16-08-2021, 05:24 PM
একটা ব্যাঙের যে সাহস থাকে তার তাও নেই। ভয়ে আধমরা হয়ে গেছে। তবে সাহস খুজে পেতে চেষ্টা করছে। আমি জানতাম- আতœরক্ষার জন্য ওর একটা পিস্তল আছে। সেটা দোতলায় থাকে। দেখলাম- নজরটা বার বার সিড়ির দিকে বোলাচ্ছে। ও ভয়ে ভয়ে বলল- সোন সঞ্জু তুমি আমার ভায়ের ছেলে, আমারও ছেলে।আমাকে মের না। হাদিসে আছে পিতা হত্যা মহা পাপ। তুমি এমন পাপ করোনা। নীলা মারা গেছে ও আর আসবে না। এই সব সম্পত্তির মালিক এখন তুমি। সেই দুটি কটন মিল এখনও তোমার নামে চলে। তোমার নামে ইনকাম ট্রাক্সের রশিদ আমাকেই কাটটে হয়। এইদেখ তার রশিদ- বলে- লোকটা আলমারির দিকে এগুতে লাগল। আমি সাঁ করে একটা ফাঁকা গুলি ছুড়লাম। কাঁচের কোন জিনিস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। একটা সাদা মেছো বিড়াল দৌড়ে পালাল। একুইরামের মাছ গুল্ োসাতার কাটতে ভূলে গেল। ও সম্বিত ফিরে পেল। বলল- ছি- সঞ্জু মাথা খারাপ করো না- তুমি কি পত্রিকা পড়ে মাথা খারাপ করে এখানে এসোছ? ছি এটা ভদ্র লোকের বাড়ি না? পাগলামী করো না।যাদু আমার, লক্ষী ছেলে পিস্তল ফেলে দাও। ও একটু একটু করে পিছাতে লাগল। আমি ওর মতলব বুঝতে পারলাম- ও সময় বাড়াতে চায়, আতœরক্ষার চেষ্টা আর কি! ভাবলাম-লোকটাকে সিড়ির উপরে তুলে একটা দৌড় দিতে বলি। একটা খুন খুন খেলা-চাচা-ভাতিজার খুন খুন খেলা। খেলার বিষয় নীলা- ওর মেয়ে আমার প্রেমিকা ……হাঁ…..হাঁ।
আমি দাঁত বের করে হাসতে লাগলাম। একুইরামের মধ্যে পানি আর মাছ টলমল করছে।একটা গুলি করে ভেঙ্গে চুরমার করে দিলাম। পানিতে ঘর ভেসে গেল। মাছ গুলো ছটফট করতে লাগল। দেখি- এই ফাকে ও সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে চেষ্টা করছে। আমি একটা গুলি ছুড়লাম। সোজা ওর হাটুতে লাগল। রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে। গোংগাছে, কাতরাচ্ছে। দাঁত দিয়ে ঠোট চেপে ব্যাথা সামলাচ্ছে। আমি হাসছি। খোড়াতে খোড়াতে দোতালায় উঠতে চেষ্টা করছে ও। বাধা দিলাম না। সারা মেঝেতে রক্ত লেগে লাল হয়ে গেছে। ভাবলাম- আহারে – রক্ত যদি লাল না হয়ে নীল হত তাহলে দেখতে বেশ হত।সমস্ত ঘর নীল হত। রক্তে হিমোগ্লবিনের জন্য রক্ত লাল হয়, কোন উপাদান থাকলে রক্ত নীল হয়? আহা- আমি যদি চিকিৎসা বিদ্যা নিয়ে রক্ত লাল না বানিয়ে নীল বানাবার গবেষনা করতাম তাহলে আজ এই ঘর লাল না হয়ে নীল হয়ে যেত। আমার নীলাসোনার স্মৃতি চিহ্ন নীল- সমস্ত ঘর নীলাময় হয়ে যেত। ভাবতে পারলাম না।
আমি দাঁত বের করে হাসতে লাগলাম। একুইরামের মধ্যে পানি আর মাছ টলমল করছে।একটা গুলি করে ভেঙ্গে চুরমার করে দিলাম। পানিতে ঘর ভেসে গেল। মাছ গুলো ছটফট করতে লাগল। দেখি- এই ফাকে ও সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে চেষ্টা করছে। আমি একটা গুলি ছুড়লাম। সোজা ওর হাটুতে লাগল। রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে। গোংগাছে, কাতরাচ্ছে। দাঁত দিয়ে ঠোট চেপে ব্যাথা সামলাচ্ছে। আমি হাসছি। খোড়াতে খোড়াতে দোতালায় উঠতে চেষ্টা করছে ও। বাধা দিলাম না। সারা মেঝেতে রক্ত লেগে লাল হয়ে গেছে। ভাবলাম- আহারে – রক্ত যদি লাল না হয়ে নীল হত তাহলে দেখতে বেশ হত।সমস্ত ঘর নীল হত। রক্তে হিমোগ্লবিনের জন্য রক্ত লাল হয়, কোন উপাদান থাকলে রক্ত নীল হয়? আহা- আমি যদি চিকিৎসা বিদ্যা নিয়ে রক্ত লাল না বানিয়ে নীল বানাবার গবেষনা করতাম তাহলে আজ এই ঘর লাল না হয়ে নীল হয়ে যেত। আমার নীলাসোনার স্মৃতি চিহ্ন নীল- সমস্ত ঘর নীলাময় হয়ে যেত। ভাবতে পারলাম না।