12-08-2021, 09:47 AM
(This post was last modified: 12-08-2021, 09:48 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
আমি বললাম সর্বনাশ হয়েছে নীলা। ও ফ্যাকাসে হয়ে বলল, কি হয়েছে? আমি পত্রিকা গুলো ওর সামনে ফেলে দিলাম। ও দেখল। আমি দেখলাম ও কিছুটা ভয় পেয়ে গেছে। আমি কিছুটা সন্দেহের মধ্যে রাখলাম ওকে। ভাল করে যাচাই করা দরকার। চরম বিপদে অনেক সময় সবাই দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারে না। যে আবেগে আমার সাথে ঘর ছেড়েছে। এই দুর্যেগে জীবন মরনের সন্ধিক্ষনে হয়ত ওর মোহ কেটে যেতে পারে। আমি বললাম এখন কি করবে নীলা? নীলা বলল, কি করব আবার, পালাতে হবে। আমি বললাম, নীলা এখন আবেগের চেয়ে যুক্তির বেশী প্রয়োজন। তুমি ভেবে দেখ- তোমার বাবা যে কাজটা করেছে- তাতে গোটা প্রশাসন আমাদের খুজে বেড়াচ্ছে। এখনও সময় আছে, তুমি তোমার বাবার কাছে ফিরে যাও। তুমি তার একমাত্র মেয়ে। তিনি তোমাকে ক্ষমা করবেন। আমি তাদের বংশের একমাত্র প্রদীপ। আমাকেও হয়ত ক্ষমা করতে পারেন। অথবা আমাকে টুকরো টুকরো করে দিতে পারেন। কেউ কিছুই জানতে পারবেনা। এইটাই সম্ভবনা বেশী। তুমি ইচ্ছা করলে তোমার বাবার কাছে ফিরে যেতে পার কিন্তু আমার পক্ষে আর কোথাও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারন এই ঘটনার জের হিসেবে আমার বাবাকেও হয়ত এতক্ষন পুলিশ জিঞ্জাসা বাদ করছে। নীলা বলল-তাও অসম্ভব কিছু না।খুনীরা আপন পর মানে না। আমি বললাম, নীলা আমার নীলা সোনা, স্বপ্নের রাণী আমার, তুমি তোমার বাবার কাছে ফিরে যাও। তোমার ছোয়া যতটুকু পেয়েছি তাতে এই পৃথিবীতে আমার আর কিছুই পাবার নেই। সেই স্মৃতি নিয়ে আমি সারা জীবন বেচে থাকব।
নীলা বলল- তার মানে তুমি আমাকে নিতে চাচ্ছ না? তুমি এতই ভীত? আমাকে কি ভেবেছ বলত? তোমাকে বিপদে ফেলে আমি ফিরে যাব বাবার কাছে? না- গো সোনা তা আর হয় না। যে পথে পা বাড়িয়েছি সেই পথই আমার একান্ত আপন। তুমি বিশ্বাস না কর চল কাজী অফিসে। আমি দেখলাম নীলাকে আর ফেরানো যাবে না। দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে নিলাম। আমি বললাম, এখানে আর থাকা নিরাপদ নয়। দ্রুত গোছ গাছ কর। এক্ষুনি বেরুতে হবে। সময় মাত্র দশ মিনিট।
সেদিন দশ মিনিটের মধ্যে আমরা হোটেল ত্যাগ কললাম। আসার সময় ম্যানেজারকে বললাম, বাবার এক বন্ধুর ম্যাসিভ হার্ট এটাক হয়েছে। যখন তখন অবস্থা।হাসপাতালে আছে। তাই চলে যাচ্ছি। আরও একখানা পাঁচশত টাকার নোট বকশিস দিলাম ম্যানেজারকে। পথে এসে একটা ট্যাক্সি নিলাম। ট্রাক্সিতে করে সায়েদাবাদ নামলাম। ঠিক করলাম আগে সীমান্ত বর্তী কোন এলাকায় যাওয়া দরকার। আনেকটা নিরাপদ হবে। ওখানকার পুলিশরা চোরাকারবারীদের ধরার জন্য ব্যাস্ত থাকে।আমাদের মত প্রেমিক – প্রেমিকাদের জন্য ওদের নজর কম।
নীলা বলল- তার মানে তুমি আমাকে নিতে চাচ্ছ না? তুমি এতই ভীত? আমাকে কি ভেবেছ বলত? তোমাকে বিপদে ফেলে আমি ফিরে যাব বাবার কাছে? না- গো সোনা তা আর হয় না। যে পথে পা বাড়িয়েছি সেই পথই আমার একান্ত আপন। তুমি বিশ্বাস না কর চল কাজী অফিসে। আমি দেখলাম নীলাকে আর ফেরানো যাবে না। দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে নিলাম। আমি বললাম, এখানে আর থাকা নিরাপদ নয়। দ্রুত গোছ গাছ কর। এক্ষুনি বেরুতে হবে। সময় মাত্র দশ মিনিট।
সেদিন দশ মিনিটের মধ্যে আমরা হোটেল ত্যাগ কললাম। আসার সময় ম্যানেজারকে বললাম, বাবার এক বন্ধুর ম্যাসিভ হার্ট এটাক হয়েছে। যখন তখন অবস্থা।হাসপাতালে আছে। তাই চলে যাচ্ছি। আরও একখানা পাঁচশত টাকার নোট বকশিস দিলাম ম্যানেজারকে। পথে এসে একটা ট্যাক্সি নিলাম। ট্রাক্সিতে করে সায়েদাবাদ নামলাম। ঠিক করলাম আগে সীমান্ত বর্তী কোন এলাকায় যাওয়া দরকার। আনেকটা নিরাপদ হবে। ওখানকার পুলিশরা চোরাকারবারীদের ধরার জন্য ব্যাস্ত থাকে।আমাদের মত প্রেমিক – প্রেমিকাদের জন্য ওদের নজর কম।