15-08-2021, 05:23 PM
(This post was last modified: 15-08-2021, 05:24 PM by dimpuch. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
যে কোন মেয়ে সে টার জন্ম প্রাসাদে হোক বা বস্তিতে চাইবে যে বিয়ের দিন মা যেন পাশে থাকে। সেই জন্য আমার এই অংশ টুকু স্পেশাল
"টাপুরের আজ বিয়ে। গায়ে হলুদ নিয়ে এসেছে, বুকু আর পুকুর মামাতো ভাই টুকাই ।হলুদ শাড়ীতে টাপুর, হলুদ মাখিএছে ভাবি, বীথি, শ্রী এমনকি টুপুর পর্যন্ত। টুপুর কেও হলুদ মাখিয়ে দিয়েছে বীথি। সবাই একটি ছোট পীতলের ঘটি থেকে জল ঢালছে টাপুরের মাথায়, টুপুরের সজল চোখ বলে উঠলো “ দিদি তুই খুব সুন্দর রে, খুব সুন্দর”।
নরেশ বাবুর বাড়ির চান ঘরে একা দাঁড়িয়ে নগ্ন টাপুর। ঝরে পড়ছে শাওয়ার থেকে বৃষ্টির মতো জল ধারা। হঠাৎ ভেসে এল কোন সুদুর অতিত থেকে এক টুকরো ছবি সেই ধারার মাঝে। ছোট্ট টাপুরকে কোলে নিয়ে ডিমের কুসুম অল্প করে চামচেতে খাইয়ে দিচ্ছে বাবা, ভিতরের ঘর থেকে ভেসে আসছে দিদুর গলা “ মনি, এইটা রাগ ভৈরব, আরও খাদে নেমে স্বর তোল“
কেঁপে উঠলো টাপুর, দু হাতে কান্না চেপে চানঘরের সুন্দর মেঝেতে দুই হাঁটুর ওপর চিবুক রেখে হু হু করে কেঁদে চলেছে। বুকের অনেক অনেক গভীরে বার বার উথলে উঠছে অবিরাম অশ্রু স্রোত, ওপর থেকে ঝরে পড়া অজস্র জলবিন্দুর ভিতর উপুর হয়ে শুয়ে ক্রন্দনরত টাপুর শুনছে তার মা মনীষা গাইছে উদাত্ত কণ্ঠে
……………………… ধ্বনিল আহ্বান, মধুর গম্ভীর, প্রভাত অম্বর মাঝে,
……………………দিকে দিগন্তরে ভুবন মন্দিরে শান্তি সঙ্গীত বাজে
………………… ধ্বনিলরে ধ্বনিলরে
খুব আস্তে, শুধু টাপুর শুনতে পেল নিজের অস্ফুট ডাক ‘মা’।"
"টাপুরের আজ বিয়ে। গায়ে হলুদ নিয়ে এসেছে, বুকু আর পুকুর মামাতো ভাই টুকাই ।হলুদ শাড়ীতে টাপুর, হলুদ মাখিএছে ভাবি, বীথি, শ্রী এমনকি টুপুর পর্যন্ত। টুপুর কেও হলুদ মাখিয়ে দিয়েছে বীথি। সবাই একটি ছোট পীতলের ঘটি থেকে জল ঢালছে টাপুরের মাথায়, টুপুরের সজল চোখ বলে উঠলো “ দিদি তুই খুব সুন্দর রে, খুব সুন্দর”।
নরেশ বাবুর বাড়ির চান ঘরে একা দাঁড়িয়ে নগ্ন টাপুর। ঝরে পড়ছে শাওয়ার থেকে বৃষ্টির মতো জল ধারা। হঠাৎ ভেসে এল কোন সুদুর অতিত থেকে এক টুকরো ছবি সেই ধারার মাঝে। ছোট্ট টাপুরকে কোলে নিয়ে ডিমের কুসুম অল্প করে চামচেতে খাইয়ে দিচ্ছে বাবা, ভিতরের ঘর থেকে ভেসে আসছে দিদুর গলা “ মনি, এইটা রাগ ভৈরব, আরও খাদে নেমে স্বর তোল“
কেঁপে উঠলো টাপুর, দু হাতে কান্না চেপে চানঘরের সুন্দর মেঝেতে দুই হাঁটুর ওপর চিবুক রেখে হু হু করে কেঁদে চলেছে। বুকের অনেক অনেক গভীরে বার বার উথলে উঠছে অবিরাম অশ্রু স্রোত, ওপর থেকে ঝরে পড়া অজস্র জলবিন্দুর ভিতর উপুর হয়ে শুয়ে ক্রন্দনরত টাপুর শুনছে তার মা মনীষা গাইছে উদাত্ত কণ্ঠে
……………………… ধ্বনিল আহ্বান, মধুর গম্ভীর, প্রভাত অম্বর মাঝে,
……………………দিকে দিগন্তরে ভুবন মন্দিরে শান্তি সঙ্গীত বাজে
………………… ধ্বনিলরে ধ্বনিলরে
খুব আস্তে, শুধু টাপুর শুনতে পেল নিজের অস্ফুট ডাক ‘মা’।"