14-08-2021, 10:06 AM
এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। আবার জনসংখ্যা বেড়ে যাবে। আমি এই দুটো ধারনার সাথে একমত নই। যৌবন প্রাপ্তির সাথে সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে শরীর সুস্থ্য থাকে।মনে প্রফুল্লতা আসে, কাজে উদ্যম আসে। আর যৌবন জোর করে চেপে রাখার সমস্যা অনেক বেশী। অনেক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এসব ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসা বিয়ে। আর জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ধারনা তো পুরোপুরি অমূলক। কারণ বিয়ে হবার পরও জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করা যায়। সেক্ষেত্রে আইনটা একটু উল্টো তুলে ধরতে হবে। আইন করতে হবে অবশ্যই আঠার বছরের আগে কোন সন্তান নেওয়া যাবেনা। তার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে। তাহলে একদিকে মানসিক প্রফুল্লতা থাকবে, অন্য দিক চরিত্র বজায় থাকবে, জনসংখাও নিয়ন্ত্রনে থাকবে। আর এই যে আইন এটা সরাসরি মানুষকে অবৈধ মিলনে উদ্ধুব্ধ করছে। মাঝের থেকে লাভবান হচ্ছে ঔষধ কোম্পানী, এরা জন্মনিয়ন্ত্রনের উপকরণ আর ঔষধ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যাবে বিবাহিত দম্পতির চেয়ে অবিবাহিত মানুষরাই বেশী বেশী এই সব ঔষধ ক্রয় করে। আইন করে কি যৌবন চেপে রাখা যায়? যৌবনের কি কেলো আইনরে বাবা————–
আর পারলাম না ভাবতে। আমি তো কোন নামকরা বুদ্ধিজীবি নই। নই কোন নামকরা আইনবিদও।আমি হলাম হালকা টাইপের কবি, আর প্রেমিক। আমি কি করে আইনের ঔসব ফাক ফোকর বুঝাব?
এই সময় একটা কান্ড ঘটল। হঠাৎ শুনলাম নীলা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে। ওর দিকে তাকালাম। ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছে নিশ্চই। আমি ওর কাছে গেলাম। গায়ে ধাক্কা দিলাম। এই এই নীলা কাদছ কেন? কোন জবাব দিল না। আরও জোরে কাঁদছে। আমি জোর করে ওকে ডাকলাম। অনেক ধাক্কা দেয়ার পর চোখ বড় করে তাকাল আমার দিকে। ওর মাথাটা কোলে তুলে নিলাম। কোলে মাথা রেখে ছাদের দিকে তাকাল, চোখের দুই ধার দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ভাবলাম মোহ কেটে যাচ্ছে না তো? ওকি নিজের কাজের জন্য অপরাধ বোধ করছে? হয়ত নিজের মধ্যে ভয় লজ্জা, অনুশোচনা কাজ করছে, কিন্তু বলতে পারছে না। সামনে সাম্ভব্য বিপদে ভয় পাচ্ছে। ভাবলাম এই সরল আবেগ কেটে গেলে আমাকেই দোষ দেবে। পৃথিবীর কোন যুক্তি আমাকে রক্ষা করতে পারবে না। ওর জবানবন্দীই হবে সত্য। আমি যা বলব সব হবে মিথ্যে। একটা প্রবাদ বাক্য মনে পড়ল, মেয়েলোক যা বলে তাই সত্য আর পুলিশ যা বলে তাই আইন, আমি একটু শক্ত হলাম। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে শেষ যাচাই করতে হবে।
আর পারলাম না ভাবতে। আমি তো কোন নামকরা বুদ্ধিজীবি নই। নই কোন নামকরা আইনবিদও।আমি হলাম হালকা টাইপের কবি, আর প্রেমিক। আমি কি করে আইনের ঔসব ফাক ফোকর বুঝাব?
এই সময় একটা কান্ড ঘটল। হঠাৎ শুনলাম নীলা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে। ওর দিকে তাকালাম। ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছে নিশ্চই। আমি ওর কাছে গেলাম। গায়ে ধাক্কা দিলাম। এই এই নীলা কাদছ কেন? কোন জবাব দিল না। আরও জোরে কাঁদছে। আমি জোর করে ওকে ডাকলাম। অনেক ধাক্কা দেয়ার পর চোখ বড় করে তাকাল আমার দিকে। ওর মাথাটা কোলে তুলে নিলাম। কোলে মাথা রেখে ছাদের দিকে তাকাল, চোখের দুই ধার দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ভাবলাম মোহ কেটে যাচ্ছে না তো? ওকি নিজের কাজের জন্য অপরাধ বোধ করছে? হয়ত নিজের মধ্যে ভয় লজ্জা, অনুশোচনা কাজ করছে, কিন্তু বলতে পারছে না। সামনে সাম্ভব্য বিপদে ভয় পাচ্ছে। ভাবলাম এই সরল আবেগ কেটে গেলে আমাকেই দোষ দেবে। পৃথিবীর কোন যুক্তি আমাকে রক্ষা করতে পারবে না। ওর জবানবন্দীই হবে সত্য। আমি যা বলব সব হবে মিথ্যে। একটা প্রবাদ বাক্য মনে পড়ল, মেয়েলোক যা বলে তাই সত্য আর পুলিশ যা বলে তাই আইন, আমি একটু শক্ত হলাম। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে শেষ যাচাই করতে হবে।