31-07-2021, 11:41 AM
সুহানি
আজ সুহানি মাস্টারের কাছে কিছুতেই পড়তে যাবে না ৷ গত দু বছর থেকে শরীর খারাপের সময় তার বেশ মাথা ধরে , আর গা বমি পায় ৷ রায় গিন্নি একটু বেশি জাঁদরেল, আর মেয়েদের বেলেল্লাপনা তিনি কিছুতেই বরদাস্ত করেন না ৷ মিলি আর সুহানি ছোটবেলার বন্ধু ৷ রায় বাড়ির বিশাল বড় বড় বারান্দায় দাঁড়িয়ে এমনিতেই হাই উঠবে ৷ নবাবি আমলের বিশাল সিংহদুয়ার , আর জমিদার বাড়ির সেই শোভা না থাকলেও আজ সহরের লোক এক ডাকে রায় বাড়ির গল্প সুরু করে দেয় ৷ ছোট রায় বাবু দেশেই থাকেন ৷ কলকাতায় খুব নামী সরকারী অফিসের অনেক বড় অফিসার ৷ তার ৩-৪ জন বেয়ারা খানসামা ৷ বড় রায় সাহেব অখিল রায় অনেক দিন আগেই দেশ ভাগের পর লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ তাই রায় বাড়িতেই সুশীল রায়ের একাধিপত্য ৷ রত্না দেবী সুহানির মা ৷ আর রত্না দেবী তার ভরা যৌবনে দুটি বাচ্ছা জন্ম দিয়েছিলেন ৷ ললিত আর সুহানি পিঠোপিঠি দুই ভাইবোন ৷ রজনী বাবু বছর ৪০ এর প্রৌড় আর রায় বাড়িতে তার অবাধ যাওয়া আশা ৷ তিনি ললিত আর সুহানির পরার দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ পলাশ ডাঙ্গা গ্রামে জগনমোহন কলেজে তিনি অঙ্ক আর বিজ্ঞান পড়ান ৷ স্বামী স্ত্রী তে তার ছোট সংসার কোনো ছেলেপুলে নেই ৷ সুহানি আর ললিত জগনমোহন কলেজেই পড়াশুনা করে ৷ ললিত পরে ভালো না হলেও সুহানি বরাবর ভালো রেসাল্ট করে ৷ দু ভাই বোন রজনী বাবুর কাছেই পড়তে যায় ৷ সুহানি পরের বছর ১১ ক্লাসে উঠবে ৷ তাই তার দিকেই সবাকার বেশি লক্ষ্য ৷ ললিত ৮ ক্লাসে পরে ৷ দু ভাই বোনের খুনসুটি লেগেই থাকে দিন রাত ৷ কখনো ঘুড়ি উড়িয়ে কখনো পাখি ধরে ললিত দিদির কাছে ছুটে আসে ৷ রায় বাড়ির সামনেই রায় দিঘি অনেক বড় ৷ হরেক বছর লোকে অনেক মাছ ধরে সেখানে ৷ আর রায় বাড়ির পিছনেই রাধা গোবিন্দর মেলা বসে ফি বছর ৷ মেলার সময় সুহানি আর ললিতের সব থেকে বেশি আনন্দ ৷ যেহেতু জায়গাটা রায় বাবুদের তাই সব দোকানদার কাকুর ফ্রী তে সুহানিকে আর ললিত কে নানা রকম জিনিস মিঠাই খেলনা দিয়ে যায় বাড়ি বয়ে এসে ৷
আজ সুহানি মাস্টারের কাছে কিছুতেই পড়তে যাবে না ৷ গত দু বছর থেকে শরীর খারাপের সময় তার বেশ মাথা ধরে , আর গা বমি পায় ৷ রায় গিন্নি একটু বেশি জাঁদরেল, আর মেয়েদের বেলেল্লাপনা তিনি কিছুতেই বরদাস্ত করেন না ৷ মিলি আর সুহানি ছোটবেলার বন্ধু ৷ রায় বাড়ির বিশাল বড় বড় বারান্দায় দাঁড়িয়ে এমনিতেই হাই উঠবে ৷ নবাবি আমলের বিশাল সিংহদুয়ার , আর জমিদার বাড়ির সেই শোভা না থাকলেও আজ সহরের লোক এক ডাকে রায় বাড়ির গল্প সুরু করে দেয় ৷ ছোট রায় বাবু দেশেই থাকেন ৷ কলকাতায় খুব নামী সরকারী অফিসের অনেক বড় অফিসার ৷ তার ৩-৪ জন বেয়ারা খানসামা ৷ বড় রায় সাহেব অখিল রায় অনেক দিন আগেই দেশ ভাগের পর লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ তাই রায় বাড়িতেই সুশীল রায়ের একাধিপত্য ৷ রত্না দেবী সুহানির মা ৷ আর রত্না দেবী তার ভরা যৌবনে দুটি বাচ্ছা জন্ম দিয়েছিলেন ৷ ললিত আর সুহানি পিঠোপিঠি দুই ভাইবোন ৷ রজনী বাবু বছর ৪০ এর প্রৌড় আর রায় বাড়িতে তার অবাধ যাওয়া আশা ৷ তিনি ললিত আর সুহানির পরার দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ পলাশ ডাঙ্গা গ্রামে জগনমোহন কলেজে তিনি অঙ্ক আর বিজ্ঞান পড়ান ৷ স্বামী স্ত্রী তে তার ছোট সংসার কোনো ছেলেপুলে নেই ৷ সুহানি আর ললিত জগনমোহন কলেজেই পড়াশুনা করে ৷ ললিত পরে ভালো না হলেও সুহানি বরাবর ভালো রেসাল্ট করে ৷ দু ভাই বোন রজনী বাবুর কাছেই পড়তে যায় ৷ সুহানি পরের বছর ১১ ক্লাসে উঠবে ৷ তাই তার দিকেই সবাকার বেশি লক্ষ্য ৷ ললিত ৮ ক্লাসে পরে ৷ দু ভাই বোনের খুনসুটি লেগেই থাকে দিন রাত ৷ কখনো ঘুড়ি উড়িয়ে কখনো পাখি ধরে ললিত দিদির কাছে ছুটে আসে ৷ রায় বাড়ির সামনেই রায় দিঘি অনেক বড় ৷ হরেক বছর লোকে অনেক মাছ ধরে সেখানে ৷ আর রায় বাড়ির পিছনেই রাধা গোবিন্দর মেলা বসে ফি বছর ৷ মেলার সময় সুহানি আর ললিতের সব থেকে বেশি আনন্দ ৷ যেহেতু জায়গাটা রায় বাবুদের তাই সব দোকানদার কাকুর ফ্রী তে সুহানিকে আর ললিত কে নানা রকম জিনিস মিঠাই খেলনা দিয়ে যায় বাড়ি বয়ে এসে ৷