10-08-2021, 12:37 PM
============================
লীলাখেলা - নবম খন্ড - সন্তোষের সন্তুষ্টি
============================
এখন অমিতের বাবার অফিস এ বসে আছি ।
কিছুক্ষন আগে ইন্টারিভউ হয়ে গেছে - মনে হয় না খুব একটা খারাপ হয়েছে ।
কাল রাত থেকে যা কান্ড হয়েছে মাথা ঠিক রাখাই মুশকিল ।
সন্তু না জানলেই ভালো - আমার ধারণা অমিত বা লীলা কেউ ওকে এসব বলবে না ।
চাকরি যদি হয়েও যায় - করে হয়েছে যদি ছেলে জিজ্ঞেস করে, আমি কি মুখ ফুটে বলতে পারবো ?
ছেলে তো বড় হয়ে গেছে - তার সামনে কি বলবো : তোর মাকে বাঁধা রেখে গেছিলাম ?
আর তোর বন্ধু তোর মার সাথে দিন রাত ফুলশয্যা করেছে ?
অসম্ভব । প্রাণ থাকতে না । একমাত্র টেনশন এটাই ।
আমি চোখ বুজে কনফারেন্স রুম এ বসে আছি ।
"মিঃ বোস ?" মেয়েলি আওয়াজে চোখ খুললো আমার।
দেখি একটা ছোট্ট খাটো মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
দেখলে চটক লাগে দেখে - সুঠাম চেহারা - গড়ন আছে ভালো ।
"আপনি কি মিঃ বোস ?"
আমি হ্যাঁ বলতে আমার দিকে কিছু ফর্ম বাড়িয়ে দিলো ।
"কংগ্রাচুলেশন মিঃ বোস - আপনি চন্ডীগড় অফিসের হেড অফ সেলস সিলেক্টেড হয়েছেন ।
এবার যদি প্লিজ এই অফার লেটার সই করে দেন ।"
পয়সার অঙ্কটা দেখলাম - আমার যা মাইনে ছিল দেড় গুন করে দিয়েছে ।
মনে একটু শান্তি এলো - হারামি শিকদার প্রমোশন এর পরেও এতো টাকা পাবে না ।
আমি পাতাগুলোতে সই করে ওকে ফিরিয়ে দিয়ে বললাম - "তুমি ?"
"ওহ সরি ইন্ট্রোডাকশন দেয়া হয় নি । আমি রেশমা - আমি আপনার সেক্রেটারী ।"
"আমার সেক্রেটারি থাকবে সেটা তো কোথাও বলা হয় নি ?"
"আছে । আপনার সই করার আগে ভালো করে পড়া দরকার ছিল । দেখুন এই যে, পাতা ৩ আর ৪ এ পরিষ্কার লেখা আছে,
আপনার অষ্টপ্রহর এর সাথী একটি সেক্রেটারী থাকবে । কোনো অফিসিয়াল কাজে তাকে সাথে নিতে আপনি বাধ্য ।"
আমি এ রকম অদ্ভুত নিয়ম কখনো শুনি নি ।
কিন্তু সই যখন করে ফেলেছি তখন আর কিছু এমনিতে করার নেই ।
সন্ধ্যে ৭ টা বেজে গেছে, এখন ভারী খিদে পেতে শুরু করলো ।
আমি রেশমাকে জিজ্ঞেস করলাম - " আমি কি এখন যেতে পারি?
আমার ভারী খিদে পেয়েছে ।"
"ডেফিনিটলি সন্তোষ ।"
আমি ওর মুখে আমার প্রথম নাম শুনে চমকে গেলাম ।
"ওহ আপনার বোধয় প্রাকটিস নেই । এখানে কেউ স্যার স্যার করে না ।
সব্বাই একে অন্যকে নাম ধরেই ডাকে । এমনিতেই আজকে আপনার রাতে কোম্পানি স্পন্সর্ড ডিনার ।
আমার উপরেই ভার রয়েছে আপনাকে খাওয়াতে নিয়ে যাবার ।"
এই বলে রেশমা খানিক্ষন এর জন্যে উধাও হয়ে গেলো ।
খানিক্ষন বাদে ফেরত এসে বলে : "চলুন গাড়ি রেডি।"
দেখি একটা মার্সেডিজ আমাদের নিয়ে যাবে ।
এত দামি গাড়ি অফিস থেকে দেয় ভাবাই যায় না । আমাদের তো ইন্ডিক্যাব দিয়ে কাজ চালায় ।
এতো ঠাঁট বাঁট আগে দেখি নি ।
লীলাখেলা - নবম খন্ড - সন্তোষের সন্তুষ্টি
============================
এখন অমিতের বাবার অফিস এ বসে আছি ।
কিছুক্ষন আগে ইন্টারিভউ হয়ে গেছে - মনে হয় না খুব একটা খারাপ হয়েছে ।
কাল রাত থেকে যা কান্ড হয়েছে মাথা ঠিক রাখাই মুশকিল ।
সন্তু না জানলেই ভালো - আমার ধারণা অমিত বা লীলা কেউ ওকে এসব বলবে না ।
চাকরি যদি হয়েও যায় - করে হয়েছে যদি ছেলে জিজ্ঞেস করে, আমি কি মুখ ফুটে বলতে পারবো ?
