29-07-2021, 06:02 PM
আমরা এর পরে চারজনেই ডিনার সেরে নিলাম। বলাই বাহুল্য যে আমরা দুপক্ষই রাতের খাবার শেয়ার করেছিলাম। আমি লক্ষ করছিলাম সুমনা কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝেই ওর চোখটা বন্ধ করে কুঁচকাচ্ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ওর কোথাও ব্যাথা বা বেদনা কিছু একটা হচ্ছে। আমি আমার বউকে জিজ্ঞেস করলাম, “কি ব্যাপার বলত? তোমার কি মাথা ধরেছে?” আমার বউ একটু কাষ্ঠ হেসে বলল, “তা একটু ধরেছে, আসলে বিয়ে বাড়ীতে ত খুব খাটাখাটনি গেছে আর তারপর চার – পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাগ-সুটকেস গোছাতে গিয়ে মাথাটা একটু ধরেছে”। আমার বউ সুমনা আরও বলল যে মাথার সঙ্গে সঙ্গে ওর কাঁধেও একটু ব্যাথা হয়েছে। তারপর একটু কপট অভিযোগের হাসি হেসে বলল, “আর তোমার ওই বড় সুটকেসটা তুলে ধরে থাকতে গিয়ে কোমরটাতেও বেদনা সুরু হয়েছে। আমি আমার বউয়ের উদ্দেশ্যে বললাম “তাহলে শোবার আগে একটা পেইন-কিলার খেয়ে নেবে”। উত্তরে সুমনা বলল, “সে তো নেবোই, নাহলে ভাল করে ঘুমই আসবেনা”। এই সময় হঠাৎ সেলিম বাবু বলে উঠলেন, “যদি কিছু মনে না কর, তাহলে একটা কথা বলব বউমা?” সুমনা বলল, “না না মনে করব কেন? আপনি বলুন”। তখন সেলিম বাবু বললেন, “বউমা, তোমরা কি কোন রকম যন্ত্রণা হলেই পেইন-কিলার খাও?” উত্তরে আমি বললাম, “হ্যাঁ কেন বলুন তো?” তখন রঘুবাবু বললেন, “আসলে কি জান, ওই পেইন-কিলার ওষুধ গুলো ব্যাথার জায়গায় ইনটারন্যাল হ্যামারেজ ঘটিয়ে অবশ করে ব্যাথা দূর করে, তাই ওই ধরণের ওষুধ বেশী খেলে পরে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়”। আমার বউ তখন বলল, “তা হলে ব্যাথা কমাব কিভাবে?”। রঘু বাবু বললেন, “সাধারণত মাথা ধরে শারিরিক ধকল থেকে বা গ্যাস থেকে। আর দুটোই কিন্তু ঠিকমত ফিসিওথেরাপি করেই সারান যায়”। এরপর সেলিম বাবু বললেন “আসলে আমরা দুজনেই ফিসিওথেরাপি নিয়েই পড়াশোনা করেছি আর আমরা দুজনে বেশ কিছুদিন বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ফিসিওথেরাপিস্তের চাকরি করেছি। আর এখন আমরা মুজফফরপুরে একটা ম্যাসাজ কাম ফিসিওথেরাপি পার্লার চালাচ্ছি গত আড়াই বছর ধরে।“