09-08-2021, 02:39 PM
চার- ৪
তিন দিন পরে চাচা সম্পর্কে যেটা জানলাম, সেটা হল এই রকম—- চাচা একাত্তরে নকশালী লিডার হয়ে অনেক খুন খারাবী করেছেন। লূট-পাট করেছেন। সঙ্গীদের কাউকে ভাগ দেননি। সম্পদ নিজের বলে মনে করলেন। নিজের লোক তখন শত্র“ হয়ে গেল। তিনি আতœ গোপন করলেন। দেশ স্বাধীন হলেও শত্র“ কমল না। তিনি কিছুদিন চিটাগাং এর দিকে ছিলেন। পাহাড়েও কিছু দিন কাটিয়েদেন। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটল ।তিনি এই পরিবর্তনের সুযোগে সাদা জীবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেন। ঢাকায় ফিরলেন। উত্তরায় ভাড়া বাসায় একা একা থাকতে শুরু কলরেন, ব্যবসা পাতি শুরুকরলেন। নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা বলে পরিচয় দিলেন। প্রভাব প্রতিপত্তি বেড়ে গেল।এখন তার অনেক ব্যবসা। বৈধ অবৈধ মিলে কয়েক কোটি টাকার মালিক। গুলশান, মতিঝিল, উত্তরায় মোট আটখানা প্রাসাদতুল্য বাড়ি। এসব এলাকায় তার নাম বললে যেকোন রিক্সা, ট্যাক্সি ওয়ালা দেখিয়ে দেবে। তবে আবিদ হোসেন নামে তাকে কেউ চিনবে না। বলতে হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকিব হোসেন। এখন ঢাকায় তিনি নীলা ও নীলার মাকে নিয়ে যেতে চান। বাবা রাজি হলে তিনি এবং আমিও যেতে পারি।
সব শুনে বাবা হাসলেন। বললেন খুন খারাবী করে বড়লোক হয়েছিস। ছিলি নকশালী, হলি মুক্তিযোদ্ধা নাম ছিল আবেদ হোসেন, পাল্টে হলি কিনা সাকিব হোসেন। এখন বলছিস আমাদের সবাইকে সেখানে যেতে হবে। অসম্ভব! চাচার মুখটা অনেক মলিন হয়ে গেল। অবশেষে বাবাকে হার মানতে হল। দীর্ঘ দিন পর চাচী তার স্বামীকে পেলেন।নীলা তার বাবাকে পেল, এখন তাদের কেন আটকাতে হবে? বাবা অমত করলেন না।
তিন দিন পরে চাচা সম্পর্কে যেটা জানলাম, সেটা হল এই রকম—- চাচা একাত্তরে নকশালী লিডার হয়ে অনেক খুন খারাবী করেছেন। লূট-পাট করেছেন। সঙ্গীদের কাউকে ভাগ দেননি। সম্পদ নিজের বলে মনে করলেন। নিজের লোক তখন শত্র“ হয়ে গেল। তিনি আতœ গোপন করলেন। দেশ স্বাধীন হলেও শত্র“ কমল না। তিনি কিছুদিন চিটাগাং এর দিকে ছিলেন। পাহাড়েও কিছু দিন কাটিয়েদেন। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটল ।তিনি এই পরিবর্তনের সুযোগে সাদা জীবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেন। ঢাকায় ফিরলেন। উত্তরায় ভাড়া বাসায় একা একা থাকতে শুরু কলরেন, ব্যবসা পাতি শুরুকরলেন। নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা বলে পরিচয় দিলেন। প্রভাব প্রতিপত্তি বেড়ে গেল।এখন তার অনেক ব্যবসা। বৈধ অবৈধ মিলে কয়েক কোটি টাকার মালিক। গুলশান, মতিঝিল, উত্তরায় মোট আটখানা প্রাসাদতুল্য বাড়ি। এসব এলাকায় তার নাম বললে যেকোন রিক্সা, ট্যাক্সি ওয়ালা দেখিয়ে দেবে। তবে আবিদ হোসেন নামে তাকে কেউ চিনবে না। বলতে হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকিব হোসেন। এখন ঢাকায় তিনি নীলা ও নীলার মাকে নিয়ে যেতে চান। বাবা রাজি হলে তিনি এবং আমিও যেতে পারি।
সব শুনে বাবা হাসলেন। বললেন খুন খারাবী করে বড়লোক হয়েছিস। ছিলি নকশালী, হলি মুক্তিযোদ্ধা নাম ছিল আবেদ হোসেন, পাল্টে হলি কিনা সাকিব হোসেন। এখন বলছিস আমাদের সবাইকে সেখানে যেতে হবে। অসম্ভব! চাচার মুখটা অনেক মলিন হয়ে গেল। অবশেষে বাবাকে হার মানতে হল। দীর্ঘ দিন পর চাচী তার স্বামীকে পেলেন।নীলা তার বাবাকে পেল, এখন তাদের কেন আটকাতে হবে? বাবা অমত করলেন না।