10-08-2021, 02:34 PM
ষষ্ট দিন সকালে ব্যতিক্রম ঘটল। চাচাজান, আমি,নীলা একত্রে নাস্তা করতে বসলাম। চাচার মুখটা হাসিখুশি কি ভারী বুঝা গেলনা। তবে মাঝে মাঝে হাসি ফোটাতে লাগলেন। একসময় বললেন, সঞ্জুকে তো আমি কোথাও নিয়ে যেতে পারিনি। আজ নিয়ে যাব। শুধু সঞ্জুকে নিয়ে সারা দিন কাটাব। কত দিন একা একা থেকেছি। চাচী বললেন, কোথায় নিয়ে বেরুবে? চাচা বললেন, যাব কোথাও দু’বাপ বেটায়। আমার কি যাওয়ার জায়গার অভাব আছে? চাচী শুধু বললেন, অঁ। নীলা ওর বাবার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। ও আর খেতে পারলনা। মাংস রান্নাটা খুব বাজে হয়েছে বলে চাচীকে বকাঝকা করতে করতে হাত মুখ ধুয়ে উঠে গেল। এ নীরব অভিমান আর প্রতিবাদ আমার অন্তরকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিল।
সকাল নয়টায় আমি আর চাচা রওনা হলাম। এয়ারকন্ডিশনড পাজেরো গাড়ী। ড্রাইভার গাড়ি স্টাট দিলেন। লোকজনের ভিড় আর অসংখ্য রিক্সার মাঝ দিয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলল। বিশ মিনিট পরে গাড়ি যেখানে এসে থামল, সেই জায়গার নাম গাজীপুর।একটা কটন মিলেন সামনে।
চাচার নির্দেশ মত আমি গাড়ি থেকে নামলাম। কর্মচারীরা ছুটা ছুটি করতে লাগল।আমাকে বিশেষ মেহমান ভাবতে লাগল। চাচা মিলের কর্মকর্তা শ্রেণীর সকলকে ডাকলেন। তাদের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সব শেষে ছোট একটা বক্তৃতা দিলেন যার সারমর্ম এই রকম— আমি তার বড় ভাইয়ের ছেলে। তবে তার কাছে আমি নিজের সন্তানের মত। আমি এক মাত্র বংশধর। ভবিষ্যতে মার্কিন মুল্লুকে পড়াশুনার উদ্দেশ্য রওনা হব এবং ফিরে এসে এই সব ব্যবসা দেখা শুনা করব। কর্মকর্তা দের মুহু মুহু হাতে তালি আর দীর্ঘায়ূ কামনায় আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। আমাদের অন্য যায়গায় যেতে হবে এই কথা বলে সভা শেষ করলেন। একাউন্টট্যন্টের সাথে কিছু জরুরি চেক ট্যান্সফর করার ব্যাপারে আলোচনা করলেন।কিছু ক্ষণ পর ম্যানেজার সাহেব আসলেন। তার সাথেও চাচা আন্তরিক ভঙ্গিতে কথা বললেন। সালাম জানিয়ে তারা দু’জনেই বিদায় হলেন। আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম। সেদিন সমস্ত দিন চাচা আমাকে নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেড়ালেন এবং একই রকম বক্তৃতা দিলেন।ঢাকা শহবে তার আটটা বাড়ির গল্প শুনেছিলাম। গত পাঁচ দিনে নিলা বা চাচি সে সম্পর্কে কোন কথা বলেনি। এমনকি কৈতুহলি হয়েও নীলা বলেনি যে সাভারের বাড়িটা এমন, জয়দেবপুরেরটা এমন কিংবা গুলশান বনানীর শফিং মলটা এমন। চাচাই সেই কাজটি করলেন। সব শেষে একটা সেমিনারে হাজির হলাম। চাচা সেখানে প্রধান অথিতী।সরকারী প্রতিনিধি ও শিল্পপতিদের মধ্যে ব্যবসায়িক সংক্রান্ত আলোচনা। আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এক সময় চাচা গাড়ি করে বাড়ি ফিরতে বললেন। আর বললেন, তার ফিরতে একটু দেরি হবে। হঠাৎ করেই একদল জাপানী প্রতিনিধদের সাথে সভার আয়োজন।
সকাল নয়টায় আমি আর চাচা রওনা হলাম। এয়ারকন্ডিশনড পাজেরো গাড়ী। ড্রাইভার গাড়ি স্টাট দিলেন। লোকজনের ভিড় আর অসংখ্য রিক্সার মাঝ দিয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলল। বিশ মিনিট পরে গাড়ি যেখানে এসে থামল, সেই জায়গার নাম গাজীপুর।একটা কটন মিলেন সামনে।
চাচার নির্দেশ মত আমি গাড়ি থেকে নামলাম। কর্মচারীরা ছুটা ছুটি করতে লাগল।আমাকে বিশেষ মেহমান ভাবতে লাগল। চাচা মিলের কর্মকর্তা শ্রেণীর সকলকে ডাকলেন। তাদের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সব শেষে ছোট একটা বক্তৃতা দিলেন যার সারমর্ম এই রকম— আমি তার বড় ভাইয়ের ছেলে। তবে তার কাছে আমি নিজের সন্তানের মত। আমি এক মাত্র বংশধর। ভবিষ্যতে মার্কিন মুল্লুকে পড়াশুনার উদ্দেশ্য রওনা হব এবং ফিরে এসে এই সব ব্যবসা দেখা শুনা করব। কর্মকর্তা দের মুহু মুহু হাতে তালি আর দীর্ঘায়ূ কামনায় আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। আমাদের অন্য যায়গায় যেতে হবে এই কথা বলে সভা শেষ করলেন। একাউন্টট্যন্টের সাথে কিছু জরুরি চেক ট্যান্সফর করার ব্যাপারে আলোচনা করলেন।কিছু ক্ষণ পর ম্যানেজার সাহেব আসলেন। তার সাথেও চাচা আন্তরিক ভঙ্গিতে কথা বললেন। সালাম জানিয়ে তারা দু’জনেই বিদায় হলেন। আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম। সেদিন সমস্ত দিন চাচা আমাকে নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেড়ালেন এবং একই রকম বক্তৃতা দিলেন।ঢাকা শহবে তার আটটা বাড়ির গল্প শুনেছিলাম। গত পাঁচ দিনে নিলা বা চাচি সে সম্পর্কে কোন কথা বলেনি। এমনকি কৈতুহলি হয়েও নীলা বলেনি যে সাভারের বাড়িটা এমন, জয়দেবপুরেরটা এমন কিংবা গুলশান বনানীর শফিং মলটা এমন। চাচাই সেই কাজটি করলেন। সব শেষে একটা সেমিনারে হাজির হলাম। চাচা সেখানে প্রধান অথিতী।সরকারী প্রতিনিধি ও শিল্পপতিদের মধ্যে ব্যবসায়িক সংক্রান্ত আলোচনা। আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এক সময় চাচা গাড়ি করে বাড়ি ফিরতে বললেন। আর বললেন, তার ফিরতে একটু দেরি হবে। হঠাৎ করেই একদল জাপানী প্রতিনিধদের সাথে সভার আয়োজন।