01-08-2021, 11:29 AM
=============================
লীলা খেলা - তৃতীয় খন্ড - সন্তোষের জবানী
=============================
অফিসের ঝামেলাতে মাথা খারাপ হবার অবস্থা হয়েছে ।
কাজ ঠিকঠাক করে দেই , গত তিরিশ বছর ধরে করে চলেছি। শর্মা খুব ভালো my dear লোক । যতদিন ওই সামলাতো, ততদিন কোনো সমস্যা হয় নি আমার।
সমস্যা শুরু হয়েছে - শর্মার ছেলে সোনু আসার পর। সোনু আমার ছেলের বয়সী । আমাকে বোস আঙ্কেল বলে ডাকে। এখনো তাই বলে। কিন্তু ও হলো দ্বিতীয় যুগের বড়লোক। শর্মার যেমন খেটে খাওয়া পয়সা, সোনুর হলো বাপে কামানো পয়সা। বাবা পুরো জীবন কমে, আর কামাতে খরচ করে ফেললো, আর ছেলে কাম এর পেছনে খরচ করতে থাকে। না সত্যি বলছি। সোনু এমনিতে ভালো ছেলে। যখন ছোট ছিল - ওর জন্মদিনে আমার ছেলে, রাহুল , ওর সাথে এয়ার গান দিয়ে টার্গেট প্রাকটিস করেছিল। গোলগাল ছেলে - রাহুল এর থেকেও একটু মোটা । ব্যবসাদার বড়লোক বাপের ছেলে - যে কখনো কিছু নিজে থেকে করে নি। তার উপর আবার কলকাতার জল হাওয়া - তো মোটা হবেই। বেশ একটা টেডি বেয়ার মার্কা দেখতে।
খুবই মুখচোরা ছিল একসময়ে। সেটা আগের কথা। এ সব বদলানোর পেছনে নয়নার হাত আছে। নয়না , বছর ৪০ এর ডিভোর্সই মহিলা। শরীর এর গড়ন ভালো, আর এর সাথে আমার প্রথম দেখা - যখন শর্মার জন্যে সেক্রেটারী খুঁজছি । আমরা বাজারের থেকে বেশি পয়সায় দেই চাকরিতে। মাস গেলে ৩০ হাজার টাকা, স্রেফ নোট নেয়ার আর ফোনে বকার জন্যে। আমার উপরই ভার পড়েছিল - সেক্রেটারি খোঁজার। অনেক মেয়ে এসেছিলো, কিছু বেশ সুন্দরী, আর চোখ টানে ভালো রকম। শর্মা বলে দিয়েছিলো সেক্রেটারী ভালো দেখতে হতেই হবে। ক্লায়েন্ট আসে - অফিসের সম্মানের ব্যাপার।
তো আমি একে একে সবার ইন্টারভিউ নিলাম। আমার দু এক জন কে পছন্দ হয়ে গেছিলো। শেষে এলো নয়না ।
আমি তো রেখে ঢেকে বলিনা - বলেই দিলাম কি আমরা কম বয়সী মেয়ে চাইছি, যাদের দেখে কাকিমা মনে না হয়, কারণ এটাই আজকালকার হাল হাকিকত ।
নয়না বললো এ রকম তো লেখা ছিল না - আমি আপনাদের মালিক এর সাথে কথা বলতে চাই। আর ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কাকে বলে - সোনু তখনি - "আস্তে পারি আঙ্কেল " বলে আমার ঘরে। নয়না তখনো গরম গরম বক্তব্য রেখে চলছে - কি আমাদের নিয়ম খারাপ - এরকম করা যায় না ইত্যাদি।
সোনু বললো "আঙ্কেল হয়েছে টা কি? এই মহিলা এরকম মাথা গরম করছেন কেন?"
আমি সোনু কে বুঝিয়ে বলতে - সোনু বলে - সে কি কান্ড - আঙ্কেল তো ঠিক ই বলছেন - তো আমার বাবা বলেছেন যা তাই তো করছেন।
সোনুর সাপোর্ট পেয়ে আমি তো চওড়া হয়ে গেছি।
এদিকে নয়না বলে ইনি কে? তো আলাপ করিয়ে দিতে হলো। শুনে নয়না সোনার দিকে চেয়ে একটু হাসল । বললো "মাপ করবেন, না জেনে আপনার বাবার সম্মন্ধে বলে ফেলেছি" । সোনু বললে : "সে তো হতেই পারে - তবে আপনি ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন - সব কিছু কি আর বয়েসে মাপা যায় ?"
