01-08-2021, 09:53 PM
(This post was last modified: 01-08-2021, 10:36 PM by Bumba_1. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
হ্যালো ফ্রেন্ডস .. আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন .. আমি নন্দিনী .. আবারো চলে এসেছি আপনাদের জন্য নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে .. আজ আপনাদের শেখাবো মাত্র দুটি ডিম এবং চার পিস স্লাইস পাঁউরুটি দিয়ে কিভাবে আপনার বাচ্চার জন্য বিকেলের টিফিন খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় .. প্রথমে ডিম দুটো ভালো করে ধুয়ে মিনিট পনেরো সেদ্ধ করে নিন .. তারপর ..
নতুন কেনা সাত ইঞ্চির অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্ক্রিন থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ না সরিয়ে কান থেকে শুধু হেডফোনের স্পিকার দুটো খুলে দিলো ভবেশ বাবু। কারণ ইউটিউবে চলা ভিডিওটিতে রান্নার রেসিপির পরবর্তী পদক্ষেপগুলি শোনার বা জানার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার .. বরং লাল রংয়ের শিফন শাড়ি এবং কালো স্লিভলেস ব্লাউজ পরিহিতা যে ভদ্রমহিলা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন তার উপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ সরাতে চায় না, তাই এক দৃষ্টে তাকিয়ে রইলো মোবাইল স্ক্রিনের দিকে। মিনিট দশেকের মাথায় ভিডিওটি শেষ হলো।
খালি গায়ে শুধুমাত্র একটি নীল রঙের শর্টস পরিহিত ভবেশ বাবু মোবাইলটা পাশে রেখে বিছানার উপর নিজেকে এলিয়ে দিলো আর বাঁ হাতটা শর্টসের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে মুখটা কিছুটা বিকৃত করে নিজের বিচিজোড়া চুলকাতে লাগলো। তারপর এক টানে খুব ছোটো প্যান্টের মতো নিম্নাঙ্গের বস্ত্রখন্ডটি খুলে ফেলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে "শালা হেব্বি জোরে পেচ্ছাপ পেয়ে গেছে মাইরি .." স্বগতোক্তি করে বাথরুমে ঢুকে গেলো।
ভবেশ কুন্ডু .. বয়স আন্দাজ পঞ্চাশের আশেপাশে। অত্যাধিক কালো এবং অতিকায় দানবের মতো চেহারার ভবেশ বাবুর মস্তকের পিছনের কয়েকগাছি ছাড়া সমগ্র মাথায় চুল প্রায় নেই বললেই চলে। নাক এবং ঠোঁটের মাঝখানে কাঁচাপাকা একটি বেশ মোটা গোঁফ বিদ্যমান। লোকটার চোখের মধ্যে একটা ক্রুর ভাব এবং মুখে অসংখ্য গভীর বসন্তের দাগ সমগ্র মুখমন্ডলকে যেনো আরো ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। বুকে কিঞ্চিৎ চুল থাকলেও সারা শরীরে চুলের আধিক্য একেবারেই নেই।
বিপত্নীক এবং নিঃসন্তান কুন্ডু বাবুর আদি নিবাস উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। লোকটার কর্মজীবন বা ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কারোর কোনো সম্যক ধারণা নেই। তবে কানাঘুষো শোনা যায় ওখানে অর্থাৎ কোচবিহারে থাকাকালীন লোকটা সোনার চোরাকারবারি করতো .. সেই সময়ে ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারেই একটি খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে .. তারপর পয়সার জোরে ঘটনাটা ধামাচাপা দিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো ছুঁড়ে এখানে অর্থাৎ তার বর্তমান নিবাস চন্দননগরে চলে আসে।
কথায় বলে রতনে রতন চেনে আর শকুনে চেনে ভাগাড় .. এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সংলাপটি অর্থাৎ শকুন যেমন ঠিক ভাগাড়ের সন্ধান পেয়ে যায় ঠিক তেমনি ভবেশ কুন্ডুর সঙ্গে পরিচয় হয় বালেশ্বর ঝাঁ নামের একজন প্রোমোটারের .. যদিও এছাড়াও সে আরও একটি জগতের সঙ্গে যুক্ত যা ক্রমশ প্রকাশ্য।
পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে বিজনেস পার্টনার। তবে শুধু ব্যাবসায়িক মিল ছাড়াও এই দুই বন্ধুর মধ্যে আরও একটা অদ্ভুত মিল আছে সেটা হলো এরা দুজনেই অত্যন্ত কামুক এবং নারীমাংস লোভী।
যাক সে কথা, প্রোমোটার বন্ধুটির সঙ্গে পার্টনারশিপে চন্দননগর স্টেশন রোডের উপর একটি আবাসন বানিয়ে ফেলে ভবেশ কুন্ডু। কুড়িটি ফ্ল্যাট-যুক্ত পাঁচতলা এই আবাসনের দোতালায় সামনের দিকে একটি তিন বেডরুমের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নিয়ে একাই থাকে ভবেশ বাবু।
