়ে দেবে? তারপর দরাজ গলায় হেসে বলল, যা ডাক। দেখি একবার তোর ভূতবাবুকে...
রাগে আমার গা কষকষ করছিল। আমি ভাবছিলাম, একবার উচিৎ শিক্ষা দিই। বিশেষ কিছু করতে হবে না। শুধু টাইটা ধরে যদি দু'দিকে সমান টান দিই, তাহলে এখুনি আধহাত জিব বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু আবার মনে হল, সুধার ভাবগতিক দেখে সুবিধের মনে হচ্ছে না। এখনো কোনদিকে ঢলবে ঠিক করতে পারেনি সুধা। ঠিক এ সময়ে সুধার কথামত রজতের সামনে বের হয়ে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করলে, ফল ভাল না হয়ে মন্দও হতে পারে। তাছাড়া আমার কি মান-অভিমান নেই! মাত্র ক'দিন আগে, ভাল করতে গিয়ে কি নাজেহালই না হয়েছি। সুধা গয়ায় পিণ্ডি দেবে বলেছে! কী দরকার আমার পাঁচ ঝামেলায় থাকার। আমি ভূত, ভূতের মত থাকব। তুমি মানুষ, মানুষের মত। ভূতে-মানুষে তো আর পিরিত হয় না!
সুধা আদুরে গলায় ডাকল, এই শুনছ, তুমি একবার আসবে?
আমি অতি কষ্টে মুখ গোঁজ করে রইলাম।
সুধা আবার বলল, হাসো না একবার। তারপর আবার বলল, আচ্ছা, হাসতে ইচ্ছে না হয়, আমাদের কৌচটাকে একটু টেনে সরিয়ে দাও। তাহলে বুঝব তুমি এসেছ।