11-08-2021, 11:05 AM
আমার সোনার কামভরা ভালবাসার আঠা থেকে নিজেকে মুক্ত করে বাথরুমে গেলাম।প্রথম কর্মটা সারলাম। ফিরে এসে দাত ব্রাস করলাম। বিস্কুট, ফল, আর চা দিয়ে নাস্তার শেষে নীলাকে বললাম, সোনাগো, আমরা পালিয়েছি, তোমার বাবা আমাদের সন্ধান পেলে আমাকে গুলি করে মারবে, তোমাকেও আস্ত রাখবে না। নীলা কিছু বললনা।
আমি আবার বললাম- নীলা, আমরা যে পথে বেরিয়েছি, এক সাথেই আমাদের থাকতে হবে। একই খাটে শুতে হবে। তুমিতো ভাল ভাবেই বোঝ। একই পর্যায়ের একটা ছেলে একটা মেয়ে একসাথে থাকলে প্রথমে একটু বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়। তার পর বন্ধুতের সুবাদে, একটু আদর স্নেহ বিনিময় হয়। এক সময় আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা জাগে।
নীলা হাসতে হাসতে বলল, অনেক কিছুটা কি? আমি বললাম, বলবনা। ও প্রায় হামলে আমার মুখের উপর মুখনিয়ে এসে বলল, এই বলনাগো- কি করার ইচ্ছা হয়? আমি একটু আস্তে বললাম সহবাস করার ইচ্ছা হয়॥
নীলা প্রায় সাথে সাথে বলল, এই তুমি একটা আস্ত ফাজিল, চোর। তুমি আমাকে চুরি করেছ। তোমাকে পুলিশে দেব। আমি বাবা ও সব কিছু করতে পারবনা বলে দিলাম।আমি হাসলাম সোনার দিকে তাকিয়ে। খুশিতে ওর চোখ ঝলমল করছে। আমি বললাম, ঠিক আছে- কিছুৃ না কর, একটা সম্পর্ক তো তৈরী করা দরকার। চল আমরা বিয়ে করি।সেদিন সকাল নয়টায় আমি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। প্রথমে খেয়ে নিলাম। নীলার জন্য খাবার রুমে পাঠিয়ে দিলাম। ওকে রেষ্ট নিতে বলে আমি বেরিয়ে পড়রাম। সেদিন বেরুনোর উদ্দেশ্য ছিল দুটো । একটা পাসপোর্ট অফিস, দ্বিতীয়টা হল কাজী অফিস খোজ করা।
আমি প্রথমে গেলাম পাসপোর্ট অফিসে। কিচূ দালাল সেখানে ঘোরা ঘুরি করে।পাসপোর্ট নেয়ার নিয়ম, সময ও টাকার পরিমান একটা নোটিশ বোর্ডে মারা। সেদিকে তাকিলাম না। খুজতে লাগলাম দালালদের। বিপদের সময় এসব অসৎ মানুষেরা বেশী উপকারে আসে। পেয়ে গেলাম এক দালালকে। এক ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট করে দেয়ার দাবী শুনে আকাশ থেকে পড়ল যেন। আমি নগদ চারখানা চকচকে পাচশত টাকার নোট সামনে মেলে ধরলাম। বললাম কাজ হলে তোমার জন্য স্পেশাল পুরুস্কার। তোমার বসকে তুমি ম্যানেজ কর। বাংলাদেশে টাকা দিলে সব হয়। যত টাকা লাগুক, দেব। তবু এক-দুই ঘন্টার মধ্যে আমার পাসপোর্ট চাই-চাই। পুরস্কারের লোভে দালাল সামলাতে পারল না। ছুটে গেল তার বসের কাছে। হাসিমুখে ফিরে এল। ছবি আর টাকা পয়সা নিয়ে গেল। পাঁচ মিনিট পরে আমাকে ফরম পুরুন করতে ডাক পড়ল। আমার দিকে তাকিয়ে তার বসের চোখ স্থির হয়ে গেল। মনে হল, তিনি যেন