31-07-2021, 10:57 PM
তনুজা আবার শাকিং এ মাষ্টার ডিগ্রী করেছে, এমনভাবে চুষে দেবে, চোষার সময় বিচি, থলে সব একসঙ্গে মুখের ভেতরে চলে যায়। শান্তুনু ওর চোষার দক্ষতাটা টের পেয়েছে। দুদিনের মোক্ষম চোষণ সুখে ওর নাম রেখে ফেলেছে সেক্সীয়েস্ট সাকারি। নগ্ম ভিজে শরীরটাকে আদর করতে করতে বলল, ‘চুষে দে না একটু। চুস মেরী জান। মেরী অ্যাটম বোম্ব।’ বলেই ওকে খুব পীড়াপীড়ি করতে লাগল।
তনুজার মনে পড়ছিল, বেশ কিছুদিন আগেকারই একটি ঘটনা। কি চোষাই না ও চুষেছিল সেদিন। মডেলিং এর জীবনে আসার জন্য পেনিস চোষার পরীক্ষা। নইলে ও হয়তো আসতেই পারত না এ লাইনে। টপক্লাস মডেল হবার জন্য চোষার পরীক্ষা। হঠাৎই ওর এক বান্ধবী এসে ওকে বলল, ‘তোর যা ফিগার, এটাকে কাজে লাগা। বহু অ্যাডভারর্টাইজিং কোম্পানী তোকে লুফে নেবে। ঠিক মত লাইনটা ধরতে পারলে মডেলের শ্রেষ্ঠ শিরোপা পাওয়া তখন আটকায় কে?’
বান্ধবীকে বাড়ীতে ডেকে ওর হাত ধরে একটানে বাথরুমে ঢুকিয়ে নিয়েছিল তনুজা। চান করতে করতে শাওয়ারের তলায় কৃত্রিম বৃষ্টিধারার নিচে, ওর গায়ে তখন শুধু সাবানের ফেনার আবরণ। বিখ্যাত মডেল প্রিয়া রাইয়ের ভঙ্গীতে দু’হাত শূন্যে তুলে সাবানটাকে দুই উরুর মাঝখানে নিয়ে ঝকঝকে হাসি হাসল তনুজা। এবার ওর বান্ধবীকে বলল, ‘অব বোল, ম্যায় মডেল বন সকুঙ্গী, ইয়া নেহী?’
ওর বান্ধবী তনুজার ওই রূপ দেখে স্বীকার করেছিল, ‘সচমুচ মাননা পড়েগা। তেরা যো রূপ হ্যায় না, বাকী সব তুঝকো দেখেগি, অউর জ্বলেগি। তু মডেল বনেগাই বনেগা।’
তারপরেই যেন কত তাড়াতাড়ি ব্যাপারটা ঘটে গেল। ক্যামেরায় তোলা তনুজার একটা ফটোজেনিক মুখ চাই। ন্যুড ছবি হলে তো কথাই নেই। কিন্তু কোথায় তোলাবে সেই ছবি? এদিকে বাড়ীতে তনুজার মা’ও খুব বেঁকে বসেছেন। মেয়েকে বোঝাচ্ছেন, ‘এই লাইনে অনেক ঝুঁকি আছে বেটী।’ মডেলিং এর ক্যারিয়ার মানেই ঝুঁকি। কোন পথে কত নিচে যেতে হবে। তোর এই বান্ধবী অনুষ্কাই তোর মাথাটা খাচ্ছে।’ তনুজা ওর মাকে তখন বুঝিয়েছে, ‘মা বড়া আদমী বননে কে লিয়ে ছোটা তো হোনাই পড়তা হ্যায়। অগর জিন্দেগীমে কই উপর যানা চাহতা হ্যায়। তো কভি কভি উসকো নিচে ভি জানা পড়তা হ্যায়।’
তনুজার মা’র একটাই দুশ্চিন্তা। সেটা হল অর্থ। আজ ওর বাবা বেঁচে নেই, থাকলে এতটা অভাব অনটনে পড়তে হত না। মেয়ে যদি জেদ দেখিয়ে এই ক্যারিয়ারটাই বেছে নেয়, না করার তো জো নেই। আজকালকার মেয়ে, বড় হয়েছে। গোঁ ধরে বসে আছে, মডেল ও হবেই। বাঁধা দিলে তো শুনবেই না। উপরন্তু মায়ের প্রতি যেটুকু ভালবাসা আছে, সেটুকুও কমে যাবে।
শেষ পর্যন্ত মা, মেয়েকে ছাড়পত্র দিলেন। মেয়ে তনুজাও খুব খুশি। মাকে বোঝালো, ‘ডর মত, মেরী মা। তেরি বেটি আভি বাচ্চি নেহী হ্যায়। অগর মাহিনামে দশ বিশ হাজার কামাকে তেরা হাত মে নেহী দিয়া তো মেরা নাম ভী তনুজা নেহী।’মায়ের তখন নিজের মেয়েকেই খুব অচেনা মনে হচ্ছে। মাথামুন্ডু ভেবে পাচ্ছে না। তনুজা এই জেল্লাভরা শরীর আর ওর ওই বড়বড় বুকদুটি নিয়ে শেষ পর্যন্ত কি করে বসবে কে জানে?
