10-08-2021, 02:41 PM
(This post was last modified: 10-08-2021, 02:45 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
তিনি আরও বললেন– শোন সঞ্জু, আমার নিখোজ জীবনে নীলা নীলার মা তোমার বাবার কাছে নিরাপদ ছিল। আমি ভুলিনি তা। আমিও নিশ্চিত ছিলাম যে, তারা তোমার বাবার কাছে নিরাপদ আছে। এই সুযোগে আমি ব্যবসায়ি হয়েছি, রথি- মহারতি টাইপের একজন মানুষ হয়েছি। তাই তো চেয়েছিলাম তোমার বাবাকে ঢাকায় এনে সুখে রাখি। একজন মুক্তি যোদ্ধা, ঢাকায় তার পরিচিতি হোক। তার নামে কলেজ, কলেজ বানিয়ে দিই। দু’একটা দেশি-বিদেশী সেমিনারে বক্তৃতা দিক। তার দর্শন তুলে ধরুক। তা তিনি করলেন না। উল্টো আমাকে খুনি, চোর, নকশাল টকশল বলে ঘৃণা করলেন। তা করুকগে ঘৃণা। আমাকে ঘৃণা করার একজনই আছেন তিনি তোমার বাবা। পৃথিবীর আর কেউ আমাকে ঘৃণা করার মত নেই। ঢাকায় এখন আমি স্বনামে প্রতিষ্ঠিত। যে প্রতিষ্ঠার জন্য আমি এত সংগ্রাম করলাম, মিথ্যার আশ্রায় নিলাম, খুন টুন ও করলাম। আজ কি করে সে প্রতিষ্ঠার অপমৃত্যু ঘটাবো নীলাকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়ে? আমি যদি গ্রামের সেই ল্যাদ লিদে বেকার বিএ পাস আবিদ হাসান থাকতাম, নীলা যদি তার মেয়ে হত, আমি আপত্তি করতাম না।কিন্তু এখন নীলা একজন মুক্তি যোদ্ধার মেয়ে, তার বিয়েও হতে হবে রাজ রাণীর মত। সবাই যখন জানবে তোমার মত একজনের সাথে মেযে বিয়ে দিচ্ছি, তখন এলিট সুচাইটিতে আমার মুখ কালি হয়ে যাবে। দোহাই সঞ্জু আমার এত বড় ক্ষতি করো না।তুমি আমাদের বংশের একমাত্র আলো, আমি চাই না সেই আলো এত তাড়া তাড়ি নিভে যাক, বরং সেই আলো আরো উজ্জ্বল হোক আমি সাহায্য করব।
এর পর নীলার ভবিষ্যত সম্পর্কে যা বললেন, তা হুবহু তুলে ধরলাম- নীলার জন্য ছেলেকে হতে হবে শ্রেষ্ট রুপবান, শ্রেষ্ট মেধাবী, শ্রেষ্ট ফ্যামিলি এবং ধনী। এক কথায় ক্লাস ওয়ান টাইপ ছেলে, যে ছেলে জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়নি, সেই রকম। কারণ নীলাও শ্রেষ্ট রূপবতী। লেখাপড়াও চমৎকার। কলেজের রেকড বলছে- ও ফাষ্ট হবে। নীলার যখন বিয়ে হবে তখন এক এলাহি ব্যাপার ঘটবে। বিয়েরদিন তারিখ ঠিক করা হবে এক বৎসর আগে। সেই দিন থেকে ঢাকার শহরের সব শ্রেণীর মানুষকে খাওয়ানো হবে। ঢাকা শহরের ম্যাপ ধরে কয়েকটা সেকশানে ভাগ করা হবে।প্রথমে খাবে এতিম ফকির তার পর খাবে রিক্সাওয়ারা, ট্রেক্সী ওয়ালা, বাস চালক।এর পর খাবে ব্যবসায়ীরা, এখানে ও পুজি ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস করা হবে। এরপর চাকুরীজিবীদের ও এভাবে খাওয়ানো হবে। এখানেও শ্রেণীবিন্যাস করা হবে।তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরীজিবীদের একদিন, এরপর দ্বিতীয়। সব শেসে প্রথমশ্রেণী কর্মচারীদের। এরপরের পর্বে খাওয়ানো হবে রাজনিতী বিদদের।এখানে প্রথমে খাওয়ানো হবে ফিল্ড লেভেলের নেতা কর্মিদের। পরে খাওয়ানো হবে, পাতি নেতা ও মাঝারী ধরণের নেতাদের। সব শেষে খাওয়ানো হবে এমপি, মন্ত্রিদের। তবে প্রধানমন্ত্রি ও রাষ্ট্রপতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। শুধু কি তাই? নীলার এই বিয়ের খাওয়ানো পর্ব থেকে পাতি মাস্তান, বড় মাস্তান, গড ফাদার, পকেট মার, ভাসমান পতিতা, লাইসেন্স ধারী পতিতা কেহই বাদ পড়বে না। তবে এসব ক্লাসিফিকিসনের জন্য ভাল কোন দেশীও পরিসংখ্যান কোম্পানীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না পড়ে। সব শেষে ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতিটা মহাসড়কে এবং এয়ারপোর্টে একটি করে উন্নত মানের হোটেল বসানো হবে। যাতে ঢাকা শহরে আগমণ ও বহিরগমনকারী কেউ খওয়া থেকে বাদ না পড়ে। ঐ এক বৎসর ঢাকা শহবে লোডশেডিং থাকবে না। এ জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রি ও বিদ্যুৎ সচিবদের নিয়ে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হবে।
