29-07-2021, 05:54 PM
পরের দিন থেকে পেয়িং গেস্ট অ্যাকোমোডেশন খোঁজা শুরু হল আমাদের।
কোনওটাই দাদা-বোনের পছন্দ হয় না। কোথাও ঘর ভাল না, কোথাও অন্য বোর্ডারদের দেখে পছন্দ হল না ওদের।
আমার মনে একটা ইচ্ছে জাগছিল।
পরের দিন পার্থকে ফিরে যেতে হবে। ওর টিকিট কাটা, তার ওপরে অফিসে জয়েন করতে হবে।
ওরা বাড়িতে কথা বলল। আমি পার্থকে বললাম, আমার বাড়িতেও যেন ওর মা একবার কথা বলে নেয়। যদিও বন্ধুর বোন। কিন্তু একটা অবিবাহিত ছেলের সঙ্গে এক ঘরে থাকা – সবাইকে জানিয়ে রাখা ভাল।
আমার বাড়িতেও আপত্তির কোনও কারণ দেখল না – যেমন আমিও দেখি নি। পার্থর মা বললেন, ‘আমি তো এটাই চাইছিলাম। অচেনা জায়গায় থাকার থেকে তোর কাছে থাকবে – এটাই সবথেকে ভাল। তবে তুই কি একটা একটু বড় ঘর ভাড়া নিবি তপু? পার্থর কাছে শুনেছি তোর এক কামরার ফ্ল্যাট। একার জন্য ওই ফ্ল্যাটটা ঠিক আছে। বাড়তি যা ভাড়া লাগে সেটা আমরা দেব।‘
আমি বললাম, ‘কাকীমা, তুমি মেয়েকে পাঠিয়েছ তো এখানে। বাকি দায়িত্ব আমার ওপরে ছেড়ে দাও। আমি আগে দেখি হোস্টেল পাওয়া যায় কী না। না হলে তো দুই রুমের ফ্ল্যাট নিতেই হবে।‘
সবাই নিশ্চিন্ত এখন।
পরের দিন পার্থর ট্রেন। পিউয়ের মন খারাপ।
পার্থকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার জন্য সবাই গেলাম। দাদা-বোন অনেক কান্নাকাটি করল। পার্থ আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘রেখে গেলাম, দেখিস রে।‘
আমি ওকে কোনও কথা না বলে পিঠ চাপড়ে দিলাম।
ট্রেন ছেড়ে দিল। টাটা করে দিল পিউ ওর দাদাকে।
এখন আমি আর আমার বন্ধুর বোন একা স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
কোনওটাই দাদা-বোনের পছন্দ হয় না। কোথাও ঘর ভাল না, কোথাও অন্য বোর্ডারদের দেখে পছন্দ হল না ওদের।
আমার মনে একটা ইচ্ছে জাগছিল।
পরের দিন পার্থকে ফিরে যেতে হবে। ওর টিকিট কাটা, তার ওপরে অফিসে জয়েন করতে হবে।
ওরা বাড়িতে কথা বলল। আমি পার্থকে বললাম, আমার বাড়িতেও যেন ওর মা একবার কথা বলে নেয়। যদিও বন্ধুর বোন। কিন্তু একটা অবিবাহিত ছেলের সঙ্গে এক ঘরে থাকা – সবাইকে জানিয়ে রাখা ভাল।
আমার বাড়িতেও আপত্তির কোনও কারণ দেখল না – যেমন আমিও দেখি নি। পার্থর মা বললেন, ‘আমি তো এটাই চাইছিলাম। অচেনা জায়গায় থাকার থেকে তোর কাছে থাকবে – এটাই সবথেকে ভাল। তবে তুই কি একটা একটু বড় ঘর ভাড়া নিবি তপু? পার্থর কাছে শুনেছি তোর এক কামরার ফ্ল্যাট। একার জন্য ওই ফ্ল্যাটটা ঠিক আছে। বাড়তি যা ভাড়া লাগে সেটা আমরা দেব।‘
আমি বললাম, ‘কাকীমা, তুমি মেয়েকে পাঠিয়েছ তো এখানে। বাকি দায়িত্ব আমার ওপরে ছেড়ে দাও। আমি আগে দেখি হোস্টেল পাওয়া যায় কী না। না হলে তো দুই রুমের ফ্ল্যাট নিতেই হবে।‘
সবাই নিশ্চিন্ত এখন।
পরের দিন পার্থর ট্রেন। পিউয়ের মন খারাপ।
পার্থকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার জন্য সবাই গেলাম। দাদা-বোন অনেক কান্নাকাটি করল। পার্থ আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘রেখে গেলাম, দেখিস রে।‘
আমি ওকে কোনও কথা না বলে পিঠ চাপড়ে দিলাম।
ট্রেন ছেড়ে দিল। টাটা করে দিল পিউ ওর দাদাকে।
এখন আমি আর আমার বন্ধুর বোন একা স্টেশনে দাঁড়িয়ে।