10-08-2021, 02:09 PM
পাঁচ-৫
গাবতলী বাস ষ্ট্যান্ডে ভোর চারটা ছত্রিশ মিনিটে গাড়ী পার্ক করল। তখন ছিল ভাদ্র মাস। বৃষ্টির কোন ধরাবাধা নিয়ম ছিল না। এই রৌদ্র, এই বৃষ্টি, এমন অবস্থা। সেদিন বৃষ্টি শুরু হল, ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির বড় বড় ফোটা ইলেকট্রিক লাইটের আলোয় মুক্তার মত ছড়িয়ে পড়তে লাগল। বৃষ্টির প্রতিটা ফোটা যেন নীলার হাসির মত। আমি উসখুস করতে লাগলাম। বৃষ্টির মধ্যে হেটে হেটে যাব বলে বের হলাম। হেলপার বললেন, আরে ভাই, এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাচ্ছেন? কাকভেজা হয়ে যাবেন ত। আমি হাসলাম। বললাম, ভিজতে আমার ভালই লাগে। যে অন্ধ আবেগ আর ভালবাসার টানে আমি ঢাকায় পৌছালাম তা কি বৃষ্টির মত শীতল বস্তু আটকাতে পারে? যদি সমস্ত ঢাকা শহর অগ্নিকুন্ড হয়ে যেত? আর তার মধ্য দিয়েই যদি হাটতে হত? আমি তবুও থামতাম না। আগুনে পুড়তে পুড়তে আমি নীলার ঘরের দরজায় কড়া নাড়তাম। আর এ তো শান্ত শীতল বৃষ্টি।
আমার নীলা কি এই বৃষ্টির শব্দ শুনতে পেয়েছিল? বৃষ্টির ছন্দ কি আমার আগমন বার্তা পৌছিয়ে দিয়েছিল? জানিনা পেয়েছিল কি না। তবে আমি পিচের উপর হাটতে হাটতে বৃষ্টি ভেজা নীলা ফূলের গন্ধ পেয়েছিলাম। সমস্ত ঢাকা শহর যেন নীলাফুলের গন্ধে ভরপুর। দু’হাতে নীলা যে ভাবে আমাকে জাপটে ধরত ঠান্ডা বৃষ্টির পানিকে মনে হয়েছিল জাপটে ধরা নীলার সেই হাত। আনন্দে হাটতে হাটতে সকাল আটটায় উত্তরায় পাঁচ বাই চার সড়ক ধরে নকশী নামের বাড়ীর গেটে পৌছলাম।প্রকান্ড বাড়ি। দুই তলা। বাড়ির নাম, “নকশী”। একটি নিয়ন বাতি জ্বলজ্বল করছে।সমস্ত বাড়িটা ঝলমলে । গেটের উপর তরুলতা ফুলের গাছ। লতার মত বেয়ে উঠেছে।গেটের কাছে যেয়ে নাম ফলক দেখলাম। বীর মুক্তি যোদ্ধা মোহাম্মদ ছাকিব হাসান।বাড়ি নং পাঁচ বাই এক, উত্তরা, ঢাকা। ডান পাশে কলিংবেল বোর্ড।
পৃথিবীতে কত রকমের আশ্চার্য ঘটনা ঘটে। আমার চাচার বাসায় সেই রকম একটা আশ্চার্য ঘটনা সে দিন ঘটল।
গাবতলী বাস ষ্ট্যান্ডে ভোর চারটা ছত্রিশ মিনিটে গাড়ী পার্ক করল। তখন ছিল ভাদ্র মাস। বৃষ্টির কোন ধরাবাধা নিয়ম ছিল না। এই রৌদ্র, এই বৃষ্টি, এমন অবস্থা। সেদিন বৃষ্টি শুরু হল, ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির বড় বড় ফোটা ইলেকট্রিক লাইটের আলোয় মুক্তার মত ছড়িয়ে পড়তে লাগল। বৃষ্টির প্রতিটা ফোটা যেন নীলার হাসির মত। আমি উসখুস করতে লাগলাম। বৃষ্টির মধ্যে হেটে হেটে যাব বলে বের হলাম। হেলপার বললেন, আরে ভাই, এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাচ্ছেন? কাকভেজা হয়ে যাবেন ত। আমি হাসলাম। বললাম, ভিজতে আমার ভালই লাগে। যে অন্ধ আবেগ আর ভালবাসার টানে আমি ঢাকায় পৌছালাম তা কি বৃষ্টির মত শীতল বস্তু আটকাতে পারে? যদি সমস্ত ঢাকা শহর অগ্নিকুন্ড হয়ে যেত? আর তার মধ্য দিয়েই যদি হাটতে হত? আমি তবুও থামতাম না। আগুনে পুড়তে পুড়তে আমি নীলার ঘরের দরজায় কড়া নাড়তাম। আর এ তো শান্ত শীতল বৃষ্টি।
আমার নীলা কি এই বৃষ্টির শব্দ শুনতে পেয়েছিল? বৃষ্টির ছন্দ কি আমার আগমন বার্তা পৌছিয়ে দিয়েছিল? জানিনা পেয়েছিল কি না। তবে আমি পিচের উপর হাটতে হাটতে বৃষ্টি ভেজা নীলা ফূলের গন্ধ পেয়েছিলাম। সমস্ত ঢাকা শহর যেন নীলাফুলের গন্ধে ভরপুর। দু’হাতে নীলা যে ভাবে আমাকে জাপটে ধরত ঠান্ডা বৃষ্টির পানিকে মনে হয়েছিল জাপটে ধরা নীলার সেই হাত। আনন্দে হাটতে হাটতে সকাল আটটায় উত্তরায় পাঁচ বাই চার সড়ক ধরে নকশী নামের বাড়ীর গেটে পৌছলাম।প্রকান্ড বাড়ি। দুই তলা। বাড়ির নাম, “নকশী”। একটি নিয়ন বাতি জ্বলজ্বল করছে।সমস্ত বাড়িটা ঝলমলে । গেটের উপর তরুলতা ফুলের গাছ। লতার মত বেয়ে উঠেছে।গেটের কাছে যেয়ে নাম ফলক দেখলাম। বীর মুক্তি যোদ্ধা মোহাম্মদ ছাকিব হাসান।বাড়ি নং পাঁচ বাই এক, উত্তরা, ঢাকা। ডান পাশে কলিংবেল বোর্ড।
পৃথিবীতে কত রকমের আশ্চার্য ঘটনা ঘটে। আমার চাচার বাসায় সেই রকম একটা আশ্চার্য ঘটনা সে দিন ঘটল।