11-08-2021, 07:15 PM
(This post was last modified: 11-08-2021, 07:17 PM by Small User. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(18-04-2021, 07:26 PM)DEEP DEBNATH Wrote: টিউশনিটা শেষ করে হোস্টেলে ফিরছিলাম। ক্লান্ত দেহ, মেজাজটাও খারাপ। মেজাজ খারাপ হবার কারন একটাই। রান্না করার ঝামেলা। হোস্টেলের ডাইনিং এর খাবার রোচেনা এই কারনে যে, রেশন চালের সস্তা ভাত, পদ্মার জলের পানির মতোই পাতলা ডাল, তরকারীতে দু একটা মাছের টুকরা কিংবা মাংসের টুকরা থাকে কি থাকে না, খোঁজতে বোধ হয় অনুবীক্ষণ যন্ত্রই লাগে। আর রেষ্টুরেন্টের খাবার ভালো লাগে না এই কারনে, তেলে ভেজাল, মসলায় ভেজাল, মাছটা পঁচা ছিলো কিনা ঠিক ছিলো, পশুটা কি সত্যিই জীবিত জবাই করা হয়েছিলো? অনেক সন্দেহ।Apni ki peyechen?
হোস্টেলের দরজাটা খুললাম, অলস দেহেই। পায়ের কাছেই দেখলাম একটা চিঠি পরে আছে। আমার সবচেয়ে ছোট বোন ইলার চিঠি।
আমার কি হলো বুঝলাম না। সব ক্লান্তি, মেজাজ খারাপ এর ভাবটাও কেটে গেলো। চিঠিটা খুললাম, তড়ি ঘড়ি করে।
ভাইয়া,
ক্লাশ এইটে বৃত্তি পেয়েছি। টেলেন্টপুল বৃত্তি। খুশীর কথাটা তোমাকেই আগে জানালাম। আব্বুকে এখনো জানাইনি। তুমি এলেই জানাবো।
তোমার অবহেলায় ফেলে যাওয়া ছোট বোন ইলা।
আমি চিঠিটাতে একটা চুমু দিয়ে বললাম, ইলা, তুমি আমার অবহেলায় ফেলে আসা ছোট বোন হবে কেনো? তুমি আমার অতি আদরের ছোট বোন। অতি অতি আদরের।
আমার মানিব্যাগে সব সময় ইলার একটা ছবি থাকে। যে ছবিটাতে ইলা দাঁত বেড় করে হাসছে। অপরূপ দাঁত ইলার। দু পাশের দুটি গেঁজো দাঁত আরো বেশী অপূর্ব!
আমি মাণি ব্যাগটা বেড় করে, ইলার ছবিটার ঠিক দাঁতগুলো বরাবরই একটা চুমু দিয়ে, বিড় বিড় করলাম, আমি আসছি ইলা
পুরো গল্পটা কারো কাছে আছে ?