03-08-2021, 01:08 PM
যাই হোক, মাথাটা এতই দপদপ করছে আমি বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দিলাম। সমুদ্রের হাওয়া গায়ে লাগছে। খালি গায়ে একটা সাদা পাজামা মাত্র পরে আছি, অল্প ঠাণ্ডাও লাগছে। কিন্তু অনেক দিন ভোর দেখা হয় না। ছোটবেলায় ভোরে ওঠার অভ্যেস ছিলো। ভোর হোলো দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। বেশ আশা জাগানিয়া। এসব চিন্তা মাথায় আসতে মনে হোলো এরকম সুন্দর একটা ভোরে সিগারেট খেয়ে নাকের মাথা খাবার কোন মানে হয় না। মাথাটাও প্রায় ছেড়ে গেছে। সিগারেট নিচে ছুঁড়ে ফেললাম। বেশ অনেকটা জল খেয়ে, নিচে গেলাম খবরের কাগজ আনতে।
এককাপ চা খেয়ে, খবরের কাগজ নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা দিলাম। এসে দেখলাম বিভাস আর অরুণ উঠে পড়েছে। দুজনেই সোফায় বসে ঝিমোচ্ছে। অরুণ মাথাটা হাতের দু আঙ্গুল দিয়ে ধরে আছে। বিভাসকে চাঙ্গাই মনে হচ্ছে, চোখ যদিও লাল হয়ে আছে।
মাধুরী তখনো ওঠে নি।
মাধুরীর মেজাজের নাগাল পাওয়া ভার। ওর জামাকাপড়ও দেখতে পাচ্ছি না যে ওকে দেবো। বিভাস আর অরুণকে যেতেও বলতে পারছি না, কারণ তাহলে এখন যে ব্যাপারটা চলছে, যে সবাই জানে কাল রাতে কি ঘটেছে কিন্তু টুঁ শব্দ করছে না, স্বাভাবিকত্বের অভিনয় করে যাচ্ছে সেটাই কেটে যাবে!
অরুণ মুখভার করে বললো “যাই আবার ব্যাগ গুছোতে হবে, কালই তো চলে যাওয়া” মনখারাপের কারণ অনুমান শক্ত নয়। কিন্তু এসব নাড়াঘাঁটা না করাই ভালো।
আমি বললাম “দাঁড়া না, তোদের বৌদি উঠুক, তারপর যাস ‘খন।”
বৌদি দেখলাম কথাবার্তা শুনে এপাশ ওপাশ করছে। উঠলো বলে। আমি প্রমাদ গুণছি। ও বাবা! কোথায় কি মাধুরী উঠে আড়মোড়া ভাঙতে বসলো। চাদর ফাদর কোথায় কি? আমরা একরকম স্বাভাবিক করছিলাম, না মানার স্বাভাবিক! এ তো আরেক জিনিস! যা করেছি বেশ করেছি গোছের স্বাভাবিক। আড়মোড়া ভাঙছে, দু হাত মাথার পেছনে দিয়ে পেছনের দিকে বেঁকে আড়মোড়া ভাঙছে। এ জিনিস দেখলে মুনিদের মতিভ্রম হয়! আমরা তো কোন ছার! আমরা তিনজন হাঁ করে দেখতে থাকলাম পীনোদ্ধত বুক, আর খয়েরি বৃন্তের ম্যাজমেজে সকাল।
মাধুরী যেন দেখতেই পাচ্ছে না! এবার আড়মোড়া ছেড়ে পা ঝুলিয়ে বসে একটা হাই তুললো। আমার দিকে ফিরে বললো “অ্যাই তুমি চ খেয়েছো?”
আমি কাগজ থেকে মুখ তুলে বললাম “তুমি হাত মুখ ধুয়ে নাও, তারপর চলো চা খেয়ে আসি।”
ও বিছানায় বসেই বললো “ নাআআআ, যেতে পারবো না, বিভাস, অ্যাই বিভাস, লক্ষ্মী সোনা আমার, একটু চা নিয়ে আয় না সোনা, আমাদের সবার জন্য, প্লিইইইইইজ…..”
কেলো করেছে! ভাগ্যিস আমাকে বলে নি, ওই গা দুলিয়ে প্লিজের পর না করে কার সাধ্যি!