ঠান্ডা হয়ে গেছে ভেবে আমি বললাম তাহলে আপনি এখন আসুন - আর তখন সোনু বললো : "আঙ্কেল আমি কি আমার কেবিন এ এঁকে ইন্টারভিউ করবো? আমারতো একটা সেক্রেটারি দরকার - যদি বাবার ডাইরেকশন থাকে অন্য তো আমি দেখি। কথাটা তো উনি খারাপ বলেন নি?"
বসের ছেলেকে না বলা যায় না। তা ছাড়া খানিক বাদে, কি এখন থেকেই আদ্ধেক জিনিস সোনু নিজে সামলায় ।
তখন এমনিতেই রাত হয়ে গেছে ৮ তা প্রায় বাজে, আর ইন্টারভিউ সে এক জিনিস - সবার সাথে ১ ঘন্টা করে বকতে হয় প্রায়, আমি কাজ শেষ করে বেরোবো ভাবছি, এমন সময় মনে হলো কি সোনুকে ডেকে নিয়ে যাই । এসেছিলো যখন বাপের গাড়িতে, যাবার সময় যদি আমার সাথে অফিসের ক্যাব এ যায় তো ভালো। নয়নার কথা প্রায় ভুলেই গেছিলাম - আধা ঘন্টা হয়ে গেছে সোনার ওকে নিয়ে চলে যাবার।
আমি সোনার কেবিন এ গিয়ে ধাক্কা লাগাবো ভাবছিলাম তো ভেতর থেকে হাসির আওয়াজ এলো। আমি সাধারণত আড়ি পাতি না, কিন্তু কি জানি মনে হলো আওয়াজ সুবিধের না। কেবিন এর পেছন দিয়ে ফায়ার এক্সিট এর সিঁড়ি যায়। তাতে করে বাইরের জানলার পাশেই সিঁড়ি থাকে। আমি কি জানি ভেবে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। বেরোতে গিয়েও মনে কৌতূহল থাকে। তাই ফায়ার এক্সিট এর রাস্তা তাই ধরলাম। বেরোচ্ছি যখন, দেখেই বেরুই ।
লীলা খেলা - তৃতীয় খন্ড - সন্তোষের জবানী
=============================
অফিসের ঝামেলাতে মাথা খারাপ হবার অবস্থা হয়েছে ।
কাজ ঠিকঠাক করে দেই , গত তিরিশ বছর ধরে করে চলেছি। শর্মা খুব ভালো my dear লোক । যতদিন ওই সামলাতো, ততদিন কোনো সমস্যা হয় নি আমার।
সমস্যা শুরু হয়েছে - শর্মার ছেলে সোনু আসার পর। সোনু আমার ছেলের বয়সী । আমাকে বোস আঙ্কেল বলে ডাকে। এখনো তাই বলে। কিন্তু ও হলো দ্বিতীয় যুগের বড়লোক। শর্মার যেমন খেটে খাওয়া পয়সা, সোনুর হলো বাপে কামানো পয়সা। বাবা পুরো জীবন কমে, আর কামাতে খরচ করে ফেললো, আর ছেলে কাম এর পেছনে খরচ করতে থাকে। না সত্যি বলছি। সোনু এমনিতে ভালো ছেলে। যখন ছোট ছিল - ওর জন্মদিনে আমার ছেলে, রাহুল , ওর সাথে এয়ার গান দিয়ে টার্গেট প্রাকটিস করেছিল। গোলগাল ছেলে - রাহুল এর থেকেও একটু মোটা । ব্যবসাদার বড়লোক বাপের ছেলে - যে কখনো কিছু নিজে থেকে করে নি। তার উপর আবার কলকাতার জল হাওয়া - তো মোটা হবেই। বেশ একটা টেডি বেয়ার মার্কা দেখতে।
খুবই মুখচোরা ছিল একসময়ে। সেটা আগের কথা। এ সব বদলানোর পেছনে নয়নার হাত আছে। নয়না , বছর ৪০ এর ডিভোর্সই মহিলা। শরীর এর গড়ন ভালো, আর এর সাথে আমার প্রথম দেখা - যখন শর্মার জন্যে সেক্রেটারী খুঁজছি । আমরা বাজারের থেকে বেশি পয়সায় দেই চাকরিতে। মাস গেলে ৩০ হাজার টাকা, স্রেফ নোট নেয়ার আর ফোনে বকার জন্যে। আমার উপরই ভার পড়েছিল - সেক্রেটারি খোঁজার। অনেক মেয়ে এসেছিলো, কিছু বেশ সুন্দরী, আর চোখ টানে ভালো রকম। শর্মা বলে দিয়েছিলো সেক্রেটারী ভালো দেখতে হতেই হবে। ক্লায়েন্ট আসে - অফিসের সম্মানের ব্যাপার।
