10-08-2021, 01:50 PM
বাবার কড়া তাগিদেই পরের সপ্তাহে হোস্টেলে উঠলাম। দুইশ আট নম্বরে ছিট পেলাম। দু’জনের থাকার ব্যবস্থা। আমার রুমমেট একজন গিটার বাদক। কলেজ ক্যাম্পাসে তার সুখ্যাতিও আছে। বান্ধবীর সংখ্যাও প্রচুর। সারা দিন কেউ না কেউ তার ভক্ত হয়ে আসে। আমিও হালকা টাইপের একজন কবি। কবি হিসাবে পরিচিতিও আছে। কলেজে একবার স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে পুরুস্কার ও পেয়েছিলাম। দু’জনে চমৎকার মানিয়ে নিলাম। দু’জনে শিল্প সাহিত্য সংগীত নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতাম। ও বানিজ্য বিভাগের ছাত্র-আমি বিজ্ঞান বিভাগের।
হোস্টেলের হৈ হুল্লু¬ড়ের মধ্যে নিজেকে ছেড়ে দিলাম। টেবিল টেনিস, দাবা, তাস খেলায় মেতে উঠলাম। ব্যাময়াগারে বেশ কিছু সময় কাটাতে লাগলাম স্বাস্থ্য টিক রাখার জন্য। বিতর্ক করতাম। কবিতা সংগীত চর্চাতেও মন দিলাম। পড়াশুনাতেও প্রচুর উন্নতি হতে লাগল। পরীক্ষাতে ফাষ্ট হতে লাগলাম। নীলার কথা বেশ কিছুদিন জোরাল ভাবে মনে এলনা। তবে অন্তরে তীব্র ব্যাথা অনুভব করতাম। এরমধ্যে বাবা বাড়ি থেকে চিঠি পাঠালেন। মামুলি ধরনের কিছু উপদেশ ছিল চিঠিতে। কিছু টাকা, সাথে নিলার পাঠানো একটা চিঠি। চিঠিটা আমার কাছেই লেখা। নীল রং এর খাম। উপরে দরদ করে লেখা “সঞ্জুকে”। বাবা বোধ হয় খোলেননি। খুললে আমার ভালবাসা কয়লা হয়ে যেত এতক্ষণ।
আমি চিঠিটা খুললাম। পড়লাম। চিঠির সারবস্তু এরকম- ঢাকায় বাবার সাথে আটখানা বাড়িই ঘুরে ফিরে দেখেছে। খুব মজা পেয়েছে। এত চমৎকার বাড়ী তাদের!কয়েকটা স্বুলও দেখা হয়েছে। সব চেয়ে নামী স্বুলে ভর্তি হয়েছে। সেখানে টেনিস কোর্ট আছে। মেয়েদের ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলা হয় নিয়মিত। ডিবেটিং ক্লাবের সদস্য হয়েছে। সুইমিং পুল আছে। সেখানে ছেলে মেয়েরা একসাথে সাতার কাটে। আমার মাথা ঝিম ঝিম করে উঠল। আমার পরীসোনা একগাদা ছেলেদের সাথে সুইমিংপু লে সাতার কাটবে? জলপরীর মত আমার সোনা ডুবেডুবে সাতার কাটবে? হায়আল্ল¬াহ! ঐ বোকা ছেলেরা কি সাতার কাটবে? না হা করে আমার নীলা সোনাকে সাতারের পোশাকে দেখবে? ওরাতো সাতারের কথা ভুলেই যাবে। শেষে আমার সোনা লিখেছে, তুমি ছাড়া আমার জীবনের সব কিছুই অর্থহীন। যত দ্রুত সম্বব ঢাকায় এস।চিঠিটা বন্ধ করলাম। বাথরুমে ঢুকে চোখেমুখে বেশ করে পানি দিলাম। বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লাগল। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলাম। ঘুমুতে চেষ্টা করলাম। পারলাম না। চোখের সামনে ভেসে উঠল সুইমিং পুল। সেখানে নীলা সাতার কাটছে। সাতারের পোশাকে ওকে সবায় দেখছে। ও হেসে হেসে জলপরীর মত এগিয়ে যাচ্ছে।
মাথার মধ্যে অজস্র আজে বাজে ভাবনা ঢুকে পড়ল। যেমন- নীলা আজ কলেজ সাতার প্রতিযোগিতায় চাম্পিয়ান হয়েছে। এবার বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেবে। পেপারে ওর সাতারের পোশাকে ছবি ছাপা হয়েছে। শুধু ওর সাতারের পোশাকে ছবি ছাপানোর জন্য ঐপত্রিকার বিক্রি সংখ্যা বেড়ে গেল দ্বিগুন। দাঁত দিয়ে নিচের ঠোট কামড়াতে লাগলাম। আবার ভাবালাম, নীলা খুব ভাল টেনিস খেলে। কলেজ প্রতিযোগিতায় চা¤িায়ান। জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। গ্যালারি ভর্তি দর্শক। সবায় নীলাকে সাপোর্ট করছে। ওর সাফল্যে গ্যালারি হাঁসি আর হাততালিতে ভরে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে ও রহস্যময়ী হাসি দিয়ে গ্যালারীর দিকে তাকাচ্ছে। হায় দর্শক, খেলার কি দেখবে? সবাই হা করে নীলার দপদপে রুপ সৌন্দর্য দেখছে। খেলার পোশাকে চমৎকার লাগছে। আর ভাবতে পারলাম না। না জানি আমার নীলা সোনা এবার ফিল্মেও নামবে! ঢালিউড থেকে বলিউড, সেখান থেকে হলিউড। আরও কত কি সব নামি দামি হবে যে আমার সোনা! চোখ খুললাম। আজে বাজে ভাবনা গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করলাম।একটা সিডেটিভ ট্যাবলেট ও একগ্ল¬াস ঠান্ডা পানি খেলাম।
