11-08-2021, 05:51 PM
আড়াই বছর আর শিনা সাক্ষাৎ করে নি জিষ্ণুর সাথে। জিষ্ণু কে আর দেখতেও পায় না ওদের পাড়ায়। কিন্তু ও জানে যে জিষ্ণু ওদের বাড়িতে চলে গেছে। সেটা গিয়ে সে দেখেও এসেছে। ওর বাবা মনে হয় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গেছিলেন। শিনা নিজেকে তৈরি করেছে। মাস্টার্স কমপ্লিট করে যতদিন না চাকরি পেয়েছে বাড়ি থেকে বেরয় ও নি। যেদিন চাকরি পেয়েছিল সেইদিন ওর মা কে বলেছিল জিষ্ণুর কথা। ওর মা তো শুনেই হাউমাউ করে কেঁদে অস্থির। কিন্তু কেন জানিনা বাবা কিছু বলেন নি। আসতে করে মাথায় হাত রেখে শিনা কে সাপোর্ট ই করেছিল।
সেদিন রাতে ওই নয়টার দিকে জিষ্ণু প্রায় আধপাগল বাবাকে বিছানায় শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে বসে ছিল ঘরের চেয়ার টি তে। ঠিক এই চেয়ারের নিচেই ওর মায়ের মৃতদেহ টা পড়েছিল রক্ত মাখা অবস্থায়। দাদা পাগলের মতন দৌড়ে এসে মা কে মৃত দেখে সেই যে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল... উফফ আর ভাবতে পারছে না জিষ্ণু। ডুকরে ডুকরে কান্না যেন ফেটে বেড়িয়ে আসবে গলা থেকে। ঠিক সেই সময়ে দরজায় কড়া নাড়ানোর শব্দ হতেই বিরক্ত হয়ে উঠে লাইট টা জ্বেলে দরজা খুলতেই দেখে শিনা দাঁড়িয়ে। শিনা কে দেখে জিষ্ণু অবাক হয় নি ,হয়েছিল শকড। প্রায় চিৎকার করে বলে ফেলেছিল
- একী ইইইই তুমি এখানে???????
- ভিতরে আসতে বলবে না”? জিষ্ণু ঘাবড়ে গিয়ে বলল
- ও হ্যাঁ এস” শিনা ঘরে ঢুকে দরজা টা বন্ধ করতে বলেছিল। জিষ্ণু সত্যি আবার ও ঘাবড়ে গেল। একী রে বাবা যাবে না নাকি আজকে ফেরত প্যাভেলিওন এ?
- সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত খুব , একটু চা পাওয়া যাবে? না না তুমি না আমি করব চা। কোথায় রান্না ঘর”? জিষ্ণুর এখন ও ঘোর কাটে নি যেন। ও কেমন ক্যাবলার মতন তাকিয়ে হাত বাড়িতে দেখিয়ে দিয়েছিল কোথায় রান্না ঘর টা। চা করে নিয়ে এসে জিষ্ণু কেও এক কাপ দিয়ে শিনা বলল – দেখ সেদিনের পর থেকে আমি তোমাকে একদিনের জন্যেও জ্বালাতন করিনি। করেছি বল?” জিষ্ণু আবার ও ক্যাবলার মতন ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল। শিনা বলে চলে – “ কেন জ্বালাতন করিনি? কারন আমি তোমাকে তখন বললেও তুমি বিশ্বাস করতে না যে তোমাকে আমি কত টা ভালবাসি। তাই আমি এই আড়াই বছরে নিজেকে তৈরি করেছি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। আজকে প্রথম মাইনে ও পেয়েছি। আর আমি সব ছেড়ে তোমার কাছে চলে এসেছি” কথা গুলো এক নিঃশ্বাসে বলে শিনা চুপ করে গেল। জিষ্ণু চেয়ার এ বসে চা খাচ্ছিল। শিনার কথা গুলো শুনে এবারে ওর মোটেই বাচ্চা মেয়ের কথার ফুলঝুরি মনে হয় নি। সেদিন ও মোটেই ভয় পায় নি যেদিন শিনা ওকে প্রথম বলেছিল। সেদিন ও জানত এটা শিনার পাগলামি। কিন্তু আজকে ভয় পেল। ও বুঝে গেছে যে আজকে যেটা ও করছে সেটা পাগলামি নয়। আর জিষ্ণু এটাও বুঝে গেছে এই ভালবাসা কে উপেক্ষা করার সাধ্যি ওর নেই।
