10-08-2021, 04:26 PM
তারপর থেকে শিনা জিষ্ণুর সাথে একটু বেশি করেই কথা বলতে চাইত। এখন আর জিষ্ণু বাইরে ছল ছল চোখে বসে থাকে না। আগে জিষ্ণু বসে থাকত দুয়ারে এখন শিনা বসে থাকে দুয়ারে। জিষ্ণু কে দেখতে পাবে বলে। কিন্তু অদ্ভুত খেঁচা এই ছেলেটা। দেখতে কিন্তু রোজ ই পায় শিনা কে যে শিনা দুয়ারে বসে আছে। আর কুড়ি বছরের ছেলে এটাও নিশ্চয়ই বোঝে যে শিনা ওর জন্যেই বসে আছে। একবার তো হাসতে পারে? হাসবে না। শিনা ও ছাড়বার পাত্রি নয়। জানিনা কেন জিষ্ণুর মধ্যে কেমন যেন একটা অদ্ভুত সরলতা ও দেখেছে। কি করে যেন বুঝেও গেছে যে, যে ছেলে এত নিজের কাছে এত টা সৎ সে অন্যের কাছে অসৎ হতেই পারে না। সেইজন্য জিষ্ণু ওর থেকে পাক্কা দুই বছরের ছোট হলেও জিষ্ণুর প্রতি ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু ছেলেটা পাত্তাই দেয় না। দেখতে মোটেই খারাপ নয় শিনা। ফর্সা, সুন্দরী, বেশ ভাল লেখাপড়া তে।ছেলেরা পাগল শিনার জন্য। আর এই ছেলেটা পাত্তাই দেয় না। কি জানি কি ভাবে নিজেকে। তাই একদিন ধরেই ফেলল জিষ্ণু কে। একদম রাস্তার মাঝে। সন্ধ্যে হব হব তখন।
- এই যে বক্সার!! জিষ্ণু পিছন ফিরে একবার দেখেই সামনে হাঁটা লাগাল। ও শিনা কে চেনে খুব ভাল করে। যখন ও মামির হাতে মার খেয়ে অনাদরে বাইরে বসে কাঁদত এই মেয়েটি যেন ওদের দুয়ার থেকে ওকে দেখে বলতে চাইত, “ কেঁদো না”। কিম্বা হয়ত চাইত না ঠিক ওই কথাটাই বলতে, কিন্তু জিষ্ণু এটা ভেবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিত। ওর ও ইচ্ছে করে মেয়েটির সাথে কথা বলতে। কিন্তু ভয় পায়। ভয় পায় ওর অতীত কে। ভয় পায় সেই রাত কে জেই রাতে ওর বাবা ওর মা কে মেরে ফেলেছিল। কেউ কি ওকে মেনে নেবে যে এই অতীত টা জানবে? কেউ না। তাই ও যত টা পারত উপেক্ষা করত মেয়েটি কে।
- এই যে কি হল ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না? শিনা একদম সামনে এসে দুটো হাত ছড়িয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল জিষ্ণুর সামনে। “ খুব দেমাক তো তোমার! ভাল বক্সার তুমি আমি মানছি কিন্তু তাই বলে এই ভর সন্ধ্যে বেলায় একটি সুন্দরী মেয়ে তোমাকে ডাকছে তুমি সাড়া দেবে না? বিপদে পড়েও ও তো ডাকতে পারি”? জিষ্ণু চারিপাশ টা একবার দেখে নিল। কাউকেই না দেখে বলল “ কিন্তু তুমি তো বিপদে পড় নি”
- সে না পরলেই বা, তোমার সাড়া দিলে কি আয়ু কমে যাবে নাকি ঘুষির জোর কমে যাবে”। এইবারে জিষ্ণু হেসে ফেলল। বলল “ বেশ এই ভাবে হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে না থেকেও কথা বলা যায়। আর আমাদের বাড়ি এখান থেকে অনেক টা। হাঁটতে হাঁটতে কথা সেরে ফেললে হয় না”?