রাতে রাতে শুয়ে শুয়েও তনুজা মাকে বোঝাচ্ছে, ‘একদিন অ্যায়সা ভী আয়েগা না? সব বুরা ওয়াক্ত খতম।’
নিজের কোলবালিশটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরল তনুজা। বলল, ‘সব মা’কো আপনে বেটিকে লিয়ে একহী চিন্তা রহেতী হ্যায়, অগর কই উসকা বেটিকো লুট লিয়া? বরবাদ কর দিয়া? ঝেমেলামে পড় গিয়া তো? হ্যায় না?’
মা চমকে ওঠে। মেয়েকে কিছু বলতে যায়। তনুজা নরম হাতদিয়ে ওর মায়ের মুখটা চেপে ধরে, বলে, ‘আজকাল কোইভী লড়কি সতি সাবিত্রি নেই হ্যায় মা। অভি তেরী বেটি বিশ সালকি হো গয়ী হ্যায়। জিন্দেগী মে কুছ পানে কে লিয়ে কুছ খোনা তো পড়েগাই। ক্যায়া সব লড়কী কুমারী বনকে বেইঠি হ্যায় ঘরমে? ঝাঁক কর দেখ, সবকা কই না কই মর্দ কে সাথে কুছ না কুছ চল রহা হ্যায়। অব নেহী হ্যায় ও কুমারী।
সতীচ্ছদ-টতিচ্ছদ, সাবেকী ব্যাপারগুলো যে আর নেই, সেটাই মেয়ে মা’কে বোঝানোর চেষ্টা করছিল। তবু মা তো আগের জেনারেশনের নারী। মেয়েকে ধমক দিয়ে উঠলেন, ’কউন সর্বনাশ কিয়া তেরা?’
তনুজা ইতিমধ্যেই ওর বয়ফ্রেন্ড অজয়ের সাথে ইন্টারকোর্স করে ফেলেছে। মায়ের মুখ থেকে সর্বনাশ কথাটা শুনেই হাসতে লাগল। বলল, ‘মা নেহী। সর্বনাশ নেহী। বোল, মুক্ত কিয়া মেরে কো। আজাদী দিয়া, ডর নিকাল দিয়া অন্দর সে। অভি দেখ তেরী বেটি কিতনা ফ্রী হ্যায়। পবিত্রতা নামকি কই চীজ নেহী হোতা হ্যায় মা, আজকাল কি দুনিয়ামে। তেরী বেটি ভি সেয়ানী বন গ্যয়ি। কই লড়কা অগর মেরে সাথ নখরা বাজী করনা চাহতা হ্যায়, তো ম্যায় ভী তৈয়ার। ক্যায়া হোগা? এক তো ভ্যানিটি ব্যাগ কে অন্দর বার্থ কন্ট্রোল ক্যাপ রাখা হ্যায়, দুসরা নিয়মিত পিল খা লুঙ্গা। কোই চিন্তা নেহী হ্যায় মা। কোই চিন্তা নেহী।’
মা মেয়ের কথাশুনে পুরো স্ট্যাচু। মুখ দিয়ে আর কোন কথা বেরোচ্ছে না। এই মেয়েকে নীতিজ্ঞান দিয়ে বুঝিয়ে আর কি হবে? এই যুগ এখন একবিশ শতাব্দীর যুগ। নতুন সভ্যতা। মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে কোন অংশে কম যায় না।