08-08-2021, 11:29 AM
“ শালা নেমক হারামের দল, একটা টাকা কাউকে দেব না। একটা মাগী কে আনতে বললাম সেটাও তুই পারলি না। আর তুই এই শহর কাঁপাবি? কিসসু পারবি না যা বেড়িয়ে যা এখান থেকে” জিষ্ণু কথা টা শুনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। চ্যাম্পিয়নশিপ এর জন্য টাকার দরকার নেহাত তাই এতো গালাগাল শুনছে না হলে এখনি যে মুখ দিয়ে কথা বলছে মহেশ মুখ টা ফাটিয়ে দিত এক ঘুষি তে। আর রাগ গিয়ে পড়ছে ওই মহিলা টির ওপরে। কে জানত যে শালা দু টাকার একটা পার্সি মেয়ে দুম করে শহর ছেড়ে চলে যাবে হাতের গ্রাস কেড়ে নিয়ে।উফফফ শালা একদিন দেরি হল না হলে ওই মেয়েছেলে টাকে এতক্ষনে মহেশের কাছে এনে ফেলত। রাগে ফুঁসতে লাগলো জিষ্ণু। বেড়িয়ে এলো ধিরে ধিরে মহেশের আড্ডা থেকে।
জিষ্ণু বেড়িয়ে যেতেই মহেশের এক শাগরেদ মহেশ কে বলল, “ ভাই, জিষ্ণুর বউ ও কিন্তু হেব্বি দেখতে”। একটা অদ্ভুত হাসি হেসে মহেশ বলে উঠল “ তাই নাকি? দেখি শালা ওই মাগী টা কে আনতে পারে তবে ভাল ,না হলে ওর বউ কে দিয়েই ভোজ সারব”
শিনা জিষ্ণুর বাহু মধ্যে শুয়ে জিষ্ণু কে আদর করছে। কিন্তু জিষ্ণুর মন নেই। জিষ্ণু ভেবে চলেছে তার স্পন্সরশিপ। - কি হল হানি? তুমি আজ এতো চুপচাপ কেন? শিনার কথায় জিষ্ণু বিরক্ত হল। একটু একা থাকতে চায় ও। আসলে ও একটু এমনি। মাঝে মাঝে হারিয়ে যায়। বা হারিয়ে যেতে চায় হয়ত। তখন কিছুই ভাল লাগে না। ও মানুষ হয়েছে খুব ই অনাদরে। যতদিন দাদা ছিল বুকে করে আগলে রাখত ওকে। নাহ আর ভাববে না দাদার কথা। এতো স্বার্থপর একটা মানুষের কথা ও ভাববে না আর। - সোনা? কি হল?। শিনা ভয় পায় জিষ্ণুর এই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া টা। ও জিষ্ণু কে চেনে ছোট থেকেই। জিষ্ণু মানুষ হয়েছে মামার বাড়ি তে। শিনা দেড় বাড়ি ছিল জিষ্ণুর মামার বাড়ীর পাশেই। শিনা জিষ্ণুর থেকে বয়সে বড়। কিন্তু জানিনা কেন মামির বকুনি খেয়ে যখন জিষ্ণু চুপ করে বসে থাকত বাইরে বারান্দায় তখন শিনা ওকে দেখত। এবং সেটা প্রায় রোজ হত। এই ভাবেই কেটে গেছিল দশ টা বছর। যে বছর শিনা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করল সেই বছর জিষ্ণু কে দেখেছিল একটা বক্সিং রিং এ। কথা কম বলা ছেলে জিষ্ণু। জিতে গেছিল জিষ্ণু। প্রথম রাউনড এই নক আউট করেছিল শিনা দের কলেজের বেস্ট বক্সার কে। রাগ ও ধরেছিল কিন্তু উল্টো দিকে জিষ্ণু কে দেখে আর রাগ করতে পারে নি। অবাক হয়েছিল ওদের কলেজের বক্সার হেরে গিয়েও হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর চোখের মনি। কিন্তু ছেলেটা একা এসেছিল। জিতে গিয়েও চুপ করে নিজের কিট গুছিয়ে হাঁটা দিয়েছিল। শিনা দৌড়ে এসে ওকে ধরেছিল “ তুমি জিষ্ণু না? জিষ্ণু একবার দেখেই কাঁধে কিট টা ফেলে সামনে এগিয়েছিল। - হ্যাঁ কেন?
