05-08-2021, 09:50 AM
সোয়েব চটপট ইউনিফর্ম পরে নিয়ে সার্ভিস জিপটা নিয়ে বেরিয়ে যায়। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকায় দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টা লেগে যায়। ছুটির দিন এতো জ্যাম থাকার কথা ছিল না, কিন্তু রাস্তা মেরামতের কাজ চলায় হঠাত এমন জ্যাম লেগে গেছে। সোয়েব মিরপুর থানার সামনে এসে দুটি প্রাইভেট কার দেখতে পায়, সোয়েব একটিকে চেনে, ডিসিপি সাহেবের। থানায় ঢুকে কনস্টেবলদের জিজ্ঞাসা করে সোয়েব, তারা জানায় যে ডিসিপি সাহেব আধা ঘন্টা আগেই এসেছেন। তিনি এবং সাথে একজন গেস্ট ভেতরে স্পেশাল সেলে গেছে যেখানে নতুন আসামীকে রাখা হয়েছে। সোয়েব সেলটিতে গিয়ে দেখে সাদা সুট পরা একজন মধ্যবয়সী মোটাসোটা লোক হাতে লাঠি নিয়ে বেধে রাখা আসামী কবির ওরফে কিবরিয়াকে জোরে জোরে পেটাচ্ছে আর গালাগালি দিচ্ছে। সারা ঘর লাঠির বাড়ির ধুপধাপ শব্দ, আর্তনাদ আর গালাগালিতে ভরে উঠছে। ওসি মইনুল আর ডিসিপি নুরুল হুদা খানিকটা তফাতে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে। আসামীদের টর্চার করার জন্য পুলিশদের বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হয়, পুলিশরা সাধারনত এমন যায়গায় আঘাত করে না যাতে আসামীর মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু এই লোকটির তেমন কোন ট্রেনিং নেই, বিশেষ করে যেভাবে সে লাঠি দিয়ে বুকে আঘাত করছে তাতে যেকোন সময় বুকের হার ভেঙ্গে আসামী মারা যেতে পারে।
সোয়েব এগিয়ে গিয়ে সেলুট দেয় ডিসিপিকে। তারপর ফিসফিস করে বলে " এভাবে চলতে থাকলে আসামী মারা যেতে পারে। আসামী মারা গেলে এর দায়ভার কে নেবে স্যার?"
নুরুল হুদা অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সোয়েবের দিকে। অধিনস্ত কেউ যে এভাবে কথা বলতে পারে তার সাথে তা বিশ্বাস হতে চায় না, কিন্তু মুখে কিছু বলে না। এগিয়ে যায় লোকটার দিকে।
" আরে বদরুল সাহেব, আপনি তো ঘেমে ধুয়ে যাচ্ছেন। চলুন একটু রিল্যাক্স করি। " নুরুল হুদা বলে
" না, ডিসিপি সাহেব। এই বাস্টার্ডটাকে যমের বাড়ি না পাঠিয়ে আমি দম নিব না। " বলে আবার লাঠি দিয়ে সপাটে বারি দিতে থাকে কবিরের বুকে আর পিঠে।
" রিল্যাক্স বদরুল সাহেব। আপনার ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাবে তো। আমার অফিসাররা আছে কি করতে? " বলে হাত বাড়িয়ে লাঠিটা নেয় তারপর মইনুলের হাতে লাঠিটা দেয়। মইনুল ওদেরকে দেখিয়ে দেখিয়ে পেটাতে থাকে কবিরকে। ডিসিপি আর বদরুল সেল থেকে বেড়িয়ে যেতেই সোয়েব খেকিয়ে ওঠে "স্টপ ইট মইনুল। আসামী মরে গেলে তার দায়ভার কে নেবে? না ডিসিপি সাহেব, না আমি । দায় পরবে তোমার ওপর। তারপর পোস্টিং খাগড়াছরি কিংবা সুন্দরবন। যেতে চাও? "
" সরি স্যার। " মইনুল বলে
" খোল ওকে। "
একটি নলাকার পিলারের সাথে বাধা ছিল কবির। সে অবস্থাতেই অজ্ঞান হয়ে গেছে সে।
কবিরকে চেয়ারে বসিয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনে মইনুল।
" পানি। " অস্ফুট স্বরে বলে কবির।
সোয়েব গ্লাসে পানি ভরে কবিরের হাতে দেয়। কবির এক ঢোকে পুরোটা খেয়ে নেয়।
সোয়েব এগিয়ে গিয়ে সেলুট দেয় ডিসিপিকে। তারপর ফিসফিস করে বলে " এভাবে চলতে থাকলে আসামী মারা যেতে পারে। আসামী মারা গেলে এর দায়ভার কে নেবে স্যার?"
নুরুল হুদা অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সোয়েবের দিকে। অধিনস্ত কেউ যে এভাবে কথা বলতে পারে তার সাথে তা বিশ্বাস হতে চায় না, কিন্তু মুখে কিছু বলে না। এগিয়ে যায় লোকটার দিকে।
" আরে বদরুল সাহেব, আপনি তো ঘেমে ধুয়ে যাচ্ছেন। চলুন একটু রিল্যাক্স করি। " নুরুল হুদা বলে
" না, ডিসিপি সাহেব। এই বাস্টার্ডটাকে যমের বাড়ি না পাঠিয়ে আমি দম নিব না। " বলে আবার লাঠি দিয়ে সপাটে বারি দিতে থাকে কবিরের বুকে আর পিঠে।
" রিল্যাক্স বদরুল সাহেব। আপনার ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাবে তো। আমার অফিসাররা আছে কি করতে? " বলে হাত বাড়িয়ে লাঠিটা নেয় তারপর মইনুলের হাতে লাঠিটা দেয়। মইনুল ওদেরকে দেখিয়ে দেখিয়ে পেটাতে থাকে কবিরকে। ডিসিপি আর বদরুল সেল থেকে বেড়িয়ে যেতেই সোয়েব খেকিয়ে ওঠে "স্টপ ইট মইনুল। আসামী মরে গেলে তার দায়ভার কে নেবে? না ডিসিপি সাহেব, না আমি । দায় পরবে তোমার ওপর। তারপর পোস্টিং খাগড়াছরি কিংবা সুন্দরবন। যেতে চাও? "
" সরি স্যার। " মইনুল বলে
" খোল ওকে। "
একটি নলাকার পিলারের সাথে বাধা ছিল কবির। সে অবস্থাতেই অজ্ঞান হয়ে গেছে সে।
কবিরকে চেয়ারে বসিয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনে মইনুল।
" পানি। " অস্ফুট স্বরে বলে কবির।
সোয়েব গ্লাসে পানি ভরে কবিরের হাতে দেয়। কবির এক ঢোকে পুরোটা খেয়ে নেয়।