16-08-2021, 05:21 PM
আমাকে একটা ক্লাইয়েন্ট ভেবে বসল। খাতির যতœ করল চা- কপি খাইয়ে। আমি খেলাম, সব শেষে আমি আমার কথা বললাম—॥ ওরা হতভম্ব হয়ে গেল, কপালের চামড়া ভাজ হয়ে গেল। বলল এই পথে কেন ভাইজান? এ কাজে নেম না ভাই। আর বেরুতে পারবেনা। আমরা কি পেরেছি? বেশ দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে বলল জান ভাই- আমাদের এই চেহারাটাই যা সুন্দর। আর কিছুই সুন্দর নেই, সব মরে গেছে। এক সময় সবই ছিল। তোমার মত বয়সে দলদারী করতাম। নেতারা আমাদের ব্যবহার করতে শুরু করল। তখন ভাবতাম, রাজনীতিই আসল আদর্শ। লেখাপড়া কি করব। আগে দেশ বাচাই। আমাদের কথা শুনে নেতারা খুশি হত।একটু একটু করে আমাদের অপরাধের দিকে ঠেলে দিতে লাগল। টুক টাক বাধা আাসলে নেতাদের টেলিফোন বেজে উঠত। সমস্যা মিটে যেত। একদিন নেতাদের প্রয়োরচানায় কলেজের অফিসরুমে আগুন ধরিয়ে দিলাম। বেধড়ক পিটাতে লাগলাম ছাত্রদের।শিক্ষকদের তিনজন আগুনে পুড়ে মারা গেল। আইন আমাদের কিছু করতে পারলনা। তবে নেতারা এই আগুন লাগনোর ঘটনাকে পুজি করল। যখন তখন বীর বাহাদুর খুনী বলে ডাকত। নেতা হবার পরিবর্তে একদিন খুনীই হয়ে গেলাম। আর বলতে পারল না। ঝর ঝরকরে কেঁদে ফেলল। তার পর বলল, জান ভাই- টাকা নিয়ে মানুষ মারি সেটা ঠিক। তবে কেউ যদি স্বার্থবাদী রাজনীতিবিদদের, যারা ছাত্রদের তাদের সার্থে ব্যবাহার করে শিক্ষাঙ্গন রক্তাক্ত করছে তাদের টার্গেট করে আসে তবে রেট কনসিশন করব।এমনকি সেভেনটি ফাইভ পারসেন্ট রেট কন্সিশেন করব। একেবারে ফ্রি করলে তৃপ্তি পেতাম- কিন্তু ফ্রি করলে তো আর ব্যবসা চলে না, খাব কি? সংসার চালাব কি দিয়ে। বাজার দর যে ভাবে বেড়ে চলেছে সব মিলিয়ে হিমসিম খাচ্ছি। আমি বেশ কিছুসময় লোকটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম, লোকটা দাত বের করে হাসতে লাগল। কান্নার ভাব কেটে গেছে। বলল- ভাই, নিজেতো খুন করতে পারবে না। হয়ত ট্রিগার চাপ দিবার আগেই প্যান্ট ভরে পেশাপ করে কাপড় চোপড় নাপাক করে ফেলবে। হেসে উঠল লোকটা।তার পর বলল হাসতে হাসতে, মধ্যখান থেকে তুমি জেলে ঢুকবে। লোকটা বেচে যাবে, আর আমাদের কিছু টাকা হাতছাড়া হয়ে যাবে। বোঝতো ভাই- যাদের যা পেশা তাদের তাই করতে হয়। এখন যদি সবাই দাড়ি সেভ করার মত সব কাজ নিজেরা করে তাহলে ডড়ৎশপষধংংরভরপধঃরড়হবলে কিছু থাকে না। ওদের কোন পরামর্শ আমার কানে ঢুকলনা।বললাম, আমি প্রফেশনাল করষষবৎ হতে চাইনা। মাত্র দুটো খুন করতে চাই, একটা দেশে আর একটা কাশ্মীর কিংবা জাপান। আমি বললাম, একটা পদ্ধতি বলার জন্য এক হাজার টাকা ফিস দেব। কয়েকটা পদ্ধতি শুনব, এরপর যে পদ্ধতি আমার পছন্দ হবে তার জন্য আতিরিক্ত পাচ হাজার টাকা পুরস্কার দেব। ইচ্ছা করলে আমাকে বিশ, পঞ্চাশ, একশ পদ্ধতি বলতে পারেন। প্রতিটির জন্য এক হাজার করে দেব। কাজ করে যা পেতেন তার চেয়ে অনেক বেশী রোজগার হবে। তবুও আমার কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করাব না।