- না তোমাকে আমি দেখি রোজ ই। আমাদের সামনের বাড়িতে থাক তুমি তাই না? জিষ্ণু সাড়া দেয় নি এই কথায়। এগিয়ে চলছিল সামনেই। “ বক্সার একা লড়তে আসে জানতাম না” শিনা কথাটা বিঁধিয়ে বলার উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিল জিষ্ণুর উদ্দেশ্যে। “ যদি তুমি নক আউট হতে কে তোমাকে হাসপাতাল এ নিয়ে যেত” ? জিষ্ণু থেমে গেছিল । ফর্সা মুখ টা লাল হয়ে গেছিল। বলেছিল “ মার খেয়েই বড় হয়েছি আমি”। থমকে গেছিল শিনা। জিষ্ণু এগিয়ে চলে গেছিল সামনে শিনা কে তোয়াক্কা না করেই। শিনার মনে পরছিল তখন দুয়ারে ছলছল চোখে বসে থাকা একটা মিষ্টি মুখ।
শিনা ফিরে এলো ভাবনার জগত থেকে জিষ্ণুর বুকে। চোখ দিয়ে টপটপ করে উত্তপ্ত জল জিষ্ণুর নির্লোম বুক টা ভিজিয়ে দিচ্ছিল। আগেব প্রবন জিষ্ণু ও কেঁদে চলেছিল তার স্বপ্ন শেষ এই ভেবে, আর তার বুকে কাঁদছিল শিনা এই ভেবে যে এতো কষ্ট করে বড় হবার কোন দাম ভগবান দিল না তার মনের মানুষ টা কে।
জিষ্ণু বেড়িয়ে যেতেই মহেশের এক শাগরেদ মহেশ কে বলল, “ ভাই, জিষ্ণুর বউ ও কিন্তু হেব্বি দেখতে”। একটা অদ্ভুত হাসি হেসে মহেশ বলে উঠল “ তাই নাকি? দেখি শালা ওই মাগী টা কে আনতে পারে তবে ভাল ,না হলে ওর বউ কে দিয়েই ভোজ সারব”
শিনা জিষ্ণুর বাহু মধ্যে শুয়ে জিষ্ণু কে আদর করছে। কিন্তু জিষ্ণুর মন নেই। জিষ্ণু ভেবে চলেছে তার স্পন্সরশিপ। - কি হল হানি? তুমি আজ এতো চুপচাপ কেন? শিনার কথায় জিষ্ণু বিরক্ত হল। একটু একা থাকতে চায় ও। আসলে ও একটু এমনি। মাঝে মাঝে হারিয়ে যায়। বা হারিয়ে যেতে চায় হয়ত। তখন কিছুই ভাল লাগে না। ও মানুষ হয়েছে খুব ই অনাদরে। যতদিন দাদা ছিল বুকে করে আগলে রাখত ওকে। নাহ আর ভাববে না দাদার কথা। এতো স্বার্থপর একটা মানুষের কথা ও ভাববে না আর। - সোনা? কি হল?। শিনা ভয় পায় জিষ্ণুর এই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া টা। ও জিষ্ণু কে চেনে ছোট থেকেই। জিষ্ণু মানুষ হয়েছে মামার বাড়ি তে। শিনা দেড় বাড়ি ছিল জিষ্ণুর মামার বাড়ীর পাশেই। শিনা জিষ্ণুর থেকে বয়সে বড়। কিন্তু জানিনা কেন মামির বকুনি খেয়ে যখন জিষ্ণু চুপ করে বসে থাকত বাইরে বারান্দায় তখন শিনা ওকে দেখত। এবং সেটা প্রায় রোজ হত। এই ভাবেই কেটে গেছিল দশ টা বছর। যে বছর শিনা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করল সেই বছর জিষ্ণু কে দেখেছিল একটা বক্সিং রিং এ। কথা কম বলা ছেলে জিষ্ণু। জিতে গেছিল জিষ্ণু। প্রথম রাউনড এই নক আউট করেছিল শিনা দের কলেজের বেস্ট বক্সার কে। রাগ ও ধরেছিল কিন্তু উল্টো দিকে জিষ্ণু কে দেখে আর রাগ করতে পারে নি। অবাক হয়েছিল ওদের কলেজের বক্সার হেরে গিয়েও হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর চোখের মনি। কিন্তু ছেলেটা একা এসেছিল। জিতে গিয়েও চুপ করে নিজের কিট গুছিয়ে হাঁটা দিয়েছিল। শিনা দৌড়ে এসে ওকে ধরেছিল “ তুমি জিষ্ণু না? জিষ্ণু একবার দেখেই কাঁধে কিট টা ফেলে সামনে এগিয়েছিল। - হ্যাঁ কেন?
- না তোমাকে আমি দেখি রোজ ই। আমাদের সামনের বাড়িতে থাক তুমি তাই না? জিষ্ণু সাড়া দেয় নি এই কথায়। এগিয়ে চলছিল সামনেই। “ বক্সার একা লড়তে আসে জানতাম না” শিনা কথাটা বিঁধিয়ে বলার উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিল জিষ্ণুর উদ্দেশ্যে। “ যদি তুমি নক আউট হতে কে তোমাকে হাসপাতাল এ নিয়ে যেত” ? জিষ্ণু থেমে গেছিল । ফর্সা মুখ টা লাল হয়ে গেছিল। বলেছিল “ মার খেয়েই বড় হয়েছি আমি”। থমকে গেছিল শিনা। জিষ্ণু এগিয়ে চলে গেছিল সামনে শিনা কে তোয়াক্কা না করেই। শিনার মনে পরছিল তখন দুয়ারে ছলছল চোখে বসে থাকা একটা মিষ্টি মুখ।
শিনা ফিরে এলো ভাবনার জগত থেকে জিষ্ণুর বুকে। চোখ দিয়ে টপটপ করে উত্তপ্ত জল জিষ্ণুর নির্লোম বুক টা ভিজিয়ে দিচ্ছিল। আগেব প্রবন জিষ্ণু ও কেঁদে চলেছিল তার স্বপ্ন শেষ এই ভেবে, আর তার বুকে কাঁদছিল শিনা এই ভেবে যে এতো কষ্ট করে বড় হবার কোন দাম ভগবান দিল না তার মনের মানুষ টা কে।