আমাকে খুজছেন। মুখে শুধু বলল, ও আই সি, তাহলে ইউ আর। আমাকে বললেন, বস এখানে। আমি বসলাম। অফিসার বাথরুমের দিকে গেলেন। এক কর্মচারীকে বললেন, মফিজ তুমি ফরমটা পুরুন করে সই সাক্ষর করিয়ে নাও আমি কয়েকটা জরুরী টেখিফোন করব, তুমিতো জান আমার ওয়াইফ এখন ইন্ডিয়ায় পিয়ারলেস হসপিটালে চিকিৎসাধীন, ওখানে খোজ নিতে হবে। বলে একটু চোখ ইশারা করলেন। তার পর বললেন, ওনাকে চা দাও। এত বড় মালদার পার্টি, একটু আদয়যতœ কর। আমার সন্দেহ হল। আমি আগে একবার বলেছিযে, আমার আই, কিউ, ভাল। চাচীর ধারনা আমার আনুমান ক্ষমতাও ভাল। আমি ঘোরতর সন্দেহের মধ্যে পড়লাম। নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র আছে। আমার চাচা সমস্ত অফিসে ব্যাপারটা জানিয়ে দেয়নি তো? পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়নি তো? সাথে সাথে স্থির হয়ে গেলাম। আগে পত্রিকা দেখতে হবে। আমি উঠব বলে ঠিক করলাম। কিন্তু তড়িঘড়ি করলে সন্দেহের মধ্যে পড়ব বলে পকেটে হাত দিয়েই বললাম এই যা। মফিজ বলল, কি হল? আমি বোকার মতো হেসে বললাম, ভাই সর্বনাশ হয়ে গেছে। টাকা আনতে পরিনি, শার্ট চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে এনে দিচ্ছি। বলে পকেট থেকে আর একখানা পাঁচশত টাকার নোট মফিজকে দিলাম। বললাম এটাও রাখুন বাকী টাকা আনতে যাচ্ছি এসে দেব। তবে কাজটা দ্রুত করেন। জি আচ্ছা বলে মফিজ তার বসকে ডাকতে গেল। আমি এই ফাঁকে বেরিয়ে পড়লাম।আগে পত্রিকা অফিসে গেলাম। চার পাঁচটা জাতীয় পত্রিকা কিনলাম। একি! সবপত্রিায় আমাদের ছবি সহ বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সন্ধান চেয়েছেন। সন্ধান প্রার্থী আমার চাচা নয়, স্বয়ং স্ব-রাষ্ট্র সচীব, আমি পাথর হয়ে গেলাম, পালাতে পারব তো! ঘোরতর সন্দেহ হল আমার পিছনেই কোন গোয়েন্দা নেই তো? একসময় মনে হল আমাকে কে একজন অনুসরণ করছে। আমি পিছন ফিরে তাকাতেই সেও তাকাচ্ছে। আমি হাটলাম তো সেও হাটল। লোকটার চোখে কাল চশমা। কদমছাট চুল। আমি নিশ্চিত হলাম, ব্যাটা পুলিশের লোক। আমি হঠাৎ একটু জেদি হয়ে গেলাম, একটু চ্যালেঞ্জ নিলাম ব্যাটা কেমন পুলিশের লোক। আর কিভাবেই বা আমাকে অনুসরন করে। একবার ভাবলাম ওনার কাছেই না হয় সিগারেট চেয়ে নেব। সাহসে কুলালো না। আমার চাচা যে মানুষ তিনি হযত শুধু পুলিশকেই জানাননি গোটা ঢাকা শহরের মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছেন আমার পিছনে। আমি সাহস হারালাম না। এগলি ও গলি এ দোকানে ও দোকানে করে প্রায় আধা ঘন্টা পর লোকটাকে আর দেখলাম না। আমি সরাসরি বাসে না উঠে, রিকসা ভ্যন চড়ে চড়ে হোটেলে ফিরলাম। হোটেলে এসে দেখি নীলা রাজবানীর মত সেজে বসে আছে। চোখে কাজল সুরমাও দিয়েছে। লাল রঙ্গের স্কার্ট মোজা আর কেডস পরে খাটে বসে বিশ্বভ্রমনের গাইড দেখছে। আমাকে দেখেই নেচে উঠল আনন্দে।
