16-08-2021, 01:31 AM
একটু পরেই চাচা এবং ছোট চাচি এলেন । চাচার হাতে বেশ বড় একটা টর্চ লাইট দেখে আমার কৌ্তুহল হল । আমি টর্চটা চেয়ে নিয়ে জঙ্গলের দিকে আলো ফেললাম । মুহুর্তে অন্ধকার জঙ্গলের একটা অংশ তীব্র আলোয় উদ্ভাসিত হলো । পরিচ্ছন্ন সুপারি গাছের সারি অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত । ভয়ের কিছুই নেই । “এটাতেতো অনেক আলো হয়!” আমি টর্চটা চাচাকে দিয়ে বিস্মিত কন্ঠে বললাম ।
“এটা পাঁচ ব্যাটারির টর্চ । ডাকাইত আসলে ভালো কাজে দেয়” ।
“ডাকাত!” আমি ভয়ে, বিস্ময়ে প্রায় চেচিয়ে উঠলাম ।
চাচা হেসে বললেন, “ভাতিজা, ডরাইও না । আমি গরীব মানুষ । ডাকাইত আমার কাছে আসবে না । টাকা-পয়সা, সোনা-দানার খবর পাইলে এরা আসে । আমার কাছে তেমন কিছু নাই” ।
“তাহলে?”
“ধনী প্রতিবেশীদের সাহায্যে কাজে লাগে । এইযে তোমার পাশে বসা সখিনার বাবা বিরাট ধনী । তিনবার উনার বাড়িতে ডাকাত আসছিলো”।
আমি বিস্মিত চোখে সখিনার দিকে তাকালাম । মনে মনে বেশ লজ্জিত হলাম । বিরাট ধনীর দুলালীকে আমি কিনা কাজের মেয়ে ভেবেছিলাম । অবশ্য খাবার রুমে তার দামি পোষাক দেখে একটু খটকা লেগেছিলো । দামি পোষাকের ভেতরে আরো দামি সখিনার আসাধারন যোনি দেখার স্মৃতি মনে পড়ে আবার শিহরিত হলাম ।
“ভাতিজা, তোমার বিদেশী জিনিস কি সঙ্গে আছে না ব্যাগে বাইখা আসছ”, চাচা প্রসংগ পরিবর্তন করলেন ।
বিদেশী জিনিস মানে যে সিগারেট, বুঝতে অসুবিধা হলো না । “ব্যাগে, চাচা । বসুন, আমি নিয়ে আসছি” ।
“সখিনারে সাথে নিয়া যাও” ।
আমি সেই পুরনো পথেই ফিরে চললাম । পেছনে সখিনা । খাবার রুমে কেউ নেই । আমি থমকে দাঁড়ালাম । দুটো হ্যারিকেন নিঃসঙ্গভাবে জ্বলছে । সখিনা একটা হ্যারিকেন তুলে নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলো । আমি পেছন পেছন তাকে অনুসরন করলাম ।
সখিনা গোলাঘরের দিকে না গিয়ে সামনে এগিয়ে চলল । খাবারঘরের শেষপ্রান্তে একটা বন্ধ দরজা । সখিনা সেটা খুলতেই বাড়ির বাইরের পেছনের দিকে এসে পড়লাম । এটা একটা ঘাসে ঢাকা সমতল চাতাল । একটা বাশের তৈরী মই সরাসরি দোতালায় উঠে গেছে । সখিনা বামহাতে হ্যারিকেনটা নিয়ে ডানহাতে পায়ের কাছ থেকে শাড়ির গোছা তুলে ধরে নিপুন দক্ষতায় মই বেয়ে উঠতে লাগলো । আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম । মেয়েটার কোমরের নীচের অংশ এখন সম্পুর্ন নগ্ন । প্রতিধাপে পা রাখার সময় মেয়েটার অসাধারন সুগৌ্ল পাছার দাবনাদুটো হ্যারিকেনের আলোয় ঝলসে উঠছে । আমার কাছে কোনো আলো না থাকায় আফসোস লাগলো । আলো থাকলে হয়ত পেছন থেকে মেয়েটার সুদৃশ্য যোনিটা আরেকবার দেখার সৌভাগ্য হত । মইএর শেষপ্রান্ত দোতালার একটা গরাদবিহীন জানালায় মিশেছে । সেটা গলে সখিনা ভেতরে চলে গেলো ।