ইউটিউবের কোনো ভিডিও দশ থেকে পনেরো মিনিটের হলেও সেটাকে তৈরি করার জন্য .. pre arrangement এবং post editing .. এইসব মিলিয়ে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রম খরচ হয়।
"উফ্ .. পাখাটা একটু জোরে করে দে তো বিট্টু .. খুব টায়ার্ড লাগছে" ইউটিউবে ভিডিওটা আপলোড করে ড্রইংরুমের সোফার উপর গা এলিয়ে দিয়ে বসে পড়লো নন্দিনী।
নন্দিনী দেবীর একমাত্র ছেলে অরিত্র ওরফে বিট্টু চন্দননগরের একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজে ক্লাস ফাইভে পড়ে। বাতে প্রায় পঙ্গু তেষট্টি বছরের পৌঢ়া বিধবা শাশুড়ি এবং ছেলেকে নিয়ে এখানে থাকে নন্দিনী দেবী। স্বামী অর্চিষ্মান সেন বয়স আনুমানিক একচল্লিশ বছর .. মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ .. বর্তমানে খড়্গপুরে পোস্টেড .. সপ্তাহান্তে বাড়ি আসে।
চোখে হাই পাওয়ারের চশমা আঁটা শীর্ণকায় চেহারার অর্চিষ্মানের একচল্লিশ বছর বয়স হলেও তার পাংশুটে মুখের জন্য সামনে থেকে দেখে বয়স আরো কিছুটা বেশিই মনে হয়। খুবই সাধারণ চেহারার এই ভদ্রলোকটির শরীরে এমন কোনো খারাপ বা ভালো বৈশিষ্ট্য নেই যেটা একবার দেখলে মনে থাকবে।
অর্চিষ্মান বাবুর কোনো পৈত্রিক ভিটে না থাকলেও বহু বছর ধরে তারা চন্দননগরের বাসিন্দা। উনার বাবা এখানেই স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। অর্চিষ্মান নিজেও চুঁচুড়ার কাছে একটি অনামী ওষুধের কোম্পানিতে রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলো। বহু বছর ধরে স্টেশনের পশ্চিম দিকে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো ওরা। ওই বাড়িতেই বিয়ে হয় অর্চিষ্মানের।
যদিও ওই বাড়ি এবং বাড়ির চারপাশের পরিবেশ একদমই পছন্দ ছিলো না নন্দিনীর। সে বরাবরই একটু সৌখিন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী .. উন্নত পরিবেশ এবং একটি ঝাঁ-চকচকে সম্পূর্ণ সেপারেট ফ্ল্যাট তার পছন্দ। যেখানে সর্বদা জল নিয়ে, লাইট নিয়ে বাড়িওলার সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকবে না।
বছর দেড়েক আগে অর্চিষ্মানের বাবার মৃত্যুর পর থেকেই "এই বাড়িতে আর থাকবো না" এই বলে প্রায়শই অসন্তোষ প্রকাশ করতো নন্দিনী। কিন্তু উঠে যাবো বললেই তো উঠে যাওয়া যায় না .. ওদের বাজেটের মধ্যে একটি ভালো পরিবেশে ভালো বাড়ি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছিলো।
মাসখানেক আগে দালাল মারফত ভবেশ বাবুর আবাসনের খোঁজ পায় তারা। সেখানে সমস্ত ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেলেও একটি অজ্ঞাত কারণে তিনতলার পেছনদিকে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট খালি পরে ছিলো। যদিও ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া ধার্য করা হয়েছিলো প্রতিমাসে আট হাজার টাকা .. কিন্তু অর্চিষ্মান বাবুর পাঁচ হাজার টাকার বেশি দেওয়ার ক্ষমতা ছিলো না। তবুও দালাল লোকটি একটি negotiation করার জন্য সস্ত্রীক মিস্টার সেন কে একদিন বিকেলে নিয়ে যায় ভবেশ কুন্ডুর ফ্ল্যাটে।
দালালের বক্তব্য শুনে এবং অর্চিষ্মান বাবুর মুখ দেখে "বললাম তো এক পয়সা কম হবে না, এই মুহূর্তে বের হও আমার বাড়ি থেকে" এইরূপ গর্জন করে এক প্রকার দূর করে দিচ্ছিলো ওদের। তারপর হঠাৎ অর্চিষ্মানের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লাল রঙের একটি স্কিন টাইট লেগিংস এবং একটি লাল প্রিন্টেড স্লিভলেস টপ পরিহিতা একজন সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া যুবতীকে দেখতে পেয়ে প্রথমেই তার পরিচয় জানতে চাইলো ভবেশ কুন্ডু।
নন্দিনী দেবীর পরিচয় পেয়ে প্রথমে চোখ দুটো ধূর্ত হায়নার মত জ্বলে উঠলো ভবেশ বাবুর। তারপর ঢোক গিলে নিজেকে সামলে নিয়ে ওদের সঙ্গে আসা বিট্টুকে দেখিয়ে অর্চিষ্মান বাবুকে বললো "আমি আপনাদের পাঁচ হাজার টাকাতেই ওই ফ্ল্যাটে থাকতে দেবো। কেন জানেন? এই শিশুটার জন্য .. ভবিষ্যতের জন্য ওর একটা ভালো পরিবেশ দরকার। কোনো deposit money দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু আমাকে একটা কথা বলুন তো, মাত্র তিন হাজার টাকা বেশি বলে এত সুন্দর একটা ফ্ল্যাট হাতছাড়া করছিলেন আপনি .. কোথায় চাকরি করেন?"
