14-08-2021, 10:05 AM
পরিকল্পনা গুলো বড় বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে গেল। মনে হল প্রেমের ক্ষেত্রে এমন বাড়া বাড়িই উপযুক্ত। যদি এতটুকু সাহস না থাকে, এতটুকু ঝুকি নিতে না পারি তাহলে পরী মেয়েদের সাথে প্রেম করি কেন? অসম্ভব রূপবতী সব মেয়েদের রূপের ঝাজে পুড়ে গলে গলে খাক হব আর অনন্ত সুখের জন্য এতটুকু করতে পারব না? দেশের পুলিশ আমাদের ধরবে, হাজাতে দেবে, কিন্তু ঐ ভারত, বার্মা, চীন, ওরা? না ওরা আমাদের কিছুই বলবে না।ওরা তো আমাদের দেশের মা-বাবার মত কসাই না। ওরা আমাদের যদি ধরেও ফেলে সব শুনে অন্তত গহীন পাহাড়ের কোন একটা গুহায় আমাদের জায়গা করে দেবে। হয়ত অনাবাদী কোন নির্জন জায়গায় আমার আর আমার সোনার জীবন গড়তে দেবে। আমরা সেখানে ঘরবাধব, সংসার করব, আর আমার সোনারানীর পেট থেকে অসংখ্য ছোট পরী জন্ম নেব্।েসমস্ত পাহাড়, ঝর্ণা, সব ছোট ছোট পরীতে ভরে যাবে- হ্যাঁ –হ্যাঁ–হ্যাঁ। আমার পরী সোনা তখনও গভীর ঘুমের দেশে। আমি জেগে ঘুম আনতে চেষ্টা করলাম। এলোমেলো ভাবে কিছু সময় পায়চারি করলাম। আয়নায় নিজের চেহারা দেখলাম, বাথরুমে গেলাম, চোখে পানির ঝাপটা দিলাম, তবুও ঘুম আসল না। শেষে একটা কাগজ কলম নিলাম, ভাবলাম, বাবাকে একটা চিঠি লিখি, চাচীকে একটা লিখলে কেমন হয়? আবার ভাবলাম কি হবে বাবা- চাচীকে লিখে? কাগজ কলম হাতে ধরা, ভাবলাম কিছু একটা কি লিখব? কি লিখব? সোনাকে নিয়ে কবিতা ,গল্প, উপন্যাস কিছু একটা শুরু কি করব? আমি শুরু করি, আর অন্য জীবনের কোন এক মানুষ এসে তার ইতি টানুক। শেষে ভাবলাম- না কোন চিঠি, গল্প নয়। কিন্তু কি লিখি? হঠাৎ কাজী সাহেবের কথাটা মনে পড়ল সোনারানী বয়স হতে হবে আঠারো আমার পচিশ। মনে মনে হাসলাম। এ দিকে যৌবন টস টস করছে আর শালার আইন বলে বিয়ের বয়স হয়নি। হারামী কাজী, মনে হয় মান্দু টাইপের কোন মানুষ এই আইন তৈরী করেছে। তা না হলে কি করে এই ছয় বছর আমার সোনাকে দেরী করতে বলে? ওর দাপা দাপি, কি ওরা দেখে? দেখতে হয় আমাকে। তাইতো সান্তনা দিই।ধমক দিই। সৎচরিত্রের কথা শোনাই। আদর্শ বোধ জাগিয়ে তুলি। সব শেষে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিই। বিষয়টা নিয়ে আমার মধ্যে একটা ভাবনা চলে এল। ভাবনাটা এমন-
বাংলাদেশে একটা মেয়ে নয় থেকে বার বছরের মধ্যে যৌবনবর্তী হয়। সন্তান ধারনে সক্ষম হয়ে ওঠে। আবার চৌদ্দ পনের বছরের একটা ছেলে সন্তান জন্ম দানে সক্ষম। তাহলে কেন আঠার আর পঁচিশ বছর বিয়ের বয়স সিদ্ধ হবে? আমি এই আইনের তীব্র বিরোধীতা করছি এবং প্রতিবাদ করছি।
বাংলাদেশে একটা মেয়ে নয় থেকে বার বছরের মধ্যে যৌবনবর্তী হয়। সন্তান ধারনে সক্ষম হয়ে ওঠে। আবার চৌদ্দ পনের বছরের একটা ছেলে সন্তান জন্ম দানে সক্ষম। তাহলে কেন আঠার আর পঁচিশ বছর বিয়ের বয়স সিদ্ধ হবে? আমি এই আইনের তীব্র বিরোধীতা করছি এবং প্রতিবাদ করছি।