10-08-2021, 10:37 AM
রুপান্তর
রাশুর নাম যে কি সে নিজেও তা জানেনা, কারন ওর বাবা মা নেই, যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর বধ্যভুমি থেকে মা বাবার রক্তাক্ত মৃতদেহ সরাতে গিয়ে দেড় বছরের রাশু তখন চিৎকার দিয়ে উঠেছিল, গ্রামের মাতবর রইস লস্কর তখন এই রাশুকে ওর বাড়িতে নিয়ে যায় সেই অবধি রাশু সেখানেই আছে। রাশুর ভাগ্য ভালো যে সেই বছর রইস পত্নীর যে মেয়েটা হয়েছিলে তা তিনমাসের মাথায় সংগ্রামের এই পরিবেশে ডায়রিয়া হলে পরে মারা যায়, রইস পত্নীও চোখ বন্ধ করে স্তনের বোটা রাশুর মুখে ধরে দিয়েছিল, রেশমা মারা গেছে তখন মাত্র সাত দিন, রেশমার দুধ পুরোটাই রাশুর ছিল এ যেন বিধাতার লিখা। বধ্যভুমির নিহত লোকেরা আসলে এখানকার ছিলনা, পাক আর্মিরা ধরে নিয়ে এসেছিল অনেক দূর থেকে। শেষতক যাদের কে আর কাজে লাগানো যায়নি তাদেরকেই মেরে ফেলেছিল এই কেওড়া তলায়।
রাশু এখন বলা চলে লস্কর বাড়ীর তস্কর। বড়মা ই ওকে রেশমার নামের সাথে আদর করে রেশু ডাকত সেই ডাক কালে মানুষের মুখে রাশু। খুব যে আদর করে ওকে সবাই তা না, তবে কেন জানি ও লস্কর বাড়ীর বড় গিন্নীমা মমতাজের নয়নের মনি, রাশুকে একমাত্র শাশন মনে হয় গিন্নীমাই করতে পারে। আর রাশু একমাত্র উনার কথাই শুনে। কলেজে পাঠানো হয়েছিল, পড়া লেখা ভালো লাগে না, মারামারি নিত্য অভ্যাস, রইস লস্করের কাছে হেডমাস্টার এর বিচারের জ্বালায় ওকে রইস মাতবর কলেজ ছাড়িয়ে এনেছিল। রাশু তো মহা খুশী। কর্তা ওকে বাড়ীর রাখালদের দলনেতা বানিয়ে দিয়েছিল। রাশু যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল, সারাদিন মাঠে , এর গাছ হতে, নয়তো ওর গাছ ফল পার, ডাব খাও। কাঠাল ভাংগো। তারপরেও কেন জানি গিন্নীমার আদরে মমতায় আবার রাশু কলেজে যেতে শুরু করল। কলেজে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে পাড়া, সারা এলাকা দাপিয়ে বেড়ানো ওর কাজ, রাশুর শরীর দেখতে দেখতে তরতরিয়ে একটা বুনো ষাড়ের মত হয়েছে। বুকের পাজরের হাড়গুলো যেন পাথর কেটে কেটে তৈরী, কিন্তু তার হাতের পেশী, কবজি, তলপেট, উরু সব যেন এক রেখায় একটী সলিড তক্তার মত সোজা ও মজবুত। আঙ্গুল সব যেন একটা পেটানো ধাতব অংগ। সারা বেলায় হয়তো গায়ে একটা গামছা নয়তো সান্ডো, আর একটা লুংগি।
সবে নাকের নীচের লোমগুলো মজবুত হতে শুরু করেছে। গিন্নীমা মমতাজ বেগমের পিঠ ডলে যখন দিত প্রায়ই ধমক দিয়ে বলতে হয় রাশুকে -বগলের লোম এত লম্বা হচ্ছে কেন, বটতলায় কানুশীলের কাছে গিয়ে কামিয়ে আনা যায় না ?? গিন্নীমা টাকাও দেয় কিন্তু রাশু দিব্যি অন্য কিছু খেয়ে টাকা শেষ করে, বগলের লোমে গিন্নীমার সমস্যা কি ও জানেনা। কিন্তু বড়মা যখন ওর সামনে পিড়িতে বসে মাথায় এলুমিনিয়ামের মগ দিয়ে পানি ঢালে তখন বড়মার ফর্সা হালকা লোমে ঢাকা ভেজা বগল রাশুর খারাপ লাগে না, কিন্তু সে তো বড়মার মত এত ফর্সা না। আর বড়মা গোসলের পড়ে অবলীলায় রাশুর সামনে বগল তুলে পাঊদার দানির পাফ হতে পাউডার লাগায়, ছোট বেলায় রাশুকেও লাগিয়ে দিয়েছে, কিন্তু রাশু এখন খুব বেয়াড়া হয়ে গেছে, এটা বড়মাও অভিযোগ করে, যেমন আগে রাশু বড়মার সাথে গোসল করত, ইদানিং বছর দুয়েক হল সে বাড়ীর সামনে পুকুরে সাঁতরায়, গোসল করে, তাই অগত্যা পিঠ আর ঘাড় ডলার লোক হিসাবে কাজের বেটি বাতাসীকেই ডাকতে হয়।