পুরা ঢাকা শহরকে আধুনীক সাজে সাজানো হবে। এজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আবেদন করার সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকবে শুধুমাত্র- জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, লণ্ডন, ও ফ্রান্সদের জন্য। তবে চীনকেও বিশেষ বিবেচনায় আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। কারণ ওরাও আজকাল ভাল সাজগোজ বোঝে। নীলার বিয়ের পোশাক, গহনা সবকিছুই আন্তজাতিক ভাবে যাচাই বাচাই করে কেনা হবে। যাচাই বাচই কমিটি সচিবদের মধ্য থেকে করা হবে। এ সব ব্যাপারে বিদেশী কিছু নাম করা কম্পানীকে অফার করাহবে। এমন কি কাজল দানিটাও আনা হবে জার্মান থেকে।
এর পর নীলার ভবিষ্যত সম্পর্কে যা বললেন, তা হুবহু তুলে ধরলাম- নীলার জন্য ছেলেকে হতে হবে শ্রেষ্ট রুপবান, শ্রেষ্ট মেধাবী, শ্রেষ্ট ফ্যামিলি এবং ধনী। এক কথায় ক্লাস ওয়ান টাইপ ছেলে, যে ছেলে জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়নি, সেই রকম। কারণ নীলাও শ্রেষ্ট রূপবতী। লেখাপড়াও চমৎকার। কলেজের রেকড বলছে- ও ফাষ্ট হবে। নীলার যখন বিয়ে হবে তখন এক এলাহি ব্যাপার ঘটবে। বিয়েরদিন তারিখ ঠিক করা হবে এক বৎসর আগে। সেই দিন থেকে ঢাকার শহরের সব শ্রেণীর মানুষকে খাওয়ানো হবে। ঢাকা শহরের ম্যাপ ধরে কয়েকটা সেকশানে ভাগ করা হবে।প্রথমে খাবে এতিম ফকির তার পর খাবে রিক্সাওয়ারা, ট্রেক্সী ওয়ালা, বাস চালক।এর পর খাবে ব্যবসায়ীরা, এখানে ও পুজি ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস করা হবে। এরপর চাকুরীজিবীদের ও এভাবে খাওয়ানো হবে। এখানেও শ্রেণীবিন্যাস করা হবে।তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরীজিবীদের একদিন, এরপর দ্বিতীয়। সব শেসে প্রথমশ্রেণী কর্মচারীদের। এরপরের পর্বে খাওয়ানো হবে রাজনিতী বিদদের।এখানে প্রথমে খাওয়ানো হবে ফিল্ড লেভেলের নেতা কর্মিদের। পরে খাওয়ানো হবে, পাতি নেতা ও মাঝারী ধরণের নেতাদের। সব শেষে খাওয়ানো হবে এমপি, মন্ত্রিদের। তবে প্রধানমন্ত্রি ও রাষ্ট্রপতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। শুধু কি তাই? নীলার এই বিয়ের খাওয়ানো পর্ব থেকে পাতি মাস্তান, বড় মাস্তান, গড ফাদার, পকেট মার, ভাসমান পতিতা, লাইসেন্স ধারী পতিতা কেহই বাদ পড়বে না। তবে এসব ক্লাসিফিকিসনের জন্য ভাল কোন দেশীও পরিসংখ্যান কোম্পানীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না পড়ে। সব শেষে ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতিটা মহাসড়কে এবং এয়ারপোর্টে একটি করে উন্নত মানের হোটেল বসানো হবে। যাতে ঢাকা শহরে আগমণ ও বহিরগমনকারী কেউ খওয়া থেকে বাদ না পড়ে। ঐ এক বৎসর ঢাকা শহবে লোডশেডিং থাকবে না। এ জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রি ও বিদ্যুৎ সচিবদের নিয়ে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হবে।
পুরা ঢাকা শহরকে আধুনীক সাজে সাজানো হবে। এজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আবেদন করার সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকবে শুধুমাত্র- জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, লণ্ডন, ও ফ্রান্সদের জন্য। তবে চীনকেও বিশেষ বিবেচনায় আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। কারণ ওরাও আজকাল ভাল সাজগোজ বোঝে। নীলার বিয়ের পোশাক, গহনা সবকিছুই আন্তজাতিক ভাবে যাচাই বাচাই করে কেনা হবে। যাচাই বাচই কমিটি সচিবদের মধ্য থেকে করা হবে। এ সব ব্যাপারে বিদেশী কিছু নাম করা কম্পানীকে অফার করাহবে। এমন কি কাজল দানিটাও আনা হবে জার্মান থেকে।