- সেটা তো হয় ই। কিন্তু তুমি কি বোকা? আমি এত তোমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছি আর তুমি বুঝছ না। আর এত ভিতু একটা মেয়েকে একসেপ্ট করতে”? পাশে হাঁটতে হাঁটতে শিনা বলেই ফেলল কথাটা।
- না বুঝছি না, আর হ্যাঁ অবশ্যই আমি ভিতু” তারপরেই জিষ্ণু দাঁড়িয়ে পরে শিনার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছিল “ আমার বাবা আমার মা কে খুন করে জেলে আছে এখন” সন্ধ্যে বেলায় রাস্তার নিয়ন লাইটের আলোয় জিষ্ণুর ঘামে ভেজা মুখ টা তখন দেখে চমকে উঠেছিল শিনা। কি বলছে ছেলেটা? “ কষ্ট, ঠিক এই খানটায়” বলে নিজের বুকের বাম দিক এ নিজের হাত টা মুঠো করে দুবার ঠুকেছিল জিষ্ণু। “ কষ্ট হয়, যখন কেউ সব ছেড়ে চলে যায়। যে ছাড়া কিছু জানতাম না একদিন সকালে দেখলাম সে নেই। যে আমাকে কোলে করে নিয়ে সাড়া পৃথিবী চিনিয়েছে ওই চার বছর বয়সে তাকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি আমি। আমি ভিতু, সত্যি ই ভীতু, আমার বাবা জেলে ছিল, আমার জীবনের সব আমার দাদা আমাকে এই পৃথিবীতে একা ফেলে চলে গেছে”। ওই আলোয় শিনা দেখেছিল জিষ্ণুর চোখে টলটল করছে জল। জিষ্ণু আর অপেক্ষা করেনি। বেরতে যাওয়া চোখের জল টা হাতের উল্টো পিঠে মুছে দৌড় লাগিয়েছিল সামনের দিকে।
- এই যে বক্সার!! জিষ্ণু পিছন ফিরে একবার দেখেই সামনে হাঁটা লাগাল। ও শিনা কে চেনে খুব ভাল করে। যখন ও মামির হাতে মার খেয়ে অনাদরে বাইরে বসে কাঁদত এই মেয়েটি যেন ওদের দুয়ার থেকে ওকে দেখে বলতে চাইত, “ কেঁদো না”। কিম্বা হয়ত চাইত না ঠিক ওই কথাটাই বলতে, কিন্তু জিষ্ণু এটা ভেবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিত। ওর ও ইচ্ছে করে মেয়েটির সাথে কথা বলতে। কিন্তু ভয় পায়। ভয় পায় ওর অতীত কে। ভয় পায় সেই রাত কে জেই রাতে ওর বাবা ওর মা কে মেরে ফেলেছিল। কেউ কি ওকে মেনে নেবে যে এই অতীত টা জানবে? কেউ না। তাই ও যত টা পারত উপেক্ষা করত মেয়েটি কে।
- এই যে কি হল ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না? শিনা একদম সামনে এসে দুটো হাত ছড়িয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল জিষ্ণুর সামনে। “ খুব দেমাক তো তোমার! ভাল বক্সার তুমি আমি মানছি কিন্তু তাই বলে এই ভর সন্ধ্যে বেলায় একটি সুন্দরী মেয়ে তোমাকে ডাকছে তুমি সাড়া দেবে না? বিপদে পড়েও ও তো ডাকতে পারি”? জিষ্ণু চারিপাশ টা একবার দেখে নিল। কাউকেই না দেখে বলল “ কিন্তু তুমি তো বিপদে পড় নি”
- সে না পরলেই বা, তোমার সাড়া দিলে কি আয়ু কমে যাবে নাকি ঘুষির জোর কমে যাবে”। এইবারে জিষ্ণু হেসে ফেলল। বলল “ বেশ এই ভাবে হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে না থেকেও কথা বলা যায়। আর আমাদের বাড়ি এখান থেকে অনেক টা। হাঁটতে হাঁটতে কথা সেরে ফেললে হয় না”?
- সেটা তো হয় ই। কিন্তু তুমি কি বোকা? আমি এত তোমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছি আর তুমি বুঝছ না। আর এত ভিতু একটা মেয়েকে একসেপ্ট করতে”? পাশে হাঁটতে হাঁটতে শিনা বলেই ফেলল কথাটা।
- না বুঝছি না, আর হ্যাঁ অবশ্যই আমি ভিতু” তারপরেই জিষ্ণু দাঁড়িয়ে পরে শিনার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছিল “ আমার বাবা আমার মা কে খুন করে জেলে আছে এখন” সন্ধ্যে বেলায় রাস্তার নিয়ন লাইটের আলোয় জিষ্ণুর ঘামে ভেজা মুখ টা তখন দেখে চমকে উঠেছিল শিনা। কি বলছে ছেলেটা? “ কষ্ট, ঠিক এই খানটায়” বলে নিজের বুকের বাম দিক এ নিজের হাত টা মুঠো করে দুবার ঠুকেছিল জিষ্ণু। “ কষ্ট হয়, যখন কেউ সব ছেড়ে চলে যায়। যে ছাড়া কিছু জানতাম না একদিন সকালে দেখলাম সে নেই। যে আমাকে কোলে করে নিয়ে সাড়া পৃথিবী চিনিয়েছে ওই চার বছর বয়সে তাকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি আমি। আমি ভিতু, সত্যি ই ভীতু, আমার বাবা জেলে ছিল, আমার জীবনের সব আমার দাদা আমাকে এই পৃথিবীতে একা ফেলে চলে গেছে”। ওই আলোয় শিনা দেখেছিল জিষ্ণুর চোখে টলটল করছে জল। জিষ্ণু আর অপেক্ষা করেনি। বেরতে যাওয়া চোখের জল টা হাতের উল্টো পিঠে মুছে দৌড় লাগিয়েছিল সামনের দিকে।