ছেলে তো বড় হয়ে গেছে - তার সামনে কি বলবো : তোর মাকে বাঁধা রেখে গেছিলাম ?
আর তোর বন্ধু তোর মার সাথে দিন রাত ফুলশয্যা করেছে ?
অসম্ভব । প্রাণ থাকতে না । একমাত্র টেনশন এটাই ।
আমি চোখ বুজে কনফারেন্স রুম এ বসে আছি ।
"মিঃ বোস ?" মেয়েলি আওয়াজে চোখ খুললো আমার।
দেখি একটা ছোট্ট খাটো মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
দেখলে চটক লাগে দেখে - সুঠাম চেহারা - গড়ন আছে ভালো ।
"আপনি কি মিঃ বোস ?"
আমি হ্যাঁ বলতে আমার দিকে কিছু ফর্ম বাড়িয়ে দিলো ।
"কংগ্রাচুলেশন মিঃ বোস - আপনি চন্ডীগড় অফিসের হেড অফ সেলস সিলেক্টেড হয়েছেন ।
এবার যদি প্লিজ এই অফার লেটার সই করে দেন ।"
পয়সার অঙ্কটা দেখলাম - আমার যা মাইনে ছিল দেড় গুন করে দিয়েছে ।
মনে একটু শান্তি এলো - হারামি শিকদার প্রমোশন এর পরেও এতো টাকা পাবে না ।
আমি পাতাগুলোতে সই করে ওকে ফিরিয়ে দিয়ে বললাম - "তুমি ?"
"ওহ সরি ইন্ট্রোডাকশন দেয়া হয় নি । আমি রেশমা - আমি আপনার সেক্রেটারী ।"
"আমার সেক্রেটারি থাকবে সেটা তো কোথাও বলা হয় নি ?"
"আছে । আপনার সই করার আগে ভালো করে পড়া দরকার ছিল । দেখুন এই যে, পাতা ৩ আর ৪ এ পরিষ্কার লেখা আছে,
আপনার অষ্টপ্রহর এর সাথী একটি সেক্রেটারী থাকবে । কোনো অফিসিয়াল কাজে তাকে সাথে নিতে আপনি বাধ্য ।"
আমি এ রকম অদ্ভুত নিয়ম কখনো শুনি নি ।
কিন্তু সই যখন করে ফেলেছি তখন আর কিছু এমনিতে করার নেই ।
সন্ধ্যে ৭ টা বেজে গেছে, এখন ভারী খিদে পেতে শুরু করলো ।
আমি রেশমাকে জিজ্ঞেস করলাম - " আমি কি এখন যেতে পারি?
আমার ভারী খিদে পেয়েছে ।"
"ডেফিনিটলি সন্তোষ ।"
আমি ওর মুখে আমার প্রথম নাম শুনে চমকে গেলাম ।
"ওহ আপনার বোধয় প্রাকটিস নেই । এখানে কেউ স্যার স্যার করে না ।
সব্বাই একে অন্যকে নাম ধরেই ডাকে । এমনিতেই আজকে আপনার রাতে কোম্পানি স্পন্সর্ড ডিনার ।
আমার উপরেই ভার রয়েছে আপনাকে খাওয়াতে নিয়ে যাবার ।"
এই বলে রেশমা খানিক্ষন এর জন্যে উধাও হয়ে গেলো ।
খানিক্ষন বাদে ফেরত এসে বলে : "চলুন গাড়ি রেডি।"
দেখি একটা মার্সেডিজ আমাদের নিয়ে যাবে ।
এত দামি গাড়ি অফিস থেকে দেয় ভাবাই যায় না । আমাদের তো ইন্ডিক্যাব দিয়ে কাজ চালায় ।
এতো ঠাঁট বাঁট আগে দেখি নি ।