তো আমি একে একে সবার ইন্টারভিউ নিলাম। আমার দু এক জন কে পছন্দ হয়ে গেছিলো। শেষে এলো নয়না ।
আমি তো রেখে ঢেকে বলিনা - বলেই দিলাম কি আমরা কম বয়সী মেয়ে চাইছি, যাদের দেখে কাকিমা মনে না হয়, কারণ এটাই আজকালকার হাল হাকিকত ।
নয়না বললো এ রকম তো লেখা ছিল না - আমি আপনাদের মালিক এর সাথে কথা বলতে চাই। আর ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কাকে বলে - সোনু তখনি - "আস্তে পারি আঙ্কেল " বলে আমার ঘরে। নয়না তখনো গরম গরম বক্তব্য রেখে চলছে - কি আমাদের নিয়ম খারাপ - এরকম করা যায় না ইত্যাদি।
সোনু বললো "আঙ্কেল হয়েছে টা কি? এই মহিলা এরকম মাথা গরম করছেন কেন?"
আমি সোনু কে বুঝিয়ে বলতে - সোনু বলে - সে কি কান্ড - আঙ্কেল তো ঠিক ই বলছেন - তো আমার বাবা বলেছেন যা তাই তো করছেন।
সোনুর সাপোর্ট পেয়ে আমি তো চওড়া হয়ে গেছি।
এদিকে নয়না বলে ইনি কে? তো আলাপ করিয়ে দিতে হলো। শুনে নয়না সোনার দিকে চেয়ে একটু হাসল । বললো "মাপ করবেন, না জেনে আপনার বাবার সম্মন্ধে বলে ফেলেছি" । সোনু বললে : "সে তো হতেই পারে - তবে আপনি ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন - সব কিছু কি আর বয়েসে মাপা যায় ?"
ঠান্ডা হয়ে গেছে ভেবে আমি বললাম তাহলে আপনি এখন আসুন - আর তখন সোনু বললো : "আঙ্কেল আমি কি আমার কেবিন এ এঁকে ইন্টারভিউ করবো? আমারতো একটা সেক্রেটারি দরকার - যদি বাবার ডাইরেকশন থাকে অন্য তো আমি দেখি। কথাটা তো উনি খারাপ বলেন নি?"
বসের ছেলেকে না বলা যায় না। তা ছাড়া খানিক বাদে, কি এখন থেকেই আদ্ধেক জিনিস সোনু নিজে সামলায় ।
তখন এমনিতেই রাত হয়ে গেছে ৮ তা প্রায় বাজে, আর ইন্টারভিউ সে এক জিনিস - সবার সাথে ১ ঘন্টা করে বকতে হয় প্রায়, আমি কাজ শেষ করে বেরোবো ভাবছি, এমন সময় মনে হলো কি সোনুকে ডেকে নিয়ে যাই । এসেছিলো যখন বাপের গাড়িতে, যাবার সময় যদি আমার সাথে অফিসের ক্যাব এ যায় তো ভালো। নয়নার কথা প্রায় ভুলেই গেছিলাম - আধা ঘন্টা হয়ে গেছে সোনার ওকে নিয়ে চলে যাবার।
আমি সোনার কেবিন এ গিয়ে ধাক্কা লাগাবো ভাবছিলাম তো ভেতর থেকে হাসির আওয়াজ এলো। আমি সাধারণত আড়ি পাতি না, কিন্তু কি জানি মনে হলো আওয়াজ সুবিধের না। কেবিন এর পেছন দিয়ে ফায়ার এক্সিট এর সিঁড়ি যায়। তাতে করে বাইরের জানলার পাশেই সিঁড়ি থাকে। আমি কি জানি ভেবে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। বেরোতে গিয়েও মনে কৌতূহল থাকে। তাই ফায়ার এক্সিট এর রাস্তা তাই ধরলাম। বেরোচ্ছি যখন, দেখেই বেরুই ।