08-08-2021, 11:28 AM
খাবার বাড়ছিল জিনিয়া। শিবা বাথরুম থেকে বেড়িয়ে গা মুছছিল। সফট অথচ বেশ বলশালী পেশী গুলো যেন কিলবিল করছিল দেহ জুড়ে শিবার , হাত দুটো কে মোছার কাজে ব্যবহার করার জন্য। জিনিয়া হাঁ করে দেখছিল শিবা কে। চোখ ফেরাতে পারছিল না। ইচ্ছে করছিল ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে শিবা কে পিছন থেকে।কিন্তু পোড়া কপাল। ওই জন্যেই মেয়েরা খুব ভাল ছেলে পছন্দ করে না। রাগ ধরছিল শিবা কে। কি ছেলেরে বাবা, একটা সুন্দরী মেয়ে থাকতে একবার ও দেখে না। একটু তো খারাপ নজরে দেখতেই পারে। সব ই তো আছে ওর। শিবা তাকাতেই জিনিয়া নজর সরিয়ে নিল। খাবার বেড়ে রেডি করে ডাকতেই শিবা চলে এলো টেবিল এ।
- এই নে এই সাত হাজার টাকা উসমান আঙ্কেল কে দিবি।বাড়ীর ভাড়া। আর এই পাঁচ হাজার মেয়ের ডাক্তার। জিনিয়া শিবা কে টাকা টা দিতেই শিবা বলে উঠল
- তবে বাঁচল কি? খাব কি এই মাসে?
- হি হি আছে তো। এই যে সাত হাজার টাকা রয়েছে। এখানে পাপির খাবার দাবার তিন হাজার। বাকি তে আমাদের চলে যাবে।
শিবা কিছু বলল না, বুঝে গেল ম্যাম নিজের সামান্য খরচ ও করে না। দুঃখ পেল। জিনিয়া সেটা বুঝে বলল “কি হল শিবা”?
- আপনার খুব ই কষ্ট আমি বুঝি
- খবরদার ও কথা বলবি না। আর কষ্ট বলছিস? যে কষ্ট আমি পেয়ে এসেছি এখানে আমি অনেক সুখে আছি।
শিবা বেড়িয়ে এলো বাইরে। মন টা ভারি। শিবা এমন ই একটা ছেলে যে সবাই কে নিয়েই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নি। চোখের সামনে সেই রাত ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে মায়ের রক্ত মাখা শরীর টা। উফফফফফ কি যে ব্যাথা বুকের মাঝে!!!! কাঁধে হাত টা পরতেই চমকে তাকিয়ে দেখল ম্যাম ওর কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছে। “ বিশ্বাস কর শিবা আমার কোন কষ্ট নেই। আমি এতো আনন্দে কোনদিন ও কাটাই নি” শিবা উত্তর দিল না। সামনের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল “ জানেন ম্যাম সেই দিন যেদিন আমাকে আপনি খুব মারলেন, আমি পালিয়ে এসেছিলাম আপনার ক্লাস থেকে। এসে বাড়িতে দেখলাম আমার বাবা দাঁড়িয়ে আছে হাতে রক্ত মাখা ছুরি টা নিয়ে আর আমার মা মেঝে তে লুটিয়ে আছে রক্ত মাখা শরীর টা নিয়ে। আমার ভাই তখন চার বছরের। বাবা চেঁচিয়ে চলেছে আমার মায়ের ওপরে। মা তখন নেই আর এই জগতে” শিবা কাঁদতে কাঁদতে জিনিয়ার কোলে মাথা রাখল। জিনিয়া টেনে নিল শিবা কে বুকে। “ আমার বাবা সন্দেহ করত আমার মা কে ম্যাম” বলে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল শিবা। জিনিয়া টেনে নিল আর কাছে শিবা কে। ভাবল কেঁদে বের করে দিক মনের যত গ্লানি ও পুষে রেখেছে এই আঠেরো বছর…………………………………………………………………
-----------------------------
- এই নে এই সাত হাজার টাকা উসমান আঙ্কেল কে দিবি।বাড়ীর ভাড়া। আর এই পাঁচ হাজার মেয়ের ডাক্তার। জিনিয়া শিবা কে টাকা টা দিতেই শিবা বলে উঠল
- তবে বাঁচল কি? খাব কি এই মাসে?
- হি হি আছে তো। এই যে সাত হাজার টাকা রয়েছে। এখানে পাপির খাবার দাবার তিন হাজার। বাকি তে আমাদের চলে যাবে।
শিবা কিছু বলল না, বুঝে গেল ম্যাম নিজের সামান্য খরচ ও করে না। দুঃখ পেল। জিনিয়া সেটা বুঝে বলল “কি হল শিবা”?
- আপনার খুব ই কষ্ট আমি বুঝি
- খবরদার ও কথা বলবি না। আর কষ্ট বলছিস? যে কষ্ট আমি পেয়ে এসেছি এখানে আমি অনেক সুখে আছি।
শিবা বেড়িয়ে এলো বাইরে। মন টা ভারি। শিবা এমন ই একটা ছেলে যে সবাই কে নিয়েই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নি। চোখের সামনে সেই রাত ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে মায়ের রক্ত মাখা শরীর টা। উফফফফফ কি যে ব্যাথা বুকের মাঝে!!!! কাঁধে হাত টা পরতেই চমকে তাকিয়ে দেখল ম্যাম ওর কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছে। “ বিশ্বাস কর শিবা আমার কোন কষ্ট নেই। আমি এতো আনন্দে কোনদিন ও কাটাই নি” শিবা উত্তর দিল না। সামনের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল “ জানেন ম্যাম সেই দিন যেদিন আমাকে আপনি খুব মারলেন, আমি পালিয়ে এসেছিলাম আপনার ক্লাস থেকে। এসে বাড়িতে দেখলাম আমার বাবা দাঁড়িয়ে আছে হাতে রক্ত মাখা ছুরি টা নিয়ে আর আমার মা মেঝে তে লুটিয়ে আছে রক্ত মাখা শরীর টা নিয়ে। আমার ভাই তখন চার বছরের। বাবা চেঁচিয়ে চলেছে আমার মায়ের ওপরে। মা তখন নেই আর এই জগতে” শিবা কাঁদতে কাঁদতে জিনিয়ার কোলে মাথা রাখল। জিনিয়া টেনে নিল শিবা কে বুকে। “ আমার বাবা সন্দেহ করত আমার মা কে ম্যাম” বলে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল শিবা। জিনিয়া টেনে নিল আর কাছে শিবা কে। ভাবল কেঁদে বের করে দিক মনের যত গ্লানি ও পুষে রেখেছে এই আঠেরো বছর…………………………………………………………………
-----------------------------