আমি আবার বললাম- নীলা, আমরা যে পথে বেরিয়েছি, এক সাথেই আমাদের থাকতে হবে। একই খাটে শুতে হবে। তুমিতো ভাল ভাবেই বোঝ। একই পর্যায়ের একটা ছেলে একটা মেয়ে একসাথে থাকলে প্রথমে একটু বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়। তার পর বন্ধুতের সুবাদে, একটু আদর স্নেহ বিনিময় হয়। এক সময় আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা জাগে।
নীলা হাসতে হাসতে বলল, অনেক কিছুটা কি? আমি বললাম, বলবনা। ও প্রায় হামলে আমার মুখের উপর মুখনিয়ে এসে বলল, এই বলনাগো- কি করার ইচ্ছা হয়? আমি একটু আস্তে বললাম সহবাস করার ইচ্ছা হয়॥
নীলা প্রায় সাথে সাথে বলল, এই তুমি একটা আস্ত ফাজিল, চোর। তুমি আমাকে চুরি করেছ। তোমাকে পুলিশে দেব। আমি বাবা ও সব কিছু করতে পারবনা বলে দিলাম।আমি হাসলাম সোনার দিকে তাকিয়ে। খুশিতে ওর চোখ ঝলমল করছে। আমি বললাম, ঠিক আছে- কিছুৃ না কর, একটা সম্পর্ক তো তৈরী করা দরকার। চল আমরা বিয়ে করি।সেদিন সকাল নয়টায় আমি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। প্রথমে খেয়ে নিলাম। নীলার জন্য খাবার রুমে পাঠিয়ে দিলাম। ওকে রেষ্ট নিতে বলে আমি বেরিয়ে পড়রাম। সেদিন বেরুনোর উদ্দেশ্য ছিল দুটো । একটা পাসপোর্ট অফিস, দ্বিতীয়টা হল কাজী অফিস খোজ করা।
আমি প্রথমে গেলাম পাসপোর্ট অফিসে। কিচূ দালাল সেখানে ঘোরা ঘুরি করে।পাসপোর্ট নেয়ার নিয়ম, সময ও টাকার পরিমান একটা নোটিশ বোর্ডে মারা। সেদিকে তাকিলাম না। খুজতে লাগলাম দালালদের। বিপদের সময় এসব অসৎ মানুষেরা বেশী উপকারে আসে। পেয়ে গেলাম এক দালালকে। এক ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট করে দেয়ার দাবী শুনে আকাশ থেকে পড়ল যেন। আমি নগদ চারখানা চকচকে পাচশত টাকার নোট সামনে মেলে ধরলাম। বললাম কাজ হলে তোমার জন্য স্পেশাল পুরুস্কার। তোমার বসকে তুমি ম্যানেজ কর। বাংলাদেশে টাকা দিলে সব হয়। যত টাকা লাগুক, দেব। তবু এক-দুই ঘন্টার মধ্যে আমার পাসপোর্ট চাই-চাই। পুরস্কারের লোভে দালাল সামলাতে পারল না। ছুটে গেল তার বসের কাছে। হাসিমুখে ফিরে এল। ছবি আর টাকা পয়সা নিয়ে গেল। পাঁচ মিনিট পরে আমাকে ফরম পুরুন করতে ডাক পড়ল। আমার দিকে তাকিয়ে তার বসের চোখ স্থির হয়ে গেল। মনে হল, তিনি যেন আমাকে খুজছেন। মুখে শুধু বলল, ও আই সি, তাহলে ইউ আর। আমাকে বললেন, বস এখানে। আমি বসলাম। অফিসার বাথরুমের দিকে গেলেন। এক কর্মচারীকে বললেন, মফিজ তুমি ফরমটা