বিভাস সটান বসে, চোখ খুলবে কি খুলবে না ভাবতে ভাবতে বললো “অ্যাঁ… হ্যাঁ, এই যে… যাচ্ছি…”
মাধুরী বললো “একটু যানা ভাই, আর মাটির ভাঁড় নিয়ে আসিস, দাদার কাছ থেকে ফ্লাস্ক আর টাকা নিয়ে যা।”
ততক্ষণে বিকাশ তৈরী, গায়ে আধময়লা টি শার্ট আর পায়ে হাওয়াই চটি পরে, ঘুমচোখে, মানিব্যাগ হাতে,… তৈরী।
“দাদা আসছি, বৌদি…” বলে সে বেরিয়ে গেলো চা আনতে।
এককাপ চা খেয়ে, খবরের কাগজ নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা দিলাম। এসে দেখলাম বিভাস আর অরুণ উঠে পড়েছে। দুজনেই সোফায় বসে ঝিমোচ্ছে। অরুণ মাথাটা হাতের দু আঙ্গুল দিয়ে ধরে আছে। বিভাসকে চাঙ্গাই মনে হচ্ছে, চোখ যদিও লাল হয়ে আছে।
মাধুরী তখনো ওঠে নি।
মাধুরীর মেজাজের নাগাল পাওয়া ভার। ওর জামাকাপড়ও দেখতে পাচ্ছি না যে ওকে দেবো। বিভাস আর অরুণকে যেতেও বলতে পারছি না, কারণ তাহলে এখন যে ব্যাপারটা চলছে, যে সবাই জানে কাল রাতে কি ঘটেছে কিন্তু টুঁ শব্দ করছে না, স্বাভাবিকত্বের অভিনয় করে যাচ্ছে সেটাই কেটে যাবে!
অরুণ মুখভার করে বললো “যাই আবার ব্যাগ গুছোতে হবে, কালই তো চলে যাওয়া” মনখারাপের কারণ অনুমান শক্ত নয়। কিন্তু এসব নাড়াঘাঁটা না করাই ভালো।
আমি বললাম “দাঁড়া না, তোদের বৌদি উঠুক, তারপর যাস ‘খন।”
বৌদি দেখলাম কথাবার্তা শুনে এপাশ ওপাশ করছে। উঠলো বলে। আমি প্রমাদ গুণছি। ও বাবা! কোথায় কি মাধুরী উঠে আড়মোড়া ভাঙতে বসলো। চাদর ফাদর কোথায় কি? আমরা একরকম স্বাভাবিক করছিলাম, না মানার স্বাভাবিক! এ তো আরেক জিনিস! যা করেছি বেশ করেছি গোছের স্বাভাবিক। আড়মোড়া ভাঙছে, দু হাত মাথার পেছনে দিয়ে পেছনের দিকে বেঁকে আড়মোড়া ভাঙছে। এ জিনিস দেখলে মুনিদের মতিভ্রম হয়! আমরা তো কোন ছার! আমরা তিনজন হাঁ করে দেখতে থাকলাম পীনোদ্ধত বুক, আর খয়েরি বৃন্তের ম্যাজমেজে সকাল।
মাধুরী যেন দেখতেই পাচ্ছে না! এবার আড়মোড়া ছেড়ে পা ঝুলিয়ে বসে একটা হাই তুললো। আমার দিকে ফিরে বললো “অ্যাই তুমি চ খেয়েছো?”
আমি কাগজ থেকে মুখ তুলে বললাম “তুমি হাত মুখ ধুয়ে নাও, তারপর চলো চা খেয়ে আসি।”
ও বিছানায় বসেই বললো “ নাআআআ, যেতে পারবো না, বিভাস, অ্যাই বিভাস, লক্ষ্মী সোনা আমার, একটু চা নিয়ে আয় না সোনা, আমাদের সবার জন্য, প্লিইইইইইজ…..”
কেলো করেছে! ভাগ্যিস আমাকে বলে নি, ওই গা দুলিয়ে প্লিজের পর না করে কার সাধ্যি!
বিভাস সটান বসে, চোখ খুলবে কি খুলবে না ভাবতে ভাবতে বললো “অ্যাঁ… হ্যাঁ, এই যে… যাচ্ছি…”
মাধুরী বললো “একটু যানা ভাই, আর মাটির ভাঁড় নিয়ে আসিস, দাদার কাছ থেকে ফ্লাস্ক আর টাকা নিয়ে যা।”
ততক্ষণে বিকাশ তৈরী, গায়ে আধময়লা টি শার্ট আর পায়ে হাওয়াই চটি পরে, ঘুমচোখে, মানিব্যাগ হাতে,… তৈরী।
“দাদা আসছি, বৌদি…” বলে সে বেরিয়ে গেলো চা আনতে।