10-08-2021, 04:25 PM
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছিল মহেশের লোক গুলি চালিয়েছিল শিবা কে মেরে ফেলবার জন্য। একটা বাঙ্গালী লড়ুয়ে এত উন্নতি করছে সেটা সহ্য হয় নি মহেশের। শিবা পাথর হয়ে গেছিল এই নির্মমতায়। এত বর্বরতা? ও চায় না এই জীবন, এই অর্থ, এই ঐশ্বর্য। ওর প্রাণপ্রিয় বন্ধু হাসান আধ পাগল মেরুদণ্ড হীন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি!!! ওর মিলি!!উফফফ ভগবান কেন দিয়েছিলে এই জীবন? শিবার মনে হত তখন মরে যাওয়াই ভাল। কিন্তু ছোট্ট কাঁদতে থাকা মেয়েটা কে কোলে নিয়ে রাতে ঘুম পাড়ানোর সময়ে মেয়েটা কে দেখে মরতে ইচ্ছে করে নি। কিন্তু ওর মেয়েকে আর এই নরকে রাখতে ইচ্ছেও করেনি শিবার। হাসানের নামে নিজের যা ছিল সব দিয়ে মেয়েকে নিয়ে একদিন অন্ধকারে বেড়িয়ে এসেছিল কলকাতার রাস্তায়। এই ভেবে যে আর মারামারি না। মেয়েকে নিজের যত কষ্টই হোক, একটা সুস্থ স্বাভাবিক কাজ করে মানুষ করবে...............নিস্তব্ধ ঘর। বাইরে দুরের কোন ল্যাম্প এর আলো কাঁচের জানালা দিয়ে ঢুকেছে ঘরে। শিবা আর জিনিয়া দুজনাই চুপ।এ সি চলছে কিন্তু তাতেও শিবার পেশীবহুল শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘাম। জিনিয়া শক্ত করে ধরে আছে শিবার বলিষ্ঠ বাহু দুটো কে। সব কিছু শুনে জিনিয়া থ হয়ে গেছে যেন। কেন তো দুঃখ, এত কষ্ট জীবনে। কেন নিজের আপন মানুষ গুলো কে হারিয়ে ফেলে মানুষ। কি দোষ ছিল শিবার যে গড ওকে এত বড় শাস্তি দিলেন? নিজে চূড়ান্ত রকম ভাবে ভয় পেয়ে দেখে নিল একবার পাপি কে।নিশ্চিন্ত হল ওকে হাত দিয়ে দেখে, যে না ও ঠিক আছে। তারপরেই থাকতে না পেরে জড়িয়ে ধরল শিবা কে পিছন থেকে। কেমন একটা হারিয়ে যাবার ভয়ে আঁকড়ে ধরল শিবার ভেজা শরীর টা কে। জিনিয়ার মনে হতে থাকল কি করবে ও যদি এদের একজন কেও হারিয়ে ফেলে কোনদিনও? উফফ আর ভাবতে পারছে না ও। শরীরের যত জোড় ছিল আঁকড়ে ধরে রইল শিবা কে.........
----------------------
----------------------