পুরুন করে সই সাক্ষর করিয়ে নাও আমি কয়েকটা জরুরী টেখিফোন করব, তুমিতো জান আমার ওয়াইফ এখন ইন্ডিয়ায় পিয়ারলেস হসপিটালে চিকিৎসাধীন, ওখানে খোজ নিতে হবে। বলে একটু চোখ ইশারা করলেন। তার পর বললেন, ওনাকে চা দাও। এত বড় মালদার পার্টি, একটু আদয়যতœ কর। আমার সন্দেহ হল। আমি আগে একবার বলেছিযে, আমার আই, কিউ, ভাল। চাচীর ধারনা আমার আনুমান ক্ষমতাও ভাল। আমি ঘোরতর সন্দেহের মধ্যে পড়লাম। নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র আছে। আমার চাচা সমস্ত অফিসে ব্যাপারটা জানিয়ে দেয়নি তো? পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়নি তো? সাথে সাথে স্থির হয়ে গেলাম। আগে পত্রিকা দেখতে হবে। আমি উঠব বলে ঠিক করলাম। কিন্তু তড়িঘড়ি করলে সন্দেহের মধ্যে পড়ব বলে পকেটে হাত দিয়েই বললাম এই যা। মফিজ বলল, কি হল? আমি বোকার মতো হেসে বললাম, ভাই সর্বনাশ হয়ে গেছে। টাকা আনতে পরিনি, শার্ট চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে এনে দিচ্ছি। বলে পকেট থেকে আর একখানা পাঁচশত টাকার নোট মফিজকে দিলাম। বললাম এটাও রাখুন বাকী টাকা আনতে যাচ্ছি এসে দেব। তবে কাজটা দ্রুত করেন। জি আচ্ছা বলে মফিজ তার বসকে ডাকতে গেল। আমি এই ফাঁকে বেরিয়ে পড়লাম।আগে পত্রিকা অফিসে গেলাম। চার পাঁচটা জাতীয় পত্রিকা কিনলাম। একি! সবপত্রিায় আমাদের ছবি সহ বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সন্ধান চেয়েছেন। সন্ধান প্রার্থী আমার চাচা নয়, স্বয়ং স্ব-রাষ্ট্র সচীব, আমি পাথর হয়ে গেলাম, পালাতে পারব তো! ঘোরতর সন্দেহ হল আমার পিছনেই কোন গোয়েন্দা নেই তো? একসময় মনে হল আমাকে কে একজন অনুসরণ করছে। আমি পিছন ফিরে তাকাতেই সেও তাকাচ্ছে। আমি হাটলাম তো সেও হাটল। লোকটার চোখে কাল চশমা। কদমছাট চুল। আমি নিশ্চিত হলাম, ব্যাটা পুলিশের লোক। আমি হঠাৎ একটু জেদি হয়ে গেলাম, একটু চ্যালেঞ্জ নিলাম ব্যাটা কেমন পুলিশের লোক। আর কিভাবেই বা আমাকে অনুসরন করে। একবার ভাবলাম ওনার কাছেই না হয় সিগারেট চেয়ে নেব। সাহসে কুলালো না। আমার চাচা যে মানুষ তিনি হযত শুধু পুলিশকেই জানাননি গোটা ঢাকা শহরের মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছেন আমার পিছনে। আমি সাহস হারালাম না। এগলি ও গলি এ দোকানে ও দোকানে করে প্রায় আধা ঘন্টা পর লোকটাকে আর দেখলাম না। আমি সরাসরি বাসে না উঠে, রিকসা ভ্যন চড়ে চড়ে হোটেলে ফিরলাম। হোটেলে এসে দেখি নীলা রাজবানীর মত সেজে বসে আছে। চোখে কাজল সুরমাও দিয়েছে। লাল রঙ্গের স্কার্ট মোজা আর কেডস পরে খাটে বসে বিশ্বভ্রমনের গাইড দেখছে। আমাকে দেখেই নেচে উঠল আনন্দে।