রাশুর নাম যে কি সে নিজেও তা জানেনা, কারন ওর বাবা মা নেই, যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর বধ্যভুমি থেকে মা বাবার রক্তাক্ত মৃতদেহ সরাতে গিয়ে দেড় বছরের রাশু তখন চিৎকার দিয়ে উঠেছিল, গ্রামের মাতবর রইস লস্কর তখন এই রাশুকে ওর বাড়িতে নিয়ে যায় সেই অবধি রাশু সেখানেই আছে। রাশুর ভাগ্য ভালো যে সেই বছর রইস পত্নীর যে মেয়েটা হয়েছিলে তা তিনমাসের মাথায় সংগ্রামের এই পরিবেশে ডায়রিয়া হলে পরে মারা যায়, রইস পত্নীও চোখ বন্ধ করে স্তনের বোটা রাশুর মুখে ধরে দিয়েছিল, রেশমা মারা গেছে তখন মাত্র সাত দিন, রেশমার দুধ পুরোটাই রাশুর ছিল এ যেন বিধাতার লিখা। বধ্যভুমির নিহত লোকেরা আসলে এখানকার ছিলনা, পাক আর্মিরা ধরে নিয়ে এসেছিল অনেক দূর থেকে। শেষতক যাদের কে আর কাজে লাগানো যায়নি তাদেরকেই মেরে ফেলেছিল এই কেওড়া তলায়।
রাশু এখন বলা চলে লস্কর বাড়ীর তস্কর। বড়মা ই ওকে রেশমার নামের সাথে আদর করে রেশু ডাকত সেই ডাক কালে মানুষের মুখে রাশু। খুব যে আদর করে ওকে সবাই তা না, তবে কেন জানি ও লস্কর বাড়ীর বড় গিন্নীমা মমতাজের নয়নের মনি, রাশুকে একমাত্র শাশন মনে হয় গিন্নীমাই করতে পারে। আর রাশু একমাত্র উনার কথাই শুনে। কলেজে পাঠানো হয়েছিল, পড়া লেখা ভালো লাগে না, মারামারি নিত্য অভ্যাস, রইস লস্করের কাছে হেডমাস্টার এর বিচারের জ্বালায় ওকে রইস মাতবর কলেজ ছাড়িয়ে এনেছিল। রাশু তো মহা খুশী। কর্তা ওকে বাড়ীর রাখালদের দলনেতা বানিয়ে দিয়েছিল। রাশু যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল, সারাদিন মাঠে , এর গাছ হতে, নয়তো ওর গাছ ফল পার, ডাব খাও। কাঠাল ভাংগো। তারপরেও কেন জানি গিন্নীমার আদরে মমতায় আবার রাশু কলেজে যেতে শুরু করল। কলেজে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে পাড়া, সারা এলাকা দাপিয়ে বেড়ানো ওর কাজ, রাশুর শরীর দেখতে দেখতে তরতরিয়ে একটা বুনো ষাড়ের মত হয়েছে। বুকের পাজরের হাড়গুলো যেন পাথর কেটে কেটে তৈরী, কিন্তু তার হাতের পেশী, কবজি, তলপেট, উরু সব যেন এক রেখায় একটী সলিড তক্তার মত সোজা ও মজবুত। আঙ্গুল সব যেন একটা পেটানো ধাতব অংগ। সারা বেলায় হয়তো গায়ে একটা গামছা নয়তো সান্ডো, আর একটা লুংগি।
সবে নাকের নীচের লোমগুলো মজবুত হতে শুরু করেছে। গিন্নীমা মমতাজ বেগমের পিঠ ডলে যখন দিত প্রায়ই ধমক দিয়ে বলতে হয় রাশুকে -বগলের লোম এত লম্বা হচ্ছে কেন, বটতলায় কানুশীলের কাছে গিয়ে কামিয়ে আনা যায় না ?? গিন্নীমা টাকাও দেয় কিন্তু রাশু দিব্যি অন্য কিছু খেয়ে টাকা শেষ করে, বগলের লোমে গিন্নীমার সমস্যা কি ও জানেনা। কিন্তু বড়মা যখন ওর সামনে পিড়িতে বসে মাথায় এলুমিনিয়ামের মগ দিয়ে পানি ঢালে তখন বড়মার ফর্সা হালকা লোমে ঢাকা ভেজা বগল রাশুর খারাপ লাগে না, কিন্তু সে তো বড়মার মত এত ফর্সা না। আর বড়মা গোসলের পড়ে অবলীলায় রাশুর সামনে বগল তুলে পাঊদার দানির পাফ হতে পাউডার লাগায়, ছোট বেলায় রাশুকেও লাগিয়ে দিয়েছে, কিন্তু রাশু এখন খুব বেয়াড়া হয়ে গেছে, এটা বড়মাও অভিযোগ করে, যেমন আগে রাশু বড়মার সাথে গোসল করত, ইদানিং বছর দুয়েক হল সে বাড়ীর সামনে পুকুরে সাঁতরায়, গোসল করে, তাই অগত্যা পিঠ আর ঘাড় ডলার লোক হিসাবে কাজের বেটি বাতাসীকেই ডাকতে হয়।