অর্চিষ্মান কিছু বলতে যাওয়ার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে নন্দিনী প্রথমেই পাঁচ হাজার টাকাতেই ওদের ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য ভবেশ বাবুকে প্রচুর কৃতজ্ঞতা জানালো তারপর নিজের স্বামীর কর্মক্ষেত্র সম্বন্ধে বললো।
"যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা প্রস্তাব দিতে পারি আপনাকে মিস্টার সেন .. আমার এক বন্ধু একটি নামী ওষুধের কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজার। খড়্গপুরে ওদের ওখানে একটা ভ্যাকেন্সি আছে আমি জানি। আপনি যদি চান তাহলে ওনাকে বলে আপনার চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারি ওখানে .. স্যালারি এখন যা পান তার থেকে অনেক ভালো পাবেন .. এছাড়া উইকেন্ডে বাড়ি অর্থাৎ এখানে আসতে পারবেন। এবার বলুন আপনারা রাজি কি না!" ভবেশ কুন্ডুর এই কথাগুলিতে ওরা যে শুধু অবাক হলো তাই নয় হাতে চাঁদ পেলো বলা যায়।
অর্চিষ্মানের হয়তো কোনো বক্তব্য ছিলো কিন্তু তার কথা শোনার তোয়াক্কা না করেই নন্দিনী কৃতজ্ঞতায় গদগদ হয়ে জানিয়ে দিলো তারা ভবেশ বাবুর প্রস্তাবে রাজি .. সাত দিনের মধ্যেই চাকরি হয়ে গেলো মিস্টার সেনের।
নন্দিনী সেন .. বছর চৌত্রিশের নন্দিনী দেবীর পৈত্রিক বাড়ি হাওড়া জেলায়। উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে গ্রাজুয়েশন করার সঙ্গে সঙ্গে গান এবং নাচ দুটোরই চর্চা ভালোমতো ছিলো একসময়। পরবর্তীকালে সময় ও ইচ্ছার অভাবে এবং অবশ্যই সাংসারিক চাপে গান আর নাচ দুটোই কার্যত ছেড়ে দিতে হয়েছে। একসময় স্টেজে গানের বেশকিছু প্রোগ্রাম করা নন্দিনী এখন শুধুমাত্র বাথরুম সিঙ্গার হয়েই রয়ে গিয়েছে আর ক্লাসিকাল ডান্সের স্টেপগুলো তো এখন প্রায় ভুলতেই বসেছে সে।
মুখশ্রী ডানা কাটা পরীদের মতো না হলেও ব্রাউন কালারের মণিযুক্ত গভীর চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। ঈষৎ বোঁচা নাক এবং পুরু ঠোঁট সমগ্র মুখমন্ডলের মধ্যে কোথাও যেনো একটি আদুরে অথচ কামুকী ভাবের সৃষ্টি করেছে। হাসলে গালে পড়া দুটো টোল নন্দিনীর মুখের ইউএসপি বলা চলে। উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির মতো হবে। গায়ের রঙ দুধে আলতা না হলেও ফর্সার দিকেই বলা চলে। বারগেন্ডি কালারের ঘন চুল কাঁধের নিচ পর্যন্ত সুন্দর করে ছাঁটা। তবে নন্দিনীর শরীরের সবথেকে উত্তেজক অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হলো ওর ভরাট স্তনজোড়া .. মনে হয় যেনো দুটো বড় সাইজের বাতাবী লেবু কেটে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঈষৎ চর্বিযুক্ত তলপেটের মাঝখানে গভীর নাভির চেরার দিকে একবার চোখ চলে গেলে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না সহজে। যদিও নন্দিনী নাভির নিচে শাড়ি বা অন্য কোনো পোশাক প্রায় পড়ে না বললেই চলে। কলাগাছের কান্ডের মতো দুটো ফর্সা সুগঠিত উরু আর নাচ ছেড়ে দেওয়ার পর বেশ কিছুটা চর্বি জমে মাংসল নিতম্বজোড়া যেনো বৃহদাকার উল্টানো কলসির রূপ ধারণ করেছে।
(ক্রমশ)
ভালো লাগলে লাইক এবং রেপু দিয়ে উৎসাহিত করবেন


![[Image: Screenshot-20210729-181342-2.jpg]](https://i.ibb.co/nCpPwx8/Screenshot-20210729-181342-2.jpg)
![[Image: u-JLIUjs-L-400x400.jpg]](https://i.ibb.co/SmV7cZ4/u-JLIUjs-L-400x400.jpg)
![[Image: c81bbf6da674ac1f9c5298e8af050210-1.jpg]](https://i.ibb.co/S6qVxTF/c81bbf6da674ac1f9c5298e8af050210-1.jpg)
![[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]](https://i.ibb.co/V2jFPGW/Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e04c001a911ac0.gif)
![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)