05-08-2021, 10:27 AM
রাত আটটা বাজে, সজল তার প্রাইভেট কারটি স্নিগ্ধাদের বাড়ির সামনে দার করায়। নিসান ভার্সাটি কোম্পানি থেকে দিয়েছে। তবে সজল নিশ্চিত কিছু দিনের মাঝে তার নিজের টাকায় এর চেয়ে দামি গাড়ি কিনতে পারবে। তিন দিন আগেই সে রোয়ান কন্স্ট্রাকশন লিমিটেড এর সিইও হিসাবে জয়েন করেছে। এতো দ্রুত গতিতে এতো উন্নতি কেউ কখনো ভাবতেই পারে না, আর সজল সেখানে প্রায় পৌছে গেছে। এখন শুধু একটা কাজ বাকি, তাহলেই চাকরী পরিপক্ক হয়ে যাবে। আজ সকালেই স্নিগ্ধার বাবা কল করে আসতে বলেছে, কেন তা সজল ভাল করেই জানত। আজকের সকল প্রধান পত্রিকায় স্নিগ্ধার উদ্ধার ও কবিরের ধরা পরার খবরটি ছেপেছে। সজল গতকাল রাতেই বগুড়ায় এসেছে, লোকও ঠিক করে রেখেছে স্নিগ্ধার বাবা মার ওপর নজর রাখার জন্য। ইচ্ছা করেই সে দেরি করে এসেছে।
কলিংবেল বাজতেই জামান দরজা খুলে দেয়। সজল সালাম দিয়ে বলে "কেমন আছেন বাবা? "
" ভাল। ভেতরে এসো। "
সজল ড্রয়িংরুমে সোফায় বসতেই শিরিন ছুটে আসে। "এটা কি সজল? পত্রিকা এসব কি আবোল তাবোল লিখেছে? স্নিগ্ধা, কবির কোথায়?" শিরিন চেচিয়ে বলে
" আসলে হয়েছেটা কি, ইয়ে মানে। " শিরিনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে ক্ষণিকের জন্য নিজেকে অসহায় লাগে সজলের, থতমত খেয়ে যায়।
" কি হল? বল এসব কি? " আবারো চেচিয়ে বলে শিরিন।
" একটু শান্ত হোন মা, বসুন এখানে। আমি সবকিছু বুঝিয়ে বলছি। " সজল বলে।
একটু থেমে সজল বলতে শুরু করে, ততোক্ষনে জামানও এসে এক পাশে বসেছে। " আসলে পরিস্থিতি এমন দিকে যে মোর নিতে পারে আমি কল্পনাও করতে পারি নি। আমিই আমার বন্ধু সাইমন্ডকে বলেছিলাম ও যেন স্নিগ্ধার খোজ করে। ওরা একমাস খোজাখুজির পর খুজেও পায়, বান্দরবনে এক পাহাড়ে পরিত্যাক্ত বাড়ীতে ওরা ছিল। সেদিন সেখানে কি হয়েছিল আমি জানিনা, কিন্তু পরের দিন ঐ বাড়ি থেকে সাইমন্ড আর তার বন্ধুর লাশ উদ্ধার হয়। আর পালিয়ে যাওয়ার পথে স্নিগ্ধা আর কবির পুলিশের হাতে ধরা পরে। "
" কিন্তু পত্রিকায় এসব কি লিখেছে? কিবরিয়া ডাকাত, স্নিগ্ধার অপহরণ, এসব কি? আমার কবির কাউকে খুন করতে পারে না, ও ডাকাত হতে পারে না। আর স্নিগ্ধা নিজের ইচ্ছাতে ওর সাথে পালিয়েছে, ও ফোনে আমাকে বলেছে। " শিরিন বলে
" এসবই সাজানো। সাইমন্ডের বাবা ছেলের মৃত্যুশোকে পাগল হয়ে গেছে। এই পাগলামোটা ওনারই সাজানো। উনি সাইমন্ডের মৃত্যুর জন্য কবিরকে দায়ী মনে করেন। " সজল বলে
" কবির কাউকে খুন করতে পারে না। ওকে কোন থানায় রেখেছে? আমি এক্ষুনি যাব, পুলিশকে সব সত্যি সত্যি জানাব। " শিরিন বলে
" ঐ ভুল করবেন না মা। আপনি জিল্লুর রহমানকে চেনেন না, দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধরদের মাঝে তিনি একজন। আপনি যদি পুলিশকে সবকিছু বলেনও, ওনার তা ধামাচাপা দিতে সময় লাগবে না। আর আমাকে হুমকি দিয়েছেন তিনি, আমি বা আপনারা যদি পুলিশকে সত্যিটা বলে দেয়ার চেষ্টা করি তবে উনি স্নিগ্ধাকে খুন করবেন। এমন কিছু নেই যা তার পক্ষে করা সম্ভব না। " সজল বলে
শিরিন কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে থাকে তারপর উঠে গিয়ে নিজের ব্যাগ গোছাতে শুরু করে।
" কি করছ তুমি?" জামান বলে