সেদিন রাতে ওই নয়টার দিকে জিষ্ণু প্রায় আধপাগল বাবাকে বিছানায় শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে বসে ছিল ঘরের চেয়ার টি তে। ঠিক এই চেয়ারের নিচেই ওর মায়ের মৃতদেহ টা পড়েছিল রক্ত মাখা অবস্থায়। দাদা পাগলের মতন দৌড়ে এসে মা কে মৃত দেখে সেই যে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল... উফফ আর ভাবতে পারছে না জিষ্ণু। ডুকরে ডুকরে কান্না যেন ফেটে বেড়িয়ে আসবে গলা থেকে। ঠিক সেই সময়ে দরজায় কড়া নাড়ানোর শব্দ হতেই বিরক্ত হয়ে উঠে লাইট টা জ্বেলে দরজা খুলতেই দেখে শিনা দাঁড়িয়ে। শিনা কে দেখে জিষ্ণু অবাক হয় নি ,হয়েছিল শকড। প্রায় চিৎকার করে বলে ফেলেছিল
- একী ইইইই তুমি এখানে???????
- ভিতরে আসতে বলবে না”? জিষ্ণু ঘাবড়ে গিয়ে বলল
- ও হ্যাঁ এস” শিনা ঘরে ঢুকে দরজা টা বন্ধ করতে বলেছিল। জিষ্ণু সত্যি আবার ও ঘাবড়ে গেল। একী রে বাবা যাবে না নাকি আজকে ফেরত প্যাভেলিওন এ?
- সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত খুব , একটু চা পাওয়া যাবে? না না তুমি না আমি করব চা। কোথায় রান্না ঘর”? জিষ্ণুর এখন ও ঘোর কাটে নি যেন। ও কেমন ক্যাবলার মতন তাকিয়ে হাত বাড়িতে দেখিয়ে দিয়েছিল কোথায় রান্না ঘর টা। চা করে নিয়ে এসে জিষ্ণু কেও এক কাপ দিয়ে শিনা বলল – দেখ সেদিনের পর থেকে আমি তোমাকে একদিনের জন্যেও জ্বালাতন করিনি। করেছি বল?” জিষ্ণু আবার ও ক্যাবলার মতন ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল। শিনা বলে চলে – “ কেন জ্বালাতন করিনি? কারন আমি তোমাকে তখন বললেও তুমি বিশ্বাস করতে না যে তোমাকে আমি কত টা ভালবাসি। তাই আমি এই আড়াই বছরে নিজেকে তৈরি করেছি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। আজকে প্রথম মাইনে ও পেয়েছি। আর আমি সব ছেড়ে তোমার কাছে চলে এসেছি” কথা গুলো এক নিঃশ্বাসে বলে শিনা চুপ করে গেল। জিষ্ণু চেয়ার এ বসে চা খাচ্ছিল। শিনার কথা গুলো শুনে এবারে ওর মোটেই বাচ্চা মেয়ের কথার ফুলঝুরি মনে হয় নি। সেদিন ও মোটেই ভয় পায় নি যেদিন শিনা ওকে প্রথম বলেছিল। সেদিন ও জানত এটা শিনার পাগলামি। কিন্তু আজকে ভয় পেল। ও বুঝে গেছে যে আজকে যেটা ও করছে সেটা পাগলামি নয়। আর জিষ্ণু এটাও বুঝে গেছে এই ভালবাসা কে উপেক্ষা করার সাধ্যি ওর নেই।