10-08-2021, 01:51 PM
পরের দিন সকাল আটটা পনেরই ঘুম থেকে উঠলাম। নাস্তা আর প্রচুর পানি খেলাম।প্রায় ন’টায় কলেজে গেলাম। কলেজের ভীড় আমাকে উতালা করে তুলল। চারদিকে কত আলো কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পেলাম না। যে দিকে তাকাই কেবলই অন্ধকার, সবফাঁকা। কদমগাছের তলায় বসে পড়লাম। অন্য ছেলেরা ক্লাস থেকে বের হয়ে আসছে।আবার ঢুকছে। আমি বেলা দশটা আটত্রিশ মিনিট পর্যন্ত বসে থাকলাম। মাটিতে ভেসে উঠা কদম গাছের উপর বসে ভাবতে লাগলাম। নীলা কি করছে এখন? কলেজ টাইম। কলেজে গেছে কি? কোন ড্রেসটা পরেছে? চুলে শ্যাম্পু করেছে কি? মাজায় বেল্ট পরেছে, না কি? কার সাথে কলেজে গেল? গাড়ীর ড্রাইভার নিশ্চয় আছে। ড্রাইভার কি একা নীলাকে নিয়ে যায়? তাহলে তো সব ভেস্তে যাবে। আমার সোনার রুপ সৌন্দর্য তাহলে তো একা ঐ ড্রাইভারই দেখে নিচ্ছে। আদরের সুবাদে পিঠে একটু হাতও বুলিয়ে দিতে পারে। পড়ার উপদেশ দিয়ে দু’আঙ্গুল দিয়ে গালও টিপে দিতে পারে। শালার ড্রাইভাররা সব খচ্চর। সুযোগ সন্ধানী। এরা সব পারে। আর ভাবতে পারলাম না। উঠে পড়লাম। বন্ধুদের চেচামেচি শুনতে পেলাম। বাঃ! একেবারে আমার কাছে বসে আছে সবায়। অথচ আমি বুূঝতেই পারিনি। ভাবী কবি হিসাবে ওরা আমাকে ঠাট্রা করতে শুরু করল। আমি ভাবলাম, কবিতা না ছাই লিখব। ও সব চুলোয় দেব। শালার ফালতু কবিতা!কবি, কবিতার নাম, সারমমর্, ভাষা, ছন্দ, তাল, ছত্র সব যদি নীলা হত!