হোস্টেলের হৈ হুল্লু¬ড়ের মধ্যে নিজেকে ছেড়ে দিলাম। টেবিল টেনিস, দাবা, তাস খেলায় মেতে উঠলাম। ব্যাময়াগারে বেশ কিছু সময় কাটাতে লাগলাম স্বাস্থ্য টিক রাখার জন্য। বিতর্ক করতাম। কবিতা সংগীত চর্চাতেও মন দিলাম। পড়াশুনাতেও প্রচুর উন্নতি হতে লাগল। পরীক্ষাতে ফাষ্ট হতে লাগলাম। নীলার কথা বেশ কিছুদিন জোরাল ভাবে মনে এলনা। তবে অন্তরে তীব্র ব্যাথা অনুভব করতাম। এরমধ্যে বাবা বাড়ি থেকে চিঠি পাঠালেন। মামুলি ধরনের কিছু উপদেশ ছিল চিঠিতে। কিছু টাকা, সাথে নিলার পাঠানো একটা চিঠি। চিঠিটা আমার কাছেই লেখা। নীল রং এর খাম। উপরে দরদ করে লেখা “সঞ্জুকে”। বাবা বোধ হয় খোলেননি। খুললে আমার ভালবাসা কয়লা হয়ে যেত এতক্ষণ।
আমি চিঠিটা খুললাম। পড়লাম। চিঠির সারবস্তু এরকম- ঢাকায় বাবার সাথে আটখানা বাড়িই ঘুরে ফিরে দেখেছে। খুব মজা পেয়েছে। এত চমৎকার বাড়ী তাদের!কয়েকটা স্বুলও দেখা হয়েছে। সব চেয়ে নামী স্বুলে ভর্তি হয়েছে। সেখানে টেনিস কোর্ট আছে। মেয়েদের ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলা হয় নিয়মিত। ডিবেটিং ক্লাবের সদস্য হয়েছে। সুইমিং পুল আছে। সেখানে ছেলে মেয়েরা একসাথে সাতার কাটে। আমার মাথা ঝিম ঝিম করে উঠল। আমার পরীসোনা একগাদা ছেলেদের সাথে সুইমিংপু লে সাতার কাটবে? জলপরীর মত আমার সোনা ডুবেডুবে সাতার কাটবে? হায়আল্ল¬াহ! ঐ বোকা ছেলেরা কি সাতার কাটবে? না হা করে আমার নীলা সোনাকে সাতারের পোশাকে দেখবে? ওরাতো সাতারের কথা ভুলেই যাবে। শেষে আমার সোনা লিখেছে, তুমি ছাড়া আমার জীবনের সব কিছুই অর্থহীন। যত দ্রুত সম্বব ঢাকায় এস।চিঠিটা বন্ধ করলাম। বাথরুমে ঢুকে চোখেমুখে বেশ করে পানি দিলাম। বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লাগল। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলাম। ঘুমুতে চেষ্টা করলাম। পারলাম না। চোখের সামনে ভেসে উঠল সুইমিং পুল। সেখানে নীলা সাতার কাটছে। সাতারের পোশাকে ওকে সবায় দেখছে। ও হেসে হেসে জলপরীর মত এগিয়ে যাচ্ছে।
মাথার মধ্যে অজস্র আজে বাজে ভাবনা ঢুকে পড়ল। যেমন- নীলা আজ কলেজ সাতার প্রতিযোগিতায় চাম্পিয়ান হয়েছে। এবার বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেবে। পেপারে ওর সাতারের পোশাকে ছবি ছাপা হয়েছে। শুধু ওর সাতারের পোশাকে ছবি ছাপানোর জন্য ঐপত্রিকার বিক্রি সংখ্যা বেড়ে গেল দ্বিগুন। দাঁত দিয়ে নিচের ঠোট কামড়াতে লাগলাম। আবার ভাবালাম, নীলা খুব ভাল টেনিস খেলে। কলেজ প্রতিযোগিতায় চা¤িায়ান। জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। গ্যালারি ভর্তি দর্শক। সবায় নীলাকে সাপোর্ট করছে। ওর সাফল্যে গ্যালারি হাঁসি আর হাততালিতে ভরে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে ও রহস্যময়ী হাসি দিয়ে গ্যালারীর দিকে তাকাচ্ছে। হায় দর্শক, খেলার কি দেখবে? সবাই হা করে নীলার দপদপে রুপ সৌন্দর্য দেখছে। খেলার পোশাকে চমৎকার লাগছে। আর ভাবতে পারলাম না। না জানি আমার নীলা সোনা এবার ফিল্মেও নামবে! ঢালিউড থেকে বলিউড, সেখান থেকে হলিউড। আরও কত কি সব নামি দামি হবে যে আমার সোনা! চোখ খুললাম। আজে বাজে ভাবনা গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করলাম।একটা সিডেটিভ ট্যাবলেট ও একগ্ল¬াস ঠান্ডা পানি খেলাম।