16-08-2021, 11:43 AM
আমি দু’হাতে ওর চোখ থেকে হাত সরাতে চেষ্টা করলাম। পরলাম না। লোকটা আবার বললেন, পুলিশে চাকরী করি। এসব মায়া কান্না দেখলে চাকরী চলে যাব্।েদ্রুত চল, তোমাদের জন্য বিশেষ গাড়ী অপেক্ষা করছে। এবার নীলা অন্য বেশ ধরল। দুর্দান্ত মায়াবি চাউনিতে লোকটাকে কাবু করার চেষ্টা করল। কিছু পরে বীরঙ্গনার মত বলে উঠল- শুনুন- আমার শরীরে যে পোশাক আছে এর দাম তিন হাজার দুইশত টাকা। এতে প্রায় দুই আনা ওজনের পাত সোনার পাত আছে। আমার হাতের হীরার আংটি- এর দাম পনের হাজার টাকা। গলায় চেনটার দাম দশহাজার এগুলোও খুলে নিন। একে বারে খালি হয়ে নগ্ন হয়ে আমি বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেব। ফিরেও আসব না কোন দিন। এই নগ্ন অবস্থায় খালি শরীরে ওপারে চলে যাব। ওই পাহাড়ে তো কোন মানুষ নেই্। ওখানে আমরা শরীর দেখারও কেউ নেই। এই নগ্ন অবস্থা আমরা দু’জন পাহাড়ের গুহায় আদিম মানুষ হয়ে ঘর বাধব। পশু পাখিদের নিয়ে সহ অবস্থান করব। তবুও আমাদের ছেড়ে দিন। বলেই নীলা ওর হাতের হীরার আংটি, গলার চেইন, খুলে লোকটার পায়ের নিকট ফেলে দিল। জামা খুলতে শুরু করল। আমি বাধা দিলাম।
ছি নীলা এত পাগলামি কর না। ও অঝোরে কাঁদতে লাগল। বার বার বলতে লাগল-স্যার আমাদের ছেড়ে দিন। আমি ওকে শান্তনা দিতে পারলাম না। এক বার ভাবলাম ব্যাটাকে খুন করে ফেলি, ঐ তো নদী। পেরিয়ে যেতে পারব। পরক্ষনেই ভাবলাম হয়ত চার দিকে পুলিশ আমাদের ঘিরে ধরেছে। পালানো সম্ভব নয়। আমার মরতেও কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমার সোনা? অকালে ওকে হারাতে চাইনি।
ছি নীলা এত পাগলামি কর না। ও অঝোরে কাঁদতে লাগল। বার বার বলতে লাগল-স্যার আমাদের ছেড়ে দিন। আমি ওকে শান্তনা দিতে পারলাম না। এক বার ভাবলাম ব্যাটাকে খুন করে ফেলি, ঐ তো নদী। পেরিয়ে যেতে পারব। পরক্ষনেই ভাবলাম হয়ত চার দিকে পুলিশ আমাদের ঘিরে ধরেছে। পালানো সম্ভব নয়। আমার মরতেও কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমার সোনা? অকালে ওকে হারাতে চাইনি।