" রাতের বাসেই রওনা দিব ঢাকার উদ্দেশ্যে। কোন থানা যেন? মিরপুর থানা? " শিরিন বলে
" তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? শুনলে না কি বলল? ওরা স্নিগ্ধাকে মেরে ফেলবে। " জামান বলে
হঠাত হুহু করে কেদে ফেলে শিরিন। জামান ওকে জড়িয়ে নেয়।
"এভাবে চুপ থাকলে তো কবিরের ফাসি হয়ে যাবে সেটা কিভাবে সইব বলো?" কাদতে কাঁদতে বলে শিরিন।
কলিংবেল বাজতেই জামান দরজা খুলে দেয়। সজল সালাম দিয়ে বলে "কেমন আছেন বাবা? "
" ভাল। ভেতরে এসো। "
সজল ড্রয়িংরুমে সোফায় বসতেই শিরিন ছুটে আসে। "এটা কি সজল? পত্রিকা এসব কি আবোল তাবোল লিখেছে? স্নিগ্ধা, কবির কোথায়?" শিরিন চেচিয়ে বলে
" আসলে হয়েছেটা কি, ইয়ে মানে। " শিরিনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে ক্ষণিকের জন্য নিজেকে অসহায় লাগে সজলের, থতমত খেয়ে যায়।
" কি হল? বল এসব কি? " আবারো চেচিয়ে বলে শিরিন।
" একটু শান্ত হোন মা, বসুন এখানে। আমি সবকিছু বুঝিয়ে বলছি। " সজল বলে।
একটু থেমে সজল বলতে শুরু করে, ততোক্ষনে জামানও এসে এক পাশে বসেছে। " আসলে পরিস্থিতি এমন দিকে যে মোর নিতে পারে আমি কল্পনাও করতে পারি নি। আমিই আমার বন্ধু সাইমন্ডকে বলেছিলাম ও যেন স্নিগ্ধার খোজ করে। ওরা একমাস খোজাখুজির পর খুজেও পায়, বান্দরবনে এক পাহাড়ে পরিত্যাক্ত বাড়ীতে ওরা ছিল। সেদিন সেখানে কি হয়েছিল আমি জানিনা, কিন্তু পরের দিন ঐ বাড়ি থেকে সাইমন্ড আর তার বন্ধুর লাশ উদ্ধার হয়। আর পালিয়ে যাওয়ার পথে স্নিগ্ধা আর কবির পুলিশের হাতে ধরা পরে। "
" কিন্তু পত্রিকায় এসব কি লিখেছে? কিবরিয়া ডাকাত, স্নিগ্ধার অপহরণ, এসব কি? আমার কবির কাউকে খুন করতে পারে না, ও ডাকাত হতে পারে না। আর স্নিগ্ধা নিজের ইচ্ছাতে ওর সাথে পালিয়েছে, ও ফোনে আমাকে বলেছে। " শিরিন বলে
" এসবই সাজানো। সাইমন্ডের বাবা ছেলের মৃত্যুশোকে পাগল হয়ে গেছে। এই পাগলামোটা ওনারই সাজানো। উনি সাইমন্ডের মৃত্যুর জন্য কবিরকে দায়ী মনে করেন। " সজল বলে
" কবির কাউকে খুন করতে পারে না। ওকে কোন থানায় রেখেছে? আমি এক্ষুনি যাব, পুলিশকে সব সত্যি সত্যি জানাব। " শিরিন বলে
" ঐ ভুল করবেন না মা। আপনি জিল্লুর রহমানকে চেনেন না, দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধরদের মাঝে তিনি একজন। আপনি যদি পুলিশকে সবকিছু বলেনও, ওনার তা ধামাচাপা দিতে সময় লাগবে না। আর আমাকে হুমকি দিয়েছেন তিনি, আমি বা আপনারা যদি পুলিশকে সত্যিটা বলে দেয়ার চেষ্টা করি তবে উনি স্নিগ্ধাকে খুন করবেন। এমন কিছু নেই যা তার পক্ষে করা সম্ভব না। " সজল বলে
শিরিন কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে থাকে তারপর উঠে গিয়ে নিজের ব্যাগ গোছাতে শুরু করে।
" কি করছ তুমি?" জামান বলে
" রাতের বাসেই রওনা দিব ঢাকার উদ্দেশ্যে। কোন থানা যেন? মিরপুর থানা? " শিরিন বলে
" তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? শুনলে না কি বলল? ওরা স্নিগ্ধাকে মেরে ফেলবে। " জামান বলে
হঠাত হুহু করে কেদে ফেলে শিরিন। জামান ওকে জড়িয়ে নেয়।
"এভাবে চুপ থাকলে তো কবিরের ফাসি হয়ে যাবে সেটা কিভাবে সইব বলো?" কাদতে কাঁদতে বলে শিরিন।