10-08-2021, 02:11 PM
চাচী এসে চা দিয়ে গেলেন। চাচা বাইরে বেরিয়ে গেলেন।যাবার আগে আমার ঘরে এলেন। বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। কিছু সময় অন্যান্য গল্প করলেন। বিশ্রাম নিতে বললেন। চা খেয়ে আমি শুয়ে পড়লাম। নীলা আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগল। ক্লান্তি মাখা ঘুম ঘুম আবেশে বুঝতে পারলাম, একটা অপূর্ব রূপবর্তী নারী আমার মুখের উপর ঝুকে আমাকে দেখছে। তার মাথার এলো চুল আমার মুখের উপর ঝুলে পড়েছে। হালকা শুড়সুড়ি লাগছে। কাচের চুড়ির টুন টুন শব্দ শুনতে পাচ্ছি। একটা পরী মাখা গন্ধ নাকে ভেসে আসছে। আমার মাথার চুল টেনে দিচ্ছে। আমি ঘুমিয়ে যাচ্ছি। আবার শুনতে পাচ্ছি। আমাকে বলছে, এ্যাই, এ্যাই দুষ্ট শোন, শুনছ, আমি ডাকছি, তুমি এই কয়দিন আমাকে না দেখে কি ভাবে থাকলে? এ্যাই শোন, আমি আর কিছু মনে করতে পারলাম না। ঘুম ভাঙ্গল দুপুর দুইটা বেজে একচলি¬শ মিনিটে। হাত ঘড়িটা দেখে আবার কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকলাম। বাইরের কোলাহল কানে ভেসে আসতে লাগল। বাইরে ঝলমলে রোদ, চার দিকে শুমনো খট খটা অবস্থা। ভোরের বৃষ্টির কোন চিহ্ন নেই। মানব জীবনকি এই রকম। এই ভাল, এই মন্দ। আরও কিছু ভাবতে যাচ্ছিলাম, ঠিক এমন সময় চাচী এলেন ঘরে। বললেন, এ্যাই সঞ্জু, ওঠ খাবি না? কত বেলা হয়েছে জানিস?
আমি বললাম, জানি চাচীজান?
চাচী বললেন ,বলতো একটা আন্দাজ করে শুনি, দেখি তোর আন্দাজ কেমন?
আমি বললাম, দুইটা সাতচলি¬শ মিনিট, কত সেকেন্ড সেটা বলতে পারছিনা।
চাচী বললেন, ঠিক আছে। তোর ধারনা ক্ষমতা ভাল, তোর বাবার মত। ওঠ খাবি চল।
আমি উঠলাম। বাথরুমে যেয়ে হাত মুখ ধুলাম। লূুকিং গ্লাসে দেখলাম, চোখ লাল হয়ে আছে। শরীর বেশ ঝরঝরে। ভিজে যাওয়ার কারনে জর-জারী হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
এই প্রথম ঘর বাড়ির চাকচিক্যময় জৌলুস লক্ষ করলাম। আধুনিকতার ছোয়া আছে।লাইব্রেরী, একুইরিয়াম, টিভিরুম, টেনিস কোর্ট সবই আছে। একটা ছোট খাট বেহেস্ত খানা। সেই বেহেস্তের পরী নীলা। কবুতরের মত উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। নেই শুধু চাকর-বাকর। হাটতে হাটতে ডাইনিং টেবিলে গেলাম। নীলা বসে আছে আমার জন্য।আমাকে দেখে মিটি মিটি হাসছে, ঠিক যেন বেহেস্তের পরী টাইপের কোন এক মেয়ে।চোখ নামানো যায় না। চাচী বললেন, নে খাবি তো কিছু। ক্ষিধে লাগেনি তোর? আমি বললাম মনে মনে, ক্ষিধে আমার লেগেছে চাচী জান, তবে তা ভাত মাংসের নয়। রূপের ক্ষিধে। প্রেমের ক্ষিধে। তা না হলে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আসি?
খেতে বসলাম। একটা এলাহী ব্যাপার। খাশীর মাংস দিয়ে পোলাও রান্না। এরই মধ্যে বগুড়ার দই আনিয়েছেন। আমি আর নীলা খাচ্ছি, চাচী পাতে বেড়ে দিয়ে আনন্দ পাচ্ছেন। তিনটা কুড়ি মিনিটে খাওয়া শেষ করলাম।
নীলাদের নকশী নামক ছোট খাট বেহেস্তের মত বাড়ীতে আমি দশ দিন ছিলাম। এই দশদিনের মধ্যে যা যা ঘটেছিল তারসবটা এখন আর আমার মনে নেই। তবে দশ দিনের সমস্ত ঘটনার সার বস্তু এই রকম…..।
আমি বললাম, জানি চাচীজান?
চাচী বললেন ,বলতো একটা আন্দাজ করে শুনি, দেখি তোর আন্দাজ কেমন?
আমি বললাম, দুইটা সাতচলি¬শ মিনিট, কত সেকেন্ড সেটা বলতে পারছিনা।
চাচী বললেন, ঠিক আছে। তোর ধারনা ক্ষমতা ভাল, তোর বাবার মত। ওঠ খাবি চল।
আমি উঠলাম। বাথরুমে যেয়ে হাত মুখ ধুলাম। লূুকিং গ্লাসে দেখলাম, চোখ লাল হয়ে আছে। শরীর বেশ ঝরঝরে। ভিজে যাওয়ার কারনে জর-জারী হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
এই প্রথম ঘর বাড়ির চাকচিক্যময় জৌলুস লক্ষ করলাম। আধুনিকতার ছোয়া আছে।লাইব্রেরী, একুইরিয়াম, টিভিরুম, টেনিস কোর্ট সবই আছে। একটা ছোট খাট বেহেস্ত খানা। সেই বেহেস্তের পরী নীলা। কবুতরের মত উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। নেই শুধু চাকর-বাকর। হাটতে হাটতে ডাইনিং টেবিলে গেলাম। নীলা বসে আছে আমার জন্য।আমাকে দেখে মিটি মিটি হাসছে, ঠিক যেন বেহেস্তের পরী টাইপের কোন এক মেয়ে।চোখ নামানো যায় না। চাচী বললেন, নে খাবি তো কিছু। ক্ষিধে লাগেনি তোর? আমি বললাম মনে মনে, ক্ষিধে আমার লেগেছে চাচী জান, তবে তা ভাত মাংসের নয়। রূপের ক্ষিধে। প্রেমের ক্ষিধে। তা না হলে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আসি?
খেতে বসলাম। একটা এলাহী ব্যাপার। খাশীর মাংস দিয়ে পোলাও রান্না। এরই মধ্যে বগুড়ার দই আনিয়েছেন। আমি আর নীলা খাচ্ছি, চাচী পাতে বেড়ে দিয়ে আনন্দ পাচ্ছেন। তিনটা কুড়ি মিনিটে খাওয়া শেষ করলাম।
নীলাদের নকশী নামক ছোট খাট বেহেস্তের মত বাড়ীতে আমি দশ দিন ছিলাম। এই দশদিনের মধ্যে যা যা ঘটেছিল তারসবটা এখন আর আমার মনে নেই। তবে দশ দিনের সমস্ত ঘটনার সার